হাওড়া, 21 মে: সম্প্রতি মঠ ও মিশন নিয়ে রাজনৈতিক তরজার প্রেক্ষিতে মুখ খুলল রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন ৷ একই সঙ্গে, বেলুড় মঠের তরফে স্পষ্টতই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কোনও রাজনৈতিক বিষয়ে মঠের তরফে কোনও রকম ফতোয়া জারি করা হয় না ৷ পাশাপাশি, জলপাইগুড়ি রামকৃষ্ণ মঠের ঘটনা নিয়েও উষ্মা প্রকাশ করেছে বেলুড় মঠ ৷
সম্প্রতি নির্বাচনী জনসভা থেকে রামকৃষ্ণ মিশন, ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ-সহ অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ এমনকী সরাসরি একজন সন্ন্যাসীর নাম করে ক্ষোভ প্রকাশ করতেও শোনা গিয়েছে তাঁকে ৷ এই অবস্থায় পালটা নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ ৷ আইনি নোটিশও পাঠানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে ৷ তারপরও অবশ্য নিজের অবস্থান পালটাননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এমনটাই অভিযোগ ৷ এমনকী অভিযোগ এও উঠেছে, খোদ মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পরই জলপাইগুড়ি রামকৃষ্ণ মিশনে দুষ্কৃতী তাণ্ডব হয়েছে ৷ দখল করার চেষ্টা হয়েছে মিশনের জমিও ৷
এই পরিস্থিতিতে এবার মুখ খুলে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল বেলুড় মঠ ৷ এক ভিডিয়ো বার্তায় জলপাইগুড়ি ঘটনা প্রসঙ্গে রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সম্পাদক স্বামী সুবীরানন্দ মহারাজ বলেন, "আমরা একটি আন্তর্জাতিক অরাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান। আমাদের মঠের সন্ন্যাসীরা রাজনীতি-সহ ভোট দানেও অংশ নেন না। এটাই আমাদের মহারাজের নির্দেশ ৷ তাই আমরা পালন করি। আমাদের ভক্তদের রাজনৈতিক চিন্তাভাবনা ও কী করা উচিৎ, কী উচিৎ নয়, সেই ক্ষেত্রেও আমরা হস্তক্ষেপ করি না, উপদেশও দিই না। ফতোয়া জারি করি না।"
একই সঙ্গে, তিনি বলেন, "যদিও জলপাইগুড়ির ঘটনা বিচ্ছিন্ন ঘটনা কি না, আমার জানা নেই। তবে আমরা প্রশাসনিক ব্যবস্থার উপরে বিশ্বাস করি। তবে সবার মনে রাখতে হবে যা আমাদের যে কাজ সেই কর্মকাণ্ড কিন্তু বহুজন হিতায় বহুজন সুখায়। আমাদের যারা সন্ন্যাসী, তাঁরা মানুষের সেবায় সম্পূর্ণ নিয়োজিত। মানুষের সেবা, মানুষের কল্যাণ, প্রত্যেক মানুষের মধ্যে যে শিব আছে সেই শিবজ্ঞানে জীবসেবা। স্বাভাবিকভাবেই তাঁদের জীবনে আর কিছু নেই। আমাদের কাজের জন্য আমরা কিছু প্রত্যাশা করি না, ধন্যবাদও নয়। আর যে জমি নিয়ে ঘটনাটি ঘটেছে, মনে রাখতে হবে সেটা মঠের কোনও সন্ন্যাসী, ব্রহ্মচারীর ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়। সেটা জনকল্যানে নিয়োজিত।"
আরও পড়ুন