কলকাতা, 1 জুলাই: রাজ্যে এই মুহূর্তে একের পর এক লিঞ্চিং-এর ঘটনা ঘটছে । কখনও বউবাজার, কখনও সল্টলেক, কখনও ঝাড়গ্রাম এই ধরনের ঘটনায় সংবাদ শিরোনামে উঠে আসছে । আর ঠিক তখন পাঁচ বছর আগে বিধানসভায় পাশ হওয়া গণপিটুনিতে শাস্তি সংক্রান্ত বিল কেন রাজভবনে আটকে, সেই প্রশ্ন তুললেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় । সোমবার তিনি বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার গণপিটুনির শাস্তি নির্ধারণের জন্য বিল তৈরি করেছিল । কিন্তু রাজ্যপাল কেন এখনও অনুমোদন দেননি, সেই বিষয়ে আমি জানি না ।’’
উল্লেখ্য, 2019-এ গণপিটুনি রুখতে কড়া আইন তৈরিতে বিল এনেছিল রাজ্য সরকার । 2019 সালের 30 অগস্ট রাজ্য বিধানসভায় যে বিল পাশ হয়, তাতে গণপিটুনির মতো অপরাধে মৃত্যুদণ্ডের সংস্থান পর্যন্ত রাখা হয় । সেই বিলের ভবিষ্যৎ কী, তা বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় যে জানেন না, সেটা তাঁর বক্তব্যে এ দিন স্পষ্ট হয়েছে ।
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার অধ্যক্ষ বলেন, ‘‘শুধু গণপিটুনি বিল নয়, আরও একাধিক বিল রাজভবনে দিনের পর দিন করে রয়েছে । কিন্তু কেন সেগুলিতে সই করছেন না, আমি জানি না । পরিষদীয় রীতিনীতি অনুসারে, বিধানসভায় কোনও বিল পাশ হওয়ার পর তা রাজভবনে পাঠিয়ে দেওয়া হয় । এক্ষেত্রে রাজ্যপাল যদি সেই বিলে সন্তুষ্ট হন, তাহলে তিনি সই করেন । যদি বিল নিয়ে তাঁর কোনও বক্তব্য জানার থাকে, তা তিনি সংশ্লিষ্ট দফতরের কাছে চাইতে পারেন । বিল নিয়ে পুরোপুরি সন্তুষ্ট না হলে তিনি বিলটি বিধানসভায় ফেরত পাঠিয়ে দিতে পারেন । কিন্তু এই পথে না গিয়ে বিলগুলিকে ফেলে রাখা হচ্ছে । কেন তিনি সই করছেন না, আমরা জানি না ।’’ তাঁর মতে, রাজ্যপাল বিলগুলিতে স্বাক্ষর করলে এই বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া যেত ।
তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, এ দিনই গণপিটুনি নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস । সেই পরিস্থিতিতে অধ্যক্ষের বক্তব্যে স্পষ্ট যে বিল পাশ না হওয়ার বিষয়টিকে এক্ষেত্রে তুলে ধরতে চায় সরকার বা শাসক পক্ষ ৷