কাকদ্বীপ, 20 অগস্ট: ফের নতুন করে নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়েছে বঙ্গোপসাগরে ৷ আগামী কয়েকদিন উত্তাল থাকতে পারে সমুদ্র । তাই সমুদ্রে যাওয়ায় মৎস্যজীবীদের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে । তবে অনেক মৎস্যজীবী ইতিমধ্যে সমুদ্রে রয়েছেন ৷ তাঁদের গভীর সমুদ্র থেকে বন্দরে ফেরার নির্দেশ দিল মৎস্য দফতর ৷
নিম্নচাপের কারণে মঙ্গলবার ভোররাত থেকে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় শুরু হয়েছে মুষলধারে বৃষ্টি । বেশ কয়েকদিন ধরে এই বৃষ্টি চলবে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর । হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের কাছে উত্তর বঙ্গোপসাগরে ঘণ্টায় 35-45 কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে । হাওয়ার সর্বোচ্চ বেগ হতে পারে ঘণ্টায় 55 কিমি । এর জেরে উত্তাল হতে পারে সমুদ্র ৷ মৎস্যজীবীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে তাঁদের আগামী 25 অগস্ট পর্যন্ত গভীর সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে ।
মৎস্য দফতরের নিষেধাজ্ঞা পাওয়ার পর গভীর সমুদ্র থেকে ফিরতে শুরু করেছন মৎস্যজীবীরা ৷ একে একে মৎস্যজীবীরা ট্রলারগুলিকে উপকূল তীরবর্তী এলাকার বন্দরগুলিতে নিরাপদে আশ্রয়ে নিয়ে আসছেন । এ বিষয়ে সুন্দরবন মৎস্যজীবী শ্রমিক ইউনিয়নের সম্পাদক সতীনাথ পাত্র বলেন, "হঠাৎই সমুদ্রের আবহাওয়া খারাপ হয়ে গিয়েছে ৷ গভীর সমুদ্র থেকে মৎস্যজীবীদের বন্দরে ফিরে আসার নির্দেশিকা জারি করেছে মৎস্য দফতর । মৎস্য দফতরের জারি করা নির্দেশিকা অনুযায়ী বহু মৎস্যজীবী ট্রলার গভীর সমুদ্র থেকে ইতিমধ্যেই বন্দরে ফিরে এসেছে । যে সকল মৎস্যজীবীরা গভীর সমুদ্রে এখনও পর্যন্ত মাছ ধরছে তাঁদেরকে আমরা বার্তা পাঠিয়েছি । তাঁরাও খুব দ্রুত বন্দরে ফিরে আসবে ।"
জানা গিয়েছে, ইলিশের মরশুম শুরু হতে একের পর এক দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বারবার মৎস্য দফতর ৷ আর এর ফলে কার্যত সমুদ্রে ইলিশ থাকলেও মৎস্যজীবীদের জালে উঠছে না মাছ । ইলিশের যোগান দিতে পাচ্ছেন না মৎস্যজীবীরা ৷ বাজারে এর ফলে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন মৎস্যজীবীরা । আবহাওয়ার উন্নতি হলে আবারও গভীর সমুদ্রে রুপোলি শস্যের খোঁজে পাড়ি দেবেন মৎস্যজীবীরা ।