কলকাতা, 30 জুলাই: ফের মহানগরে দুষ্কৃতী দৌরাত্ম । অভিযোগ, ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন বাইপাসের উপরে একটি পানশালার বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা পার্কিং লটের একের পর এক অভিজাত গাড়িতে দেদার ভাঙচুর চালানো হল । হাতে লাঠি এবং ইট নিয়ে 10-12 জন দুষ্কৃতী ধ্বংসলীলা চালিয়েছে বলে পানশালা কর্তৃপক্ষের তরফে অভিযোগ ।
জানা গিয়েছে, শত্রুতার জেরেই এই ঘটনা ৷ পানশালার কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে স্থানীয় আনন্দপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে । সেখানকে বলা হয়েছে, পার্কিং লটে দাঁড়িয়ে থাকা 10-12টি গাড়িতে ভাঙচুর চালিয়েই দুষ্কৃতীরা থামেননি, পানশালার ভিতরেও ভাঙচুর চালানো হয় ৷ পানশালা কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, তাদের কয়েকজন কর্মী এবং নিরাপত্তা রক্ষীদেরও বেধড়ক মারধর করা হয় । ক্যাশ কাউন্টার থেকে টাকা নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা । যাওয়ার সময় ভিতর এবং বাইরের একাধিক সিসিটিভি ক্যামেরা ভেঙে দিয়ে যায় ।
তথ্য-প্রমাণ এবং পানশালা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তদন্তকারীরা কথা বলে জানতে পেরেছেন, ব্যবসায়িক শত্রুতার জেরেই এই ঘটনা । ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতীর নাম জানতে পেরেছেন গুণ্ডাদমন শাখার গোয়েন্দারা । টাকা-পয়সা লেনদেন এবং পাওনা টাকা উসুলের জন্যই দুষ্কৃতীরা এই হামলা চালিয়েছে বলে অনুমান ।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক কলকাতা পুলিশের গুণ্ডাদমন শাখার এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘‘আমরা পারিপার্শ্বিক তথ্য-প্রমাণ জোগাড় করে এবং সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে কয়েকজন দুষ্কৃতীকে চিহ্নিত করতে পেরেছি । তবে আনন্দপুর থানার তরফ থেকে এখনও পর্যন্ত কাউকে আটক বা গ্রেফতার করা হয়নি ।
এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে পুলিশি নিরাপত্তা নিয়েও । কারণ, রাতের শহরে প্রতিনিয়ত আনন্দপুর থানা এবং ময়দান থানার বেশ কয়েকটি টহলদারি ভ্যান টহল দেয় ৷ অভিযোগ, এক্ষেত্রে কেন বিষয়টি পুলিশের টহলদারি ভ্যানের নজরে এল না ? একইসঙ্গে দুষ্কৃতী তাণ্ডব চলাকালীন কেন পুলিশকে জানানো হল না, তা-ও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা ৷