ETV Bharat / state

'কমোডের ফ্ল্যাশ পাইপ ভাঙার অনুরোধ করেছি', বাংলাদেশের সাংসদ খুনে বললেন প্রধান গোয়েন্দা - Bangladesh MP Murder Case - BANGLADESH MP MURDER CASE

Bangladesh MP Murder Case: বাংলাদেশের সাংসদ আনওয়ারুল আজিমের দেহের অংশ খুঁজে পাওয়া যায়নি ৷ এদিকে 26 মে এই তদন্তে রাজ্যে এসেছেন বাংলাদেশের গোয়েন্দা প্রধান হারুন অর রশিদ ৷ দেহ না পাওয়া গেলে তদন্তের কী হবে ? সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানালেন, তিনি আশাবাদী ৷ এমনকী সিআইডির কাজেও তিনি সন্তুষ্ট ৷

Bangladesh MP Murder Case
বাংলাদেশের গোয়েন্দা প্রধান হারুন রশিদ (ইটিভি ভারত)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : May 28, 2024, 2:55 PM IST

Updated : May 28, 2024, 5:26 PM IST

কলকাতা, 28 মে: পাওয়া যায়নি বাংলাদেশের সাংসদ আনওয়ারুল আজিমের দেহাংশ ৷ তাও তদন্ত নিয়ে আশাবাদী বাংলাদেশের গোয়েন্দা প্রধান হারুন-অর-রশিদ ৷ এই তদন্তে তিনি বাংলার গোয়েন্দা বিভাগ সিআইডির সঙ্গে কাজ করে খুশি ৷ তিনি বলেন, "সিআইডি তো কাজ করছে ৷ আজও আমরা নিকাশি নালা ভাঙার জন্য বলেছি ৷ হাতিশালার কাঠের ব্রিজের খালে তল্লাশির জন্য বলেছি ৷" ইতিমধ্যে ওই খালে ডুবুরি নামানো হয়েছে ৷ সেতুর উপর দিয়ে ড্রোন ওড়ানো হয়েছে ৷

বাংলাদেশের সাংসদ আনওয়ারুল আজিম খুনে তাঁর ফ্ল্যাটের কমোডের সঙ্গে যুক্ত নিকাশি নালা ভাঙার অনুরোধ জানিয়েছেন গোয়েন্দা প্রধান হারুর অর রশিদ ৷ তিনি বলেন, "ফ্লাশ করার পরে যে নিকাশি নালা, সেটা ভাঙার অনুরোধ করেছি ৷ আশা করি, আজ এই কাজগুলি করবে ৷ হাতিশালা ব্রিজের কাছে যে ক্যানেলটা রয়েছে, সেখানেও তল্লাশি চালাতে অনুরোধ করেছি ৷ সিআইডি অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে লাশের অংশবিশেষ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে ৷"

সাংসদ আনওয়ারুল আজিমের দেহাংশ খুঁজে পাওয়া নিয়ে আশাবাদী বাংলাদেশের গোয়েন্দা প্রধান (ইটিভি ভারত)

আরও পড়ুন: বাংলাদেশ সাংসদ খুনে 5 কোটির সুপারি ! অনুমান সিআইডি'র

গত রবিবার, 16 মে সকালে কলকাতায় আসেন বাংলাদেশের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান হারুন-অর-রাশিদ ৷ বাংলাদেশের 'এক্সট্রা টেরিটোরিয়াল অফেন্স সেকশনের' আওতায় বাংলার গোয়েন্দা বিভাগের সঙ্গ এই তদন্ত করছে বাংলাদেশের গোয়েন্দা বিভাগ ৷

গত 22 মে বুধবার সকালে প্রথম জানা যায়, বাংলাদেশের নিখোঁজ সাংসদকে নিউটাউনের একটি ফ্ল্যাটে খুন করা হয়েছে ৷ সেখানে ফ্রিজে রক্তের দাগ পান তদন্তকারীরা ৷ এরপর ঘটনার তদন্তে নেমে একাধিক তথ্য উঠে আসে ৷ জানা যায়, আনওয়ারুল আজিমকে ক্লোরোফর্ম দিয়ে সংজ্ঞাহীন করা হয় ৷ তারপর শ্বাসরোধ করে তাঁকে খুন করা হয় ৷ পরে মুম্বই থেকে ডেকে আনা বাংলাদেশি কসাই জিহাদকে দিয়ে সাংসদের দেহ টুকরো করা হয় ৷ সেই দেহাংশগুলিতে রাসায়নিক মিশিয়ে পলিথিনের ব্যাগে ভরে ফ্রিজে রাখা হয় ৷ পরে গভীর রাতে দক্ষিণ 24 পরগনার ভাঙড়ের একটি খালে সেই দেহাংশ ফেলে দেয় অভিযুক্তরা ৷ যদিও, এখনও সাংসদের দেহাংশ উদ্ধার করা যায়নি ৷

