ETV Bharat / state

আবাস দুর্নীতির আবহে ব্যতিক্রমী! মানুষের মনে ঠাঁই 'স্বচ্ছ' পঞ্চায়েত প্রধানের

আবাস যোজনার টাকা নয়ছয় নিয়ে অভিযোগ রাজ্যজুড়ে ৷ সেখানে পঞ্চায়েত প্রধান নিজে ভাঙা ঘরে থেকেও মানুষের জন্য ভাবেন ৷ তাই তিনি 'স্বচ্ছ' !

AWAS YOJANA CONTROVERSY
'স্বচ্ছ' প্রধান (ইটিভি ভারত)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : 3 hours ago

দুর্গাপুর, 18 নভেম্বর: দিকে দিকে পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি আর শাসকদলের নেতাদের বিরুদ্ধে ভূরি ভূরি অভিযোগ। আবাস নিয়ে চরম বিতর্কের মুখে পড়েছে রাজ্য প্রশাসন। তারই মাঝে এ যেন উলট পূরাণ ! জীর্ণ টালির ছাউনি দেওয়া মাটির বাড়িতে থেকেও সাধারণ মানুষের মাথার উপর ছাদ গড়তে উদ্যোগী তিনি ৷ তিনি ব্যতিক্রমী, 'স্বচ্ছ' পঞ্চায়েত প্রধান !

পঞ্চায়ের প্রধান পাকুমনি সরেন

ভেঙে পড়েছে একটি টালির ছাউনি দেওয়া মাটির বাড়ি। থাকেন আরেকটি ফাটল ধরা জীর্ণ মাটির বাড়িতে। তিনিই কাঁকসার মলানদিঘি গ্রাম পঞ্চায়েতের খোদ প্রধান পাকুমনি সরেন। হোক না-কষ্ট তবুও যে জনতার সেবা করেই এগিয়ে যেতে চান তিনি। প্রধানের সততা দেখে গর্বিত এলাকাবাসী। প্রশংসায় পঞ্চমুখ মন্ত্রী থেকে বিরোধীরাও। কাঁকসার মলানদিঘি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রত্যন্ত গ্রাম ঘটকডাঙা থেকে উঠে এসেছেন তিনি। জনতার ভোটে জয়লাভ করে বসেছেন প্রধানের পদে।

'স্বচ্ছ' প্রধান

তারপর থেকেই তিনি সেই পদ নিষ্ঠার সঙ্গে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন মলানদিঘী গ্রাম পঞ্চায়েতকে। প্রতিদিন পাতা সেলাই করে শুরু হয় দিন ৷ তারপরেই সবার সঙ্গেই বাসে করে চেপে পঞ্চায়েতে পৌঁছন। দিনভর শোনেন সমস্যার কথা। দেন সঠিক পরিষেবা। কিন্তু তিনি ছেলে, মেয়ে আর স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে থাকেন বড় বড় ফাটল ধরা দেওয়াল আর টালির ছাউনিতে অজস্র ফুটো থাকা বাড়িতে। বাড়ির ফাটল-ধরা অংশ যাতে কেউ বুঝতে না-পারে, সে জন্য প্লাস্টিক দিয়ে ঢেকে রেখেছেন।

কে কী বলছেন, প্রধানের এবিষয়ে

তবুও আবেদন করেননি বাংলা আবাস যোজনার বাড়ির জন্য। তিনি বলেন, "আমার পাকা বাড়ি নেই। আমি মাটির বাড়িতেই থাকি। মানুষকে যত পরিষেবা দিতে পারব ততই আমাদের ভালো। যারা যারা বাড়ি পায়নি তাঁরা অবশ্যই বাড়ি পাক, সেটাই আমি চাই। সবাই পাওয়ার পর আমাকে যদি পরিষেবা দেয়, তো নেব।"

রাজ্যের পঞ্চায়েত গ্রামোন্নয়ন আর সমবায় মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বলেন, "এটা গর্বের বিষয়। আগে তো সাধারণ মানুষ পরিষেবা পাবে, তারপর জনপ্রতিনিধিরা নেবে। এটাই তো হওয়া দরকার।"

