হাওড়া, 22 অক্টোবর: শ্যামপুর ও বাউড়িয়া-সহ রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে দুর্গাপ্রতিমা ভাঙচুর এবং সাধারণ মানুষের উপর হামলার প্রতিবাদে গ্রামীণ হাওড়ার রঘুদেবপুর এলাকায় সভা করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ৷ সেখান থেকেই রাজ্য সরকার ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ৷ শুভেন্দু অধিকারী পরে সংবাদমাধ্যমের একাংশের ভূমিকা নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
সোমবার শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "ধর্মনিরপেক্ষতার নামে, ভোট ব্যাঙ্কের নামে সনাতনীরা আজ আক্রান্ত হচ্ছে ৷ কেন দুর্গা ঠাকুর ভাঙবে, আপনারা বলুন। কারও ধর্মে ও আস্থায় আঘাত কেউ করলে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে না ? কে অধিকার দিয়েছে আমি যার উপর আস্থা প্রকাশ করি, তার উপরে আগাত করার।" পাশাপাশি সংবাদ মাধ্যমের একাংশের বিরুদ্ধেও শুভেন্দু ক্ষোভপ্রকাশ করে বলেন, "দয়া করে এই রাজ্যে ফালাকাটা, গার্ডেনরিচ-সহ শ্যামপুর, রানাঘাটের 120 ফুট দুর্গাপ্রতিমা করতে অনুমতি না দেওয়া, ইংরেজ বাজারে দুর্গাপুজোর গেট করতে না-দেওয়া, এগুলো দয়া করে একটু দেখান। একটা আধটা টক-শো সনাতনীদের জন্য হোক।"
এছাড়াও শুভেন্দু বলেন, "অনেক সংবাদমাধ্যম তথাকথিত সেকুলারিজমের নামে আমাদের দুর্গাপুজো যেভাবে আক্রান্ত হল, সেটা নিয়ে খবর করে না। আপনারাও সেক্যুলার দলে গিয়েছেন, এটা খুবই আপত্তিকর।"
অন্যদিকে, ঘূর্ণিঝড় দানা'র ল্যান্ডফল ও তার প্রভাব নিয়েও শুভেন্দু অধিকারী জানান, বালাসোরে ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফল হওয়ার মানে পশ্চিম মেদিনীপুর উড়ে যাবে। বালাসোর দীঘার খুবই কাছে। আর এর প্রভাব দুই মেদিনীপুর, হাওড়া, দুই 24 পরগনা-সহ কলকাতাতেও পড়বে।
তিনি বলেন, "আমরা আমাদের পার্টির সদস্যদের নিয়ে এই ঝড়ের মোকাবিলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। এই ঝড় নিয়ে উদ্বেগ অনেক বেশি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী নাচলেন, কী গাইলেন তার চেয়ে অনেক বেশি এই ঝড়ের উদ্বেগ। কারণ 25 তারিখে বালাসোরে ল্যান্ডফল হলে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর উড়ে যাবে, সেটা নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের কোনও মাথাব্যথা নেই।"