এখনও পর্যন্ত সাংসদের দেহের কোনও অংশই খুঁজে পাওয়া যায়নি ৷ আনওয়ারুল আজিমের দেহের অংশ না-পাওয়া গেলে তদন্তের কী হবে ? এই প্রসঙ্গে গোয়েন্দা প্রধান বলেন, "দেহের অংশ না পাওয়া গেলে কি বিষয়টি আমাদের কাছে অবহিত হবে না ? সিআইডি পুলিশ প্রতিটি বিষয়ে অত্যন্ত পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবেচনা করে কাজ করছে ৷ আমাদের কাছে মূল ঘাতক রয়েছে, যাঁর পরিচালনায় এই হত্যাকাণ্ড হয়েছে ৷ পাশাপাশি মহিলাও আমাদের অনেক তথ্য দিয়েছে ৷ সেগুলি নিয়েই আমরা বাংলাদেশ থেকে কলকাতায় এসেছি ৷ আসামিকে ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়ে তার বয়ান নিয়েছি ৷ যে তথ্যগুলি নিয়ে এসেছিলাম তার সঙ্গে এখানে হুবহু মিল পেয়েছি ৷"

বাংলাদেশের সাংসদ খুনে গোয়েন্দা প্রধান হারুন ডিজিটাল প্রমাণের উপর জোর দেন ৷ তিনি জানান, একজন মানুষ ফ্ল্যাটে ঢুকলেন তারপর আর বেরলেন না ৷ সন্দেহভাজন কিছু ব্যাগট্যাগ নিয়েও বের হয়েছে ৷ প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের সাংসদ খুনের ঘটনায় ওই ফ্ল্য়াটের যে সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে এসেছে, তাতে একটি সবুজ ট্রলি ব্যাগ নিয়ে একজনকে বেরতে দেখা যাচ্ছে ৷ পিটিআই সূত্রে খবর, এদিন বাংলাদেশের এক গোয়েন্দা আধিকারিক জানিয়েছেন, নিউটাউনের ফ্ল্যাট থেকে যে রক্তের নমুনা পাওয়া গিয়েছিল, তার ডিএনএ পরীক্ষা করে দেখবে বাংলাদেশ পুলিশ ৷ এরপর তাঁর পরিবারের কারও সদস্যের ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে ৷ এই ডিএনএ পরীক্ষা থেকে নিশ্চিত হওয়া যাবে যে, সত্যিই আনওয়ারুল আজিমকে খুন করা হয়েছিল কি না ৷ যদি কোনওভাবে বাংলাদেশের সাংসদের দেহাংশ পাওয়া না যায়, তাহলে এটাই গোয়েন্দাদের কাছে শেষ উপায় হবে ৷

আরও পড়ুন:

বাংলাদেশি সাংসদ খুনে ধৃত কসাইয়ের 12 দিনের সিআইডি হেফাজত

অচৈতন্য করতে ক্লোরোফর্ম, মাংস কাটার সরঞ্জাম দিয়ে দেহ টুকরো ! সাংসদ খুনে চাঞ্চল্যকর তথ্য

কলকাতা, 28 মে: পাওয়া যায়নি বাংলাদেশের সাংসদ আনওয়ারুল আজিমের দেহাংশ ৷ তাও তদন্ত নিয়ে আশাবাদী বাংলাদেশের গোয়েন্দা প্রধান হারুন-অর-রশিদ ৷ এই তদন্তে তিনি বাংলার গোয়েন্দা বিভাগ সিআইডির সঙ্গে কাজ করে খুশি ৷ তিনি বলেন, "সিআইডি তো কাজ করছে ৷ আজও আমরা নিকাশি নালা ভাঙার জন্য বলেছি ৷ হাতিশালার কাঠের ব্রিজের খালে তল্লাশির জন্য বলেছি ৷" ইতিমধ্যে ওই খালে ডুবুরি নামানো হয়েছে ৷ সেতুর উপর দিয়ে ড্রোন ওড়ানো হয়েছে ৷

বাংলাদেশের সাংসদ আনওয়ারুল আজিম খুনে তাঁর ফ্ল্যাটের কমোডের সঙ্গে যুক্ত নিকাশি নালা ভাঙার অনুরোধ জানিয়েছেন গোয়েন্দা প্রধান হারুর অর রশিদ ৷ তিনি বলেন, "ফ্লাশ করার পরে যে নিকাশি নালা, সেটা ভাঙার অনুরোধ করেছি ৷ আশা করি, আজ এই কাজগুলি করবে ৷ হাতিশালা ব্রিজের কাছে যে ক্যানেলটা রয়েছে, সেখানেও তল্লাশি চালাতে অনুরোধ করেছি ৷ সিআইডি অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে লাশের অংশবিশেষ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে ৷"

সাংসদ আনওয়ারুল আজিমের দেহাংশ খুঁজে পাওয়া নিয়ে আশাবাদী বাংলাদেশের গোয়েন্দা প্রধান (ইটিভি ভারত)

