বারাসত, 20 এপ্রিল: বিতর্ক যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না ৷ পদ্মপ্রার্থী স্বপন মজুমদারের 'বিধায়ক' গাড়ি নিয়ে অভিযোগ, এমএলএ 'স্টিকার' দেওয়া একের পর এক গাড়িতে তিনি নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছেন ৷ যা কমিশনের নিয়ম বিরুদ্ধ বলেই মত একাংশের ৷ যদিও বিষয়টি নিয়ে অযথা বিতর্ক তৈরি করা হচ্ছে বলে পালটা যুক্তি দেওয়ার চেষ্টা করেছেন বারাসতের পদ্মপ্রার্থী ৷ এমনকী, নিয়ম মেনেই তিনি তাঁর গাড়িতে এমএলএ 'স্টিকার' ব্যবহার করছেন বলে দাবি করেন ।
বারাসত কেন্দ্রের পদ্মপ্রার্থী স্বপন মজুমদার এই মুহূর্তে বনগাঁ দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক ৷ বিধায়কদের এমএলএ 'স্টিকার' দেওয়া গাড়ির পাস ইস্যু হয়ে থাকে বিধানসভা থেকে। সেই 'স্টিকার' তাঁরা নিজের গাড়িতে ব্যবহার করে থাকেন ৷ সূত্রের খবর, বিধায়ক স্বপন মজুমদারের নিজের নামে একটি কিয়া কার্নিভাল ও একটি স্করপিও গাড়ি রয়েছে। স্করপিও গাড়িটিতেই এমএলএ 'স্টিকার' ইস্যু করা হয়েছে ৷ অথচ তিনি নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে আরও একটি স্করপিও গাড়ি এবং কিয়া কার্নিভাল গাড়িতে এই 'স্টিকার' ব্যবহার করছেন বলে অভিযোগ ৷
এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে স্বপন মজুমদার বলেন, "আমার সঙ্গে তিনটি গাড়ি থাকে ৷ একটি স্করপিও গাড়িতে কোনও 'স্টিকার' দেওয়া থাকে না ৷ বাকি দু'টি গাড়িতে এমএলএ 'স্টিকার' থাকে ঠিকই ৷ তবে, সেটা পরিস্থিতি অনুযায়ী ৷ কিয়া কার্নিভাল গাড়িটি অনেক সময় গলির ভিতরে ঢুকতে পারে না ৷ তখন সেই গাড়ি থেকে এমএলএ 'স্টিকার' খুলে স্করপিও গাড়িতে লাগিয়ে সেটা ব্যবহার করে থাকি ৷ তাই স্টিকার একটাই ৷ এ নিয়ে অযথা বিতর্ক তৈরি করা হচ্ছে ৷ আসলে তৃণমূল প্রার্থী কাকলি ঘোষ দস্তিদার ভয় পেয়েছেন । তাই ভিত্তিহীন অভিযোগ করছেন ৷"
এই বিষয়ে খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ বলেন, "আমিও তো বিধায়ক! তারপর মন্ত্রী হয়েছি ৷ কিন্তু বিধায়ক বলে আমাকে তো এমএলএ 'স্টিকার' দেওয়া গাড়িতে ঘুরতে হচ্ছে না ৷ এখন নির্বাচন চলছে ৷ তাই কমিশনের কিছু বিধিনিষেধ রয়েছে ৷ বিষয়টি আপনাদের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করলাম ৷ কমিশনের উচিত বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া ৷"
আরও পড়ুন: