কলকাতা, 21 জুলাই: বয়সে তিনি মঞ্চের কনিষ্ঠ ৷ বঙ্গ রাজনীতিতেও কনিষ্ঠ বাগদার বিধায়ক মধুপর্ণাই এখন খবরের শিরোনামে ৷ রবিবার শহিদ দিবসের মঞ্চ থেকে যে হুঙ্কার দিলেন, তাতে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে তাঁকে নিয়ে ৷ একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে বক্তব্য রাখতে উঠে দাদা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরকে বড় চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন তৃণমূল বিধায়ক মধুপর্ণা ঠাকুর ৷ সদ্য বাগদা থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হওয়া মমতা বালা ঠাকুরের ছোট মেয়ে তিনি ৷
একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে বক্তব্য রাখতে উঠে আজ পাঁচ মিনিটে নারীশক্তির হয়ে যেমন সুর চড়ালেন, তেমনই ভরা সমাবেশে দাদা শান্তনু ঠাকুরকেও বিঁধতে ছাড়লেন না তিনি ৷ এদিন সভামঞ্চ থেকে তিনি বলেন, "নির্বাচনের আগে নারীশক্তি নিয়ে কথা বলে বিজেপি ৷ অথচ গত 7 এপ্রিল বিজেপির সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর, আমার দাদা, মাঝরাতে আমাকে ও আমার বিধবা মা'কে ঘর থেকে বার করে দিয়েছিলেন ৷ আপনাদের ক্ষমতা নেই যে মমতার সামনে দাঁড়াবেন ৷"
এখানেই শেষ নয়, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে মধুপর্ণা বলেন, "আমি আমার প্রিয় দাদা শান্তনু ঠাকুরকে একটা কথা বলতে চাই ৷ আপনার ডায়াবেটিস আছে ৷ আপনি অনেক বেশি স্ট্রেস নিয়ে ফেলছেন, পরের লোকসভা নির্বাচনে আর আপনাকে আর স্ট্রেস নিতে হবে না। আপনার হয়ে স্ট্রেসগুলো আমি নিয়ে নেব। আপনি বরং চুপ করে বাড়িতে বসে থাকবেন ৷" সদ্য 25 পেরনো একজন জনপ্রতিনিধির মুখে এধরনের বক্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।
এদিন সমাবেশের শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, "প্রথমত আমি ধন্যবাদ জানাব যে এত কম বয়সে আমাকে এত বড় সুযোগ দেওয়া হয়েছে ৷ আমি যে শহিদ দিবসের মঞ্চে উঠতে পারব তা কখনও ভাবিনি ৷ এর থেকে বড় পাওনা আমাদের হরিগুরু চাঁদের হয় না। এত কম বয়সে এতদূর এগোতে পেরেছি, এটাই সব থেকে বড় পাওনা ৷"