ETV Bharat / state

ঝুলনেও থিমের বাহার, হারিয়ে যেতে বসা লোক-উৎসবে ফিরলেন রূপচাঁদ পক্ষী - JHULAN UTSAV 2024

Jhulan Utsav 2024: দুর্গাপুজো থেকে অন্যান্য পুজোয় আগেই থিমের ছোঁয়া লেগেছে ৷ এবার ঝুলনেও থিমের বাহার ৷ বরানগরের বক্সি বাড়ি সেজে উঠেছে ঝুলনের পুতুলে ৷ তাদের ভাবনা, 'পুরনো কলকাতার ইতিকথা ।'

Jhulan Utsav
বক্সি বাড়ির ঝুলনের থিম, পুরনো কলকাতার ইতিকথা (নিজস্ব ছবি)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Aug 25, 2024, 1:42 PM IST

কলকাতা, 25 অগস্ট: বরানগরের সিঁথির মোড় থেকে অটোতে দর্জিপাড়া নেমে মিনিট পাঁচেকের হাঁটা পথ । এইটুকু পথ চলে এলেই হরিসভার পাশের বক্সি বাড়িতে বসেছে ঝুলন । অতি ব্যস্ত আধুনিক যুগেও ঝুলন ৷ ভাবা যায় ! কারণ জন্মাষ্টমী থেকে ঝুলনের মতো উৎসবগুলি এখন বইয়ের পাতায় এবং পুরনো মানুষদের স্মৃতিতে রয়ে গিয়েছে । রাখি পূর্ণিমা এবং কিছুটা জন্মাষ্টমী বাজার সংষ্কৃতিতে এখনও জায়গা পেলেও, ঝুলন উৎসব প্রায় অস্তাচলে । অথচ ঝুলন হিন্দু এবং বাঙালির উৎসবের পটচিত্র । যার মধ্যে দিয়ে লোককথা, লোকাচার এবং পৌরাণিক চরিত্রগুলো সামনে আসে ।

বক্সি বাড়িতে বসেছে ঝুলন (ইটিভি ভারত)

বরানগরের বক্সি বাড়ির ঝুলন সেই হারিয়ে যেতে বসা লোকসংস্কৃতি বয়ে নিয়ে চলেছে । কলকাতা শহর সংলগ্ন বরানগর চিরকালই আধ্যাত্মিকতার ছোঁয়ায় সমৃদ্ধ । এখানকার পাঠবাড়িতে রয়েছে মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্যের পাদুকা । এখানেই কামারপুকুর থেকে ফেরার পথে অঘোর ডাকাতদের হাতে আক্রান্ত হয়েছিলেন সারদা মা । আবার রাজনৈতিক দিক থেকেও বরানগর যথেষ্ট প্রাসঙ্গিক । বক্সিবাড়ির ঝুলনে এবার উঠে এসেছে, 'পুরনো কলকাতার ইতিকথা ।'

Jhulan Utsav
হারিয়ে যেতে বসা লোকসংস্কৃতি ঠাঁই পেয়েছে থিমে (নিজস্ব ছবি)

বাংলার ঝুলনে থিমের ভাবনা ও অতীত স্মরণ

আজকের মতো পুরনো দিনের কলকাতায় গান গাইলেই তা সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার চল ছিল না । রেকর্ড ক্যাসেট ডিস্ক স্বপ্নেও ছিল না । ঊনবিংশ শতকে কলকাতায় গান-নাটক বলতে পালাগান, কবির লড়াই । সেখানে গাওয়া গান লোকমুখে জনপ্রিয় হত । এমন পরিস্থিতিতে রূপচাঁদ বলে একজন মানুষ ছিলেন, যিনি হুজুগ উঠলেই গান বাঁধতেন । গানের বিষয় ছিল সমসাময়িক সমাজ । রেল, বিধবা বিবাহ, কন্যাদায় এবং নানাবিধ সামাজিক কর্মকাণ্ড । এবং সেই গান শহর জুড়ে আলোড়ন ফেলত । এমনকি তাঁর সেই গানে মিশে থাকত ইংরেজি শব্দও ।

