ETV Bharat / state

বিল বাকি 14 হাজার! প্রাপ্য চাইলে দোকানের কাগজ দাও, চা-ওয়ালাকে ফেরালেন বিডিও - Mahishadal BDO IN CONTROVERSY - MAHISHADAL BDO IN CONTROVERSY

Mahishadal BDO Lands in Controversy: সরকারি অফিসে টেন্ডারের বিল পাশ হতে নানা ঝুঁকি সামলাতে হয় ঠিকাদারদের, এমন অভিযোগ সবসময় শোনা যায়। এমনকী বিলের টাকা নিয়ে বিভিন্ন সময়ে গরমিলের অভিযোগও ওঠে। কিন্তু চায়ের দোকানের বিল মাসের পর ফেলে রাখার নজির বোধহয় খুব একটা নেই, তাও আবার সরকারি অফিসে ৷ এমনটাই হল পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলে ৷

Mahishadal BDO
চা-ওয়ালা নন্দ মাইতি (ইটিভি ভারত)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jul 15, 2024, 11:03 PM IST

Updated : Jul 15, 2024, 11:13 PM IST

মহিষাদল, 15 জুলাই: চা-খেয়ে দাম না-দেওয়ার অভিযোগ উঠল ব্লক প্রশাসনের বিরুদ্ধে। বকেয়া প্রায় 14 হাজার টাকা পেতে গেলে দেখাতে হবে দোকান ঘরের দলিল। বিডিও সাহেব নাকি এমনটাই নিদান দিয়ছেন বলে অভিযোগ জানালেন, বৃদ্ধ দোকানদার। অভিযোগ অস্বীকার বিডিও'র। বকেয়া টাকা না-দেওয়ায়, নবান্নে মোবাইলের মাধ্যমে অভিযোগ। চা-দোকানের টাকা না দেওয়ায় কটাক্ষ বিরোধী শিবিরের। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মহিষাদলে।

চা-ওয়ালাকে ফেরালেন বিডিও (ইটিভি ভারত)

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মহিষাদলের ব্লক প্রশাসনের ছোট্ট একটি চা-দোকানে বিল বাকি রয়েছে। যার পরিমাণ মাত্র 13 হাজার 600 টাকা। সামান্য একটা চা-দোকানে কী করে হল এত টাকার বিল? তা নিয়েই উঠছে নানা প্রশ্ন।

সূত্রের খবর, দিনের পর দিন ব্লক ও পঞ্চায়েত সমিতির নানা মিটিংয়ে চায়ের পাশাপাশি খাওয়া হয়েছে বিস্কুট, কফি, ঝালমুড়ি-সহ আরও অনেক কিছু। তাই দীর্ঘদিনের টাকা না-দেওয়ায় পরিমাণ বেড়ে গিয়েছে। এই পাওনা টাকা চাইতে গেলে পেতে হয় ব্লক প্রশাসনের ধমক। মহিষাদল পঞ্চায়েত সমিতির অনুমোদিত ক্যান্টিনের কর্মীরা অসুস্থ থাকার জন্য তাঁদের দোকান বেশ কয়েকমাস ধরে বন্ধ ছিল। সেই সময় পঞ্চায়েত সমিতির কিছুটা দূরে হিজলি টাইডাল ক্যানেলের পাড়ে গড়ে ওঠা নন্দ মাইতির এই দোকান থেকে চা, বিস্কুট, কফি, ঝালমুড়ি প্রভৃতি সরবরাহ করা হত।

সেই বিলের পরিমাণ এখন দাঁড়িয়েছে প্রায় 14 হাজার টাকা। এই বকেয়া টাকা দীর্ঘদিন ধরে পাচ্ছেন না নন্দ মাইতি। এমনকী বকেয়া বিল পেতে একাধিকবার ব্লক প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েও সেই টাকা এখনও পর্যন্ত মেলেনি। আর এতগুলো টাকা না-পেয়ে সমস্যায় পড়েছেন এই বৃদ্ধ চা-ওয়ালা। এমনকী বকেয়া চাইতে গেলে বিডিও তাঁকে ধমক দিয়ে দোকানঘরের জায়গার কাগজ দেখতে চেয়েছেন বলে দাবি নন্দবাবুর ৷ তবে বিষয়টি এমন নয় বলে মহিষাদলের দাবি বিডিও বরুণাশিস সরকারের ৷