প্রধানের ভূমিকা দেখে খুশি হয়ে বিজেপির জেলা মুখপাত্র জিতেন চট্টোপাধ্যায় বলেন, "তৃণমূল দলের কেউ কেউ সততার সঙ্গে এগিয়ে যেতে চাইছেন ৷ কিন্তু, একটা শ্রেণি শুধু লুঠ করেই যাচ্ছে। সুতরাং, তৃণমূল দলে থেকে কোনও লাভ নেই। ভালো থাকতে তৃণমূল দল ছেড়ে দিন আগে থেকেই।"

দুর্গাপুর, 18 নভেম্বর: দিকে দিকে পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি আর শাসকদলের নেতাদের বিরুদ্ধে ভূরি ভূরি অভিযোগ। আবাস নিয়ে চরম বিতর্কের মুখে পড়েছে রাজ্য প্রশাসন। তারই মাঝে এ যেন উলট পূরাণ ! জীর্ণ টালির ছাউনি দেওয়া মাটির বাড়িতে থেকেও সাধারণ মানুষের মাথার উপর ছাদ গড়তে উদ্যোগী তিনি ৷ তিনি ব্যতিক্রমী, 'স্বচ্ছ' পঞ্চায়েত প্রধান !

পঞ্চায়ের প্রধান পাকুমনি সরেন

ভেঙে পড়েছে একটি টালির ছাউনি দেওয়া মাটির বাড়ি। থাকেন আরেকটি ফাটল ধরা জীর্ণ মাটির বাড়িতে। তিনিই কাঁকসার মলানদিঘি গ্রাম পঞ্চায়েতের খোদ প্রধান পাকুমনি সরেন। হোক না-কষ্ট তবুও যে জনতার সেবা করেই এগিয়ে যেতে চান তিনি। প্রধানের সততা দেখে গর্বিত এলাকাবাসী। প্রশংসায় পঞ্চমুখ মন্ত্রী থেকে বিরোধীরাও। কাঁকসার মলানদিঘি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রত্যন্ত গ্রাম ঘটকডাঙা থেকে উঠে এসেছেন তিনি। জনতার ভোটে জয়লাভ করে বসেছেন প্রধানের পদে।

'স্বচ্ছ' প্রধান

তারপর থেকেই তিনি সেই পদ নিষ্ঠার সঙ্গে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন মলানদিঘী গ্রাম পঞ্চায়েতকে। প্রতিদিন পাতা সেলাই করে শুরু হয় দিন ৷ তারপরেই সবার সঙ্গেই বাসে করে চেপে পঞ্চায়েতে পৌঁছন। দিনভর শোনেন সমস্যার কথা। দেন সঠিক পরিষেবা। কিন্তু তিনি ছেলে, মেয়ে আর স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে থাকেন বড় বড় ফাটল ধরা দেওয়াল আর টালির ছাউনিতে অজস্র ফুটো থাকা বাড়িতে। বাড়ির ফাটল-ধরা অংশ যাতে কেউ বুঝতে না-পারে, সে জন্য প্লাস্টিক দিয়ে ঢেকে রেখেছেন।

কে কী বলছেন, প্রধানের এবিষয়ে

তবুও আবেদন করেননি বাংলা আবাস যোজনার বাড়ির জন্য। তিনি বলেন, "আমার পাকা বাড়ি নেই। আমি মাটির বাড়িতেই থাকি। মানুষকে যত পরিষেবা দিতে পারব ততই আমাদের ভালো। যারা যারা বাড়ি পায়নি তাঁরা অবশ্যই বাড়ি পাক, সেটাই আমি চাই। সবাই পাওয়ার পর আমাকে যদি পরিষেবা দেয়, তো নেব।"

রাজ্যের পঞ্চায়েত গ্রামোন্নয়ন আর সমবায় মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বলেন, "এটা গর্বের বিষয়। আগে তো সাধারণ মানুষ পরিষেবা পাবে, তারপর জনপ্রতিনিধিরা নেবে। এটাই তো হওয়া দরকার।"

প্রধানের ভূমিকা দেখে খুশি হয়ে বিজেপির জেলা মুখপাত্র জিতেন চট্টোপাধ্যায় বলেন, "তৃণমূল দলের কেউ কেউ সততার সঙ্গে এগিয়ে যেতে চাইছেন ৷ কিন্তু, একটা শ্রেণি শুধু লুঠ করেই যাচ্ছে। সুতরাং, তৃণমূল দলে থেকে কোনও লাভ নেই। ভালো থাকতে তৃণমূল দল ছেড়ে দিন আগে থেকেই।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.