Jhulan Utsav
বক্সি বাড়ির ঝুলনের থিমে রূপচাঁদ পক্ষী (নিজস্ব ছবি)

শিবনাথ শাস্ত্রীর 'রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ' গ্রন্থে পাওয়া যায়, "শহরের ভদ্র গৃহের নিষ্কর্মা সন্তানগণের অনেকে পক্ষীর দলের সভ্য হইয়াছিল । দলে ভর্তি হইবার সময় এক একজন এক একটি পক্ষীর নাম পাইত ৷" এই রকমই একটি দল ছিল রূপচাঁদের । রূপচাঁদ পক্ষী মনে করতেন তিনি নাকি উড়েও যেতে পারেন ! তাই খাঁচায় করে আসতেন । গায়ে তাঁর পাখির বেশভূষা ।

বক্সি বাড়ির ঝুলনের থিমে রূপচাঁদ পক্ষী

রূপচাঁদের গান, "আমারে ফ্রড করে রামকৃষ্ণ কোথায় গেলি? / আইএম ফর ইউ ভেরি সরি /আমার গোল্ডেন বডি হল কালি । /আমারে ফ্রড করে....।" পুরনো লেখায় পাওয়া রূপচাঁদের অবয়বকেই এবার মাটি, রঙ দিয়ে তুলে ধরা হয়েছে বরানগর বক্সি বাড়ির ঝুলনে ।

ঝুলনে কেন থিম ?

এ বিষয়ে উদ্যোক্তা মৃণাল বক্সি বলেন, "হারিয়ে যেতে বসা ঝুলন উৎসবকে মানুষের কাছে নতুনভাবে তুলে ধরতেই থিমের পথে হেঁটেছি আমরা । ঝুলন মানেই রাধাকৃষ্ণের প্রেম কথায় সীমাবদ্ধ নয় । ঝুলন সমসাময়িক সময়ের আয়না, যা বাংলার পুতুলের মধ্যে দিয়ে ফুটিয়ে তোলা হত ।"

Jhulan Utsav
বরানগরের বক্সি বাড়ির বিখ্যাত ঝুলন (নিজস্ব ছবি)

বক্সি বাড়ির ঝুলন সেইকাজটাই করেছে আধুনিকতার মোড়কে । তাই এবারের ঝুলনে তাঁদের ভাবনা 'পুরনো কলকাতার ইতিকথা।' মৃণাল বক্সি বলেন, "গত কয়েক শতকের পুরনো কলকাতার কিছু খণ্ডচিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করেছি আমরা । রূপচাঁদ ছাড়াও রাখা হয়েছে ভিক্টোরিয়া, কালীঘাট মন্দির, চড়ক, কবিগানের লড়াই । এমনকি পাথুরিয়াঘাটার মল্লিকদের শখের জেব্রাগাড়ির মডেলও দেখতে পাবেন এই ঝুলনে । গতবার আমরা তিনশো পুতুলের ঝুলন করেছিলাম । এবার তিনশো পুতুল রাখা হয়নি পুরনো কলকাতাকে তুলে ধরার জন্য ।"

বক্সি বাড়ির ঝুলনের থিমে ভিস্তিওয়ালার মডেলে পুরনো কলকাতার ছবি আঁকা হয়েছে । শহরের গোধূলিতে রাস্তা দিয়ে টুং টুং শব্দে যাত্রী নিয়ে টানা রিক্সার চলে যাওয়াও নস্টালজিক করে তুলতে পারে আপনাকে । কিংবা ওই দূরে বটগাছের নীচে কচিকাঁচাদের বায়োস্কোপ দেখার ভিড় আপনার ভালোলাগাকে বাড়িয়ে তুলবে অনেকটাই । আর বেয়ারাদের বয়ে নিয়ে যাওয়া সুন্দর পালকিটা দেখলে নিশ্চয় কানে এসে পৌঁছবে সেই 'হুন হু না, হুন হু না, পালকি চলে হুন না' শব্দগুলো ।

