জলপাইগুড়ি, 8 অগস্ট: ছাত্র আন্দোলন থেকে শুরু করে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর অশান্ত পরিবেশ তৈরি হয়েছে ৷ প্রতিনিয়ত পদ্মাপারের অশান্তির খবর সামনে আসছে ৷ গণহত্যা থেকে শুরু করে হিংসাত্মক ঘটনা সামনে আসছে ৷ উত্তপ্ত পরিস্থিত থেকে রেহাই পেতে অনেকেই সে দেশ ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ভারতে আসছেন ৷ বুধবার রাতে বিএসএফে-র উত্তরবঙ্গ ফ্রন্টিয়ার থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে এদিন দুপুরে প্রায় 300 জন বাংলাদেশের নাগরিক সীমান্তে জড়ো হয়। তাঁরা ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করেন ৷ যদিও জওয়ানদের তৎপরতায় তা আটকানো গিয়েছে ৷
ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে দাঁড়িয়ে এমনই কাতর আবেদন করলেন বাংলাদেশের নির্যাতিত নাগরিকরা ৷ তাঁদের আর্জি, "আমরা বাংলাদেশে থাকতে পারছি না। আপনারা আমাদের দয়া করে নিয়ে যান। আমাদের বাড়ি ঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আমরা ভারতে থাকতে চাই। ভারত সরকারের কাছে আমাদের আবেদন। আমাদের সুদৃষ্টিতে দেখুন।"
এদিন বিএসএফের বাধায় ভারতীয় ভূখন্ডে তাঁরা প্রবেশ করতে ব্যর্থ হয়। বাংলাদেশের পঞ্চগড় জেলা প্রশাসন ও বিজিবি (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ)-র আশ্বাসে রাতে নিজেদের দেশে ফিরে যান কয়েকশো বাংলাদেশের নাগরিক। বিশেষ করে বাংলাদেশের পঞ্চগড় জেলার বানিয়া পাড়া, লাহিড়ি পাড়া, পানিডুবি, বোনাপাড়া, বলগ্রাম, চিড়াকুটি, সানসেন পাড়া, কাঠুয়া মারি এলাকা থেকে ভারতীয় গ্রাম ধরধুরাপাড়া এলাকায় চলে এসেছিলেন ওই বাংলাদেশি নাগরিকরা। ঘটনাটি বিএসএফের 93 ব্যাটেলিয়ানের জওয়ানদের নজরে পরে। তাদেরকে বাংলাদেশের ভূখন্ডে ফিরিয়ে দিয়ে আলোচনা শুরু হয়। নাগরিকদের সঙ্গে কথা বলেই জানা গিয়েছে, তাদের দাবি ভারতে আশ্রয় দিতে হবে। এরপর বিএসএফের তরফে বাংলাদেশের পঞ্চগড় জেলা প্রশাসন ও বিজিবির সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে।
বিএসএফের তরফে জানানো হয়েছে, প্রথমে 35টি পরিবারকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর আবারও বাংলাদেশের নাগরিকরা কাঁটাতারহীন ভারতীয় ভূখন্ডে ঢোকার চেষ্টা করেন বাংলাদেশের অনুপ্রবেশকারীরা। এর পর ঘটনাস্থলে পৌছান বিএসএফ ও জলপাইগুড়ি জেলার পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিকরা। রাতেই বিজিবি ও বাংলাদেশের প্রশাসনের সাথে কথা বলে তাদের নিরাপত্তা আশ্বস্থ করেন। এরপর তারা সীমান্ত এলাকা ছেড়ে ফের দেশে ফিরে যান। ইতিমধ্যেই সীমান্তে বাড়তি বাহিনী মোতায়েনের পাশাপাশি হাই এলার্ট রয়েছে।