তিনি বলেন, "আমি আসার আগে এই ঘটনা ঘটেছে। উনি যে অভিযোগ করছেন তা ভিত্তিহীন। ওই পরিমাণ টাকা বাকি নেই। আর যেহেতু সরকারি জায়গায় যাঁরা রয়েছেন তাঁদের তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু হয়েছে, তাই ওঁকে দোকানের জায়গার কী কাগজ আছে তা আনতে বলা হয়েছে।" এনিয়ে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শিউলি দাস বলেন, "নন্দ মাইতি বকেয়া টাকা পাওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। পুরো বিষয়টি আমাদের জানতে হবে।"

মহিষাদল, 15 জুলাই: চা-খেয়ে দাম না-দেওয়ার অভিযোগ উঠল ব্লক প্রশাসনের বিরুদ্ধে। বকেয়া প্রায় 14 হাজার টাকা পেতে গেলে দেখাতে হবে দোকান ঘরের দলিল। বিডিও সাহেব নাকি এমনটাই নিদান দিয়ছেন বলে অভিযোগ জানালেন, বৃদ্ধ দোকানদার। অভিযোগ অস্বীকার বিডিও'র। বকেয়া টাকা না-দেওয়ায়, নবান্নে মোবাইলের মাধ্যমে অভিযোগ। চা-দোকানের টাকা না দেওয়ায় কটাক্ষ বিরোধী শিবিরের। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মহিষাদলে।

চা-ওয়ালাকে ফেরালেন বিডিও (ইটিভি ভারত)

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মহিষাদলের ব্লক প্রশাসনের ছোট্ট একটি চা-দোকানে বিল বাকি রয়েছে। যার পরিমাণ মাত্র 13 হাজার 600 টাকা। সামান্য একটা চা-দোকানে কী করে হল এত টাকার বিল? তা নিয়েই উঠছে নানা প্রশ্ন।

সূত্রের খবর, দিনের পর দিন ব্লক ও পঞ্চায়েত সমিতির নানা মিটিংয়ে চায়ের পাশাপাশি খাওয়া হয়েছে বিস্কুট, কফি, ঝালমুড়ি-সহ আরও অনেক কিছু। তাই দীর্ঘদিনের টাকা না-দেওয়ায় পরিমাণ বেড়ে গিয়েছে। এই পাওনা টাকা চাইতে গেলে পেতে হয় ব্লক প্রশাসনের ধমক। মহিষাদল পঞ্চায়েত সমিতির অনুমোদিত ক্যান্টিনের কর্মীরা অসুস্থ থাকার জন্য তাঁদের দোকান বেশ কয়েকমাস ধরে বন্ধ ছিল। সেই সময় পঞ্চায়েত সমিতির কিছুটা দূরে হিজলি টাইডাল ক্যানেলের পাড়ে গড়ে ওঠা নন্দ মাইতির এই দোকান থেকে চা, বিস্কুট, কফি, ঝালমুড়ি প্রভৃতি সরবরাহ করা হত।

সেই বিলের পরিমাণ এখন দাঁড়িয়েছে প্রায় 14 হাজার টাকা। এই বকেয়া টাকা দীর্ঘদিন ধরে পাচ্ছেন না নন্দ মাইতি। এমনকী বকেয়া বিল পেতে একাধিকবার ব্লক প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েও সেই টাকা এখনও পর্যন্ত মেলেনি। আর এতগুলো টাকা না-পেয়ে সমস্যায় পড়েছেন এই বৃদ্ধ চা-ওয়ালা। এমনকী বকেয়া চাইতে গেলে বিডিও তাঁকে ধমক দিয়ে দোকানঘরের জায়গার কাগজ দেখতে চেয়েছেন বলে দাবি নন্দবাবুর ৷ তবে বিষয়টি এমন নয় বলে মহিষাদলের দাবি বিডিও বরুণাশিস সরকারের ৷

তিনি বলেন, "আমি আসার আগে এই ঘটনা ঘটেছে। উনি যে অভিযোগ করছেন তা ভিত্তিহীন। ওই পরিমাণ টাকা বাকি নেই। আর যেহেতু সরকারি জায়গায় যাঁরা রয়েছেন তাঁদের তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু হয়েছে, তাই ওঁকে দোকানের জায়গার কী কাগজ আছে তা আনতে বলা হয়েছে।" এনিয়ে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শিউলি দাস বলেন, "নন্দ মাইতি বকেয়া টাকা পাওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। পুরো বিষয়টি আমাদের জানতে হবে।"

Last Updated : Jul 15, 2024, 11:13 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.