Jhulan Utsav
পুরনো কলকাতার ইতিকথা (নিজস্ব ছবি)

অথবা পুরনো কলকাতার চাঁদপাল ঘাটে দাঁড়ালে যেরকম পালতোলা জাহাজের সারির দেখা মিলত একটা সময়, সেই পালতোলা জাহাজও তুলে ধরা হয়েছে বক্সি বাড়ির ঝুলনে । এসবের পাশে চড়কের দৃশ্যটা সত্যি চোখে পড়ার মতো ৷ সঙ্গে কবি গানের লড়াইয়ের আসরটা আপনাকে মনে পড়াবেই ভোলা ময়রা অ্যান্টনি ফিরিঙ্গির কথা । বাকিটা চোখে দেখতে হবে । আর রয়েছে রাধা-কৃষ্ণের ঝুলন যাত্রার একাধিক মডেল । সেটি অবশ্য আলাদা প্ল্যাটফর্মে করা ।

Jhulan Utsav
ঝুলনেও থিমের বাহার (নিজস্ব ছবি)

মৃণাল বক্সি জানান, "পুরনো কলকাতা নিয়ে মানুষের মনে একটা আলাদা আবেগ রয়েছে । আমরা সেই আবেগকেই ছুঁতে চেয়েছি । এই জন্যই কলকাতা ছাড়াও দূর থেকে মানুষ আমাদের এই প্রয়াসকে দেখতে আসছেন । এটাই আমাদের প্রাপ্তি ।"

কৃষ্ণনগরের বাবু দাস, সুবীর দত্ত, কুণাল গঙ্গোপাধ্যায়, আরতি পাল, দেবশ্রী বক্সি এবং দক্ষিণদাড়ির শিল্পীরা ঝুলনের সমগ্র পুতুল তৈরি এবং তাঁদের থিম অনুসারে সাজিয়ে তোলার কাজটি করেছেন । সব মিলিয়ে ব্যস্ত কলকাতার মধ্যেই ঝুলনের পটে জেগে উঠেছে পুরনো কলকাতার কুশীলব ও ঘটনাপ্রবাহ ।

কলকাতা, 25 অগস্ট: বরানগরের সিঁথির মোড় থেকে অটোতে দর্জিপাড়া নেমে মিনিট পাঁচেকের হাঁটা পথ । এইটুকু পথ চলে এলেই হরিসভার পাশের বক্সি বাড়িতে বসেছে ঝুলন । অতি ব্যস্ত আধুনিক যুগেও ঝুলন ৷ ভাবা যায় ! কারণ জন্মাষ্টমী থেকে ঝুলনের মতো উৎসবগুলি এখন বইয়ের পাতায় এবং পুরনো মানুষদের স্মৃতিতে রয়ে গিয়েছে । রাখি পূর্ণিমা এবং কিছুটা জন্মাষ্টমী বাজার সংষ্কৃতিতে এখনও জায়গা পেলেও, ঝুলন উৎসব প্রায় অস্তাচলে । অথচ ঝুলন হিন্দু এবং বাঙালির উৎসবের পটচিত্র । যার মধ্যে দিয়ে লোককথা, লোকাচার এবং পৌরাণিক চরিত্রগুলো সামনে আসে ।

বক্সি বাড়িতে বসেছে ঝুলন (ইটিভি ভারত)