আরও পড়ুন: বাংলাদেশ সাংসদ খুনে 5 কোটির সুপারি ! অনুমান সিআইডি'র

গত রবিবার, 16 মে সকালে কলকাতায় আসেন বাংলাদেশের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান হারুন-অর-রাশিদ ৷ বাংলাদেশের 'এক্সট্রা টেরিটোরিয়াল অফেন্স সেকশনের' আওতায় বাংলার গোয়েন্দা বিভাগের সঙ্গ এই তদন্ত করছে বাংলাদেশের গোয়েন্দা বিভাগ ৷

গত 22 মে বুধবার সকালে প্রথম জানা যায়, বাংলাদেশের নিখোঁজ সাংসদকে নিউটাউনের একটি ফ্ল্যাটে খুন করা হয়েছে ৷ সেখানে ফ্রিজে রক্তের দাগ পান তদন্তকারীরা ৷ এরপর ঘটনার তদন্তে নেমে একাধিক তথ্য উঠে আসে ৷ জানা যায়, আনওয়ারুল আজিমকে ক্লোরোফর্ম দিয়ে সংজ্ঞাহীন করা হয় ৷ তারপর শ্বাসরোধ করে তাঁকে খুন করা হয় ৷ পরে মুম্বই থেকে ডেকে আনা বাংলাদেশি কসাই জিহাদকে দিয়ে সাংসদের দেহ টুকরো করা হয় ৷ সেই দেহাংশগুলিতে রাসায়নিক মিশিয়ে পলিথিনের ব্যাগে ভরে ফ্রিজে রাখা হয় ৷ পরে গভীর রাতে দক্ষিণ 24 পরগনার ভাঙড়ের একটি খালে সেই দেহাংশ ফেলে দেয় অভিযুক্তরা ৷ যদিও, এখনও সাংসদের দেহাংশ উদ্ধার করা যায়নি ৷

এখনও পর্যন্ত সাংসদের দেহের কোনও অংশই খুঁজে পাওয়া যায়নি ৷ আনওয়ারুল আজিমের দেহের অংশ না-পাওয়া গেলে তদন্তের কী হবে ? এই প্রসঙ্গে গোয়েন্দা প্রধান বলেন, "দেহের অংশ না পাওয়া গেলে কি বিষয়টি আমাদের কাছে অবহিত হবে না ? সিআইডি পুলিশ প্রতিটি বিষয়ে অত্যন্ত পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবেচনা করে কাজ করছে ৷ আমাদের কাছে মূল ঘাতক রয়েছে, যাঁর পরিচালনায় এই হত্যাকাণ্ড হয়েছে ৷ পাশাপাশি মহিলাও আমাদের অনেক তথ্য দিয়েছে ৷ সেগুলি নিয়েই আমরা বাংলাদেশ থেকে কলকাতায় এসেছি ৷ আসামিকে ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়ে তার বয়ান নিয়েছি ৷ যে তথ্যগুলি নিয়ে এসেছিলাম তার সঙ্গে এখানে হুবহু মিল পেয়েছি ৷"

বাংলাদেশের সাংসদ খুনে গোয়েন্দা প্রধান হারুন ডিজিটাল প্রমাণের উপর জোর দেন ৷ তিনি জানান, একজন মানুষ ফ্ল্যাটে ঢুকলেন তারপর আর বেরলেন না ৷ সন্দেহভাজন কিছু ব্যাগট্যাগ নিয়েও বের হয়েছে ৷ প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের সাংসদ খুনের ঘটনায় ওই ফ্ল্য়াটের যে সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে এসেছে, তাতে একটি সবুজ ট্রলি ব্যাগ নিয়ে একজনকে বেরতে দেখা যাচ্ছে ৷ পিটিআই সূত্রে খবর, এদিন বাংলাদেশের এক গোয়েন্দা আধিকারিক জানিয়েছেন, নিউটাউনের ফ্ল্যাট থেকে যে রক্তের নমুনা পাওয়া গিয়েছিল, তার ডিএনএ পরীক্ষা করে দেখবে বাংলাদেশ পুলিশ ৷ এরপর তাঁর পরিবারের কারও সদস্যের ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে ৷ এই ডিএনএ পরীক্ষা থেকে নিশ্চিত হওয়া যাবে যে, সত্যিই আনওয়ারুল আজিমকে খুন করা হয়েছিল কি না ৷ যদি কোনওভাবে বাংলাদেশের সাংসদের দেহাংশ পাওয়া না যায়, তাহলে এটাই গোয়েন্দাদের কাছে শেষ উপায় হবে ৷

আরও পড়ুন:

বাংলাদেশি সাংসদ খুনে ধৃত কসাইয়ের 12 দিনের সিআইডি হেফাজত

অচৈতন্য করতে ক্লোরোফর্ম, মাংস কাটার সরঞ্জাম দিয়ে দেহ টুকরো ! সাংসদ খুনে চাঞ্চল্যকর তথ্য

Last Updated : May 28, 2024, 5:26 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.