বহরমপুর, 31 জুলাই: তৃণমূল বিধায়ককে হুঁশিয়ারি দিয়ে সমর্থকদের আত্মরক্ষায় অস্ত্র রাখার নিদান বিজেপির বহরমপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতির ৷ তাঁর বক্তব্য, বিজেপির নেতা-কর্মীরা তাদের আত্মরক্ষায় প্রয়োজন পড়লে অস্ত্র সঙ্গে রাখবে ৷ আর তাতে বিজেপি নেতৃত্বের সমর্থন রয়েছে ৷
বহরমপুরের এই রাজনৈতিক উত্তাপের সূত্রপাত, তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবিরের হুমকির অভিযোগ দিয়ে ৷ ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক মুর্শিদাবাদের দুই বিজেপির বিধায়কের পা ভেঙে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন ৷ বুধবার সেই নিয়ে পালটা হুমায়ুনকে 'হনুমান'-এর লাফালাফি বলে কটাক্ষ করেন বিজেপির বহরমপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি শাখারভ সরকার ৷
তাঁর বিতর্কিত ও রাজনৈতিক বক্তব্য ছিল, "ভারতবর্ষে মুঘল সাম্রাজ্য চলছে না ৷ নরেন্দ্র মোদির সরকার চলছে ৷ অনেকেই সবরমতি এক্সপ্রেসের কথা ভুলে গিয়েছেন ৷ কিন্তু, গোধরার কথা মনে রেখেছেন ৷ মনে রাখবেন বিজেপি কারও গায়ে হাত উঠলে, আমরা গর্তে লুকিয়ে থাকব না ৷ আপনি পা ভাঙতে এলে, আপনার একটা পা থাকবে বাংলাদেশে, অপর পা থাকবে পাকিস্তানে ৷"
এই প্রসঙ্গেই বিজেপি সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বলেন, "কেউ ভয় পাবেন না ৷ আত্মরক্ষার্থে আমিও অস্ত্র রাখি, আপনারাও রাখবেন ৷ আইন যেসব অস্ত্র রাখার অনুমোদন দেয়, সেগুলি রাখবেন ৷ মহিলারা লঙ্কা গুড়ো, বঁটি, রাম দা, তীর ধনুক রাখবেন ৷"
শাখারভের বক্তব্যের সমালোচনায় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন জেলা সভাপতি তথা প্রবীণ নেতা অশোক দাস বলেন, "অস্ত্র রাখার নিদান দিয়ে বিজেপির জেলা সভাপতি মুর্শিদাবাদ জেলাকে অগ্নিগর্ভ করতে চাইছেন ৷ তা আমরা কিছুতেই হতে দেব না ৷"
এ নিয়ে জেলা কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়ন্ত দাস বলেন, "রাজনীতিতে ধর্মীয় মেরুকরণ এনে বিজেপি -তৃণমূল মুর্শিদাবাদকে ফের অশান্ত করার চেষ্টা করছে ৷ লোকসভা নির্বাচনের আগে শক্তিপুরের ঘটনা দুই দলের তৈরি করা ইস্যু ছিল ৷"