বরানগরের বক্সি বাড়ির ঝুলন সেই হারিয়ে যেতে বসা লোকসংস্কৃতি বয়ে নিয়ে চলেছে । কলকাতা শহর সংলগ্ন বরানগর চিরকালই আধ্যাত্মিকতার ছোঁয়ায় সমৃদ্ধ । এখানকার পাঠবাড়িতে রয়েছে মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্যের পাদুকা । এখানেই কামারপুকুর থেকে ফেরার পথে অঘোর ডাকাতদের হাতে আক্রান্ত হয়েছিলেন সারদা মা । আবার রাজনৈতিক দিক থেকেও বরানগর যথেষ্ট প্রাসঙ্গিক । বক্সিবাড়ির ঝুলনে এবার উঠে এসেছে, 'পুরনো কলকাতার ইতিকথা ।'

Jhulan Utsav
হারিয়ে যেতে বসা লোকসংস্কৃতি ঠাঁই পেয়েছে থিমে (নিজস্ব ছবি)

বাংলার ঝুলনে থিমের ভাবনা ও অতীত স্মরণ

আজকের মতো পুরনো দিনের কলকাতায় গান গাইলেই তা সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার চল ছিল না । রেকর্ড ক্যাসেট ডিস্ক স্বপ্নেও ছিল না । ঊনবিংশ শতকে কলকাতায় গান-নাটক বলতে পালাগান, কবির লড়াই । সেখানে গাওয়া গান লোকমুখে জনপ্রিয় হত । এমন পরিস্থিতিতে রূপচাঁদ বলে একজন মানুষ ছিলেন, যিনি হুজুগ উঠলেই গান বাঁধতেন । গানের বিষয় ছিল সমসাময়িক সমাজ । রেল, বিধবা বিবাহ, কন্যাদায় এবং নানাবিধ সামাজিক কর্মকাণ্ড । এবং সেই গান শহর জুড়ে আলোড়ন ফেলত । এমনকি তাঁর সেই গানে মিশে থাকত ইংরেজি শব্দও ।

Jhulan Utsav
বক্সি বাড়ির ঝুলনের থিমে রূপচাঁদ পক্ষী (নিজস্ব ছবি)

শিবনাথ শাস্ত্রীর 'রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ' গ্রন্থে পাওয়া যায়, "শহরের ভদ্র গৃহের নিষ্কর্মা সন্তানগণের অনেকে পক্ষীর দলের সভ্য হইয়াছিল । দলে ভর্তি হইবার সময় এক একজন এক একটি পক্ষীর নাম পাইত ৷" এই রকমই একটি দল ছিল রূপচাঁদের । রূপচাঁদ পক্ষী মনে করতেন তিনি নাকি উড়েও যেতে পারেন ! তাই খাঁচায় করে আসতেন । গায়ে তাঁর পাখির বেশভূষা ।

বক্সি বাড়ির ঝুলনের থিমে রূপচাঁদ পক্ষী

রূপচাঁদের গান, "আমারে ফ্রড করে রামকৃষ্ণ কোথায় গেলি? / আইএম ফর ইউ ভেরি সরি /আমার গোল্ডেন বডি হল কালি । /আমারে ফ্রড করে....।" পুরনো লেখায় পাওয়া রূপচাঁদের অবয়বকেই এবার মাটি, রঙ দিয়ে তুলে ধরা হয়েছে বরানগর বক্সি বাড়ির ঝুলনে ।

ঝুলনে কেন থিম ?

এ বিষয়ে উদ্যোক্তা মৃণাল বক্সি বলেন, "হারিয়ে যেতে বসা ঝুলন উৎসবকে মানুষের কাছে নতুনভাবে তুলে ধরতেই থিমের পথে হেঁটেছি আমরা । ঝুলন মানেই রাধাকৃষ্ণের প্রেম কথায় সীমাবদ্ধ নয় । ঝুলন সমসাময়িক সময়ের আয়না, যা বাংলার পুতুলের মধ্যে দিয়ে ফুটিয়ে তোলা হত ।"

Jhulan Utsav
বরানগরের বক্সি বাড়ির বিখ্যাত ঝুলন (নিজস্ব ছবি)

