বর্ধমান, 30 জুন: বার্বাডোজের রাজধানী ব্রিজটাউনের কেনসিংটন ওভাল গ্রাউন্ডে দক্ষিণ আফ্রিকার ডেভিড মিলারের দুর্দান্ত ক্যাচ সূর্যকুমার তালুবন্দি করতেই গর্জে উঠল গোটা দেশ ৷ আর তার পরই দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে ভারতের হাতে এল দ্বিতীয় টি-20 বিশ্বকাপ ৷ সেই আনন্দে গভীর রাতেও উৎসব চলল দেশজুড়ে ৷ বাদ যায়নি বাংলা ৷ ব্রিজটাউন থেকে 14,635 কিলোমিটার দূরে বর্ধমান শহরের কার্জন গেটে চলল রাতভর সেলিব্রেশন ৷
1902-03 সালে নির্মিত বর্ধমান কার্জন গেটকে শনিবার রাতে দেখে মনে হচ্ছিল যেন ব্রিজটাউন লাগোয়া কোনও জায়গা । জাতীয় পতাকা হাতে কাতারে কাতারে মানুষের ঢল নামল রাস্তাজুড়ে । চারিদিকে ফাটছে বাজি, পুড়ছে আতসবাজি । কার্জন গেটের উলটো দিকে প্রায় বিরাট মাপের টিভিতেও তখন মেন-ইন-ব্লুর বিশ্বজয়ের উল্লাস ৷ আর তারই রেশ ছড়িয়ে পড়ে বর্ধমানের রাস্তায় ৷
শনিবার খেলা শুরু হতেই ভিড় জমতে শুরু করেছিল কার্জনগেট চত্বরে । টসে জিতে ভারত ব্যাট করতে নেমে 2 ওভারের মাথায় 23 রানে রোহিত শর্মা ও ঋষভ পন্থের উইকেট হারানোর পরে 5 ওভারের মাথায় সূর্যকুমার যাদব যখন ধুঁকছেন, তখন গত বিশ্বকাপ ফাইনাল ম্যাচের স্মৃতি আঁকড়ে প্রমাদ গুনতে শুরু করে বর্ধমানবাসী ৷ চারিদিকের পরিবেশ থমথমে হয়ে যায় ৷ পরে অবশ্য বিরাট কোহলির অনবদ্য 59 বলে 76 রান, অক্ষর প্যাটেলের 31 বলে 47 রান ও শিবম দুবের 16 বলে 27 রান বুকে বল ফিরিয়ে দেয় ৷
176 রান তাড়া করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকাও বুমরা ও অর্শদীপের বোলিংয়ে নাকানি-চোবানি খেয়ে তৃতীয় ওভারেই দুটি উইকেট খুইয়ে বসে । এরপর খেলার হাল ধরে হেনরিক ক্লাসেন ও ডেভিড মিলার । তবে মিলারের অসাধারণ ক্যাচ সূর্যকুমার যাদব তালুবন্দি করতেই খেলার অভিমুখ ঘুরে যায় । 13 বছর পর দ্বিতীয় বারের জন্য টি-20 বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয় রোহিত অ্য়ান্ড কোম্পানি ৷ গভীর রাতে বর্ধমানবাসীর বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে তখন আরও ঝলমলে কার্জনগেট চত্বর ৷ বাজি, পটকায় রাতভর চলল উৎসবের মেজাজ ৷ যখন ভোরের আলো ফুটছে, তখন একরাশ ভালোলাগা ও তৃপ্তি নিয়ে কার্জন গেট চত্বর ছেড়ে ঘরমুখী হল বর্ধমানবাসী ৷