বক্সি বাড়ির ঝুলন সেইকাজটাই করেছে আধুনিকতার মোড়কে । তাই এবারের ঝুলনে তাঁদের ভাবনা 'পুরনো কলকাতার ইতিকথা।' মৃণাল বক্সি বলেন, "গত কয়েক শতকের পুরনো কলকাতার কিছু খণ্ডচিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করেছি আমরা । রূপচাঁদ ছাড়াও রাখা হয়েছে ভিক্টোরিয়া, কালীঘাট মন্দির, চড়ক, কবিগানের লড়াই । এমনকি পাথুরিয়াঘাটার মল্লিকদের শখের জেব্রাগাড়ির মডেলও দেখতে পাবেন এই ঝুলনে । গতবার আমরা তিনশো পুতুলের ঝুলন করেছিলাম । এবার তিনশো পুতুল রাখা হয়নি পুরনো কলকাতাকে তুলে ধরার জন্য ।"

বক্সি বাড়ির ঝুলনের থিমে ভিস্তিওয়ালার মডেলে পুরনো কলকাতার ছবি আঁকা হয়েছে । শহরের গোধূলিতে রাস্তা দিয়ে টুং টুং শব্দে যাত্রী নিয়ে টানা রিক্সার চলে যাওয়াও নস্টালজিক করে তুলতে পারে আপনাকে । কিংবা ওই দূরে বটগাছের নীচে কচিকাঁচাদের বায়োস্কোপ দেখার ভিড় আপনার ভালোলাগাকে বাড়িয়ে তুলবে অনেকটাই । আর বেয়ারাদের বয়ে নিয়ে যাওয়া সুন্দর পালকিটা দেখলে নিশ্চয় কানে এসে পৌঁছবে সেই 'হুন হু না, হুন হু না, পালকি চলে হুন না' শব্দগুলো ।

Jhulan Utsav
পুরনো কলকাতার ইতিকথা (নিজস্ব ছবি)

অথবা পুরনো কলকাতার চাঁদপাল ঘাটে দাঁড়ালে যেরকম পালতোলা জাহাজের সারির দেখা মিলত একটা সময়, সেই পালতোলা জাহাজও তুলে ধরা হয়েছে বক্সি বাড়ির ঝুলনে । এসবের পাশে চড়কের দৃশ্যটা সত্যি চোখে পড়ার মতো ৷ সঙ্গে কবি গানের লড়াইয়ের আসরটা আপনাকে মনে পড়াবেই ভোলা ময়রা অ্যান্টনি ফিরিঙ্গির কথা । বাকিটা চোখে দেখতে হবে । আর রয়েছে রাধা-কৃষ্ণের ঝুলন যাত্রার একাধিক মডেল । সেটি অবশ্য আলাদা প্ল্যাটফর্মে করা ।

Jhulan Utsav
ঝুলনেও থিমের বাহার (নিজস্ব ছবি)

মৃণাল বক্সি জানান, "পুরনো কলকাতা নিয়ে মানুষের মনে একটা আলাদা আবেগ রয়েছে । আমরা সেই আবেগকেই ছুঁতে চেয়েছি । এই জন্যই কলকাতা ছাড়াও দূর থেকে মানুষ আমাদের এই প্রয়াসকে দেখতে আসছেন । এটাই আমাদের প্রাপ্তি ।"

কৃষ্ণনগরের বাবু দাস, সুবীর দত্ত, কুণাল গঙ্গোপাধ্যায়, আরতি পাল, দেবশ্রী বক্সি এবং দক্ষিণদাড়ির শিল্পীরা ঝুলনের সমগ্র পুতুল তৈরি এবং তাঁদের থিম অনুসারে সাজিয়ে তোলার কাজটি করেছেন । সব মিলিয়ে ব্যস্ত কলকাতার মধ্যেই ঝুলনের পটে জেগে উঠেছে পুরনো কলকাতার কুশীলব ও ঘটনাপ্রবাহ ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.