আসানসোল, 22 নভেম্বর: নিয়ম বহির্ভূতভাবে বেআইনি নির্মাণ করার দায়ে জামুড়িয়া-রানিগঞ্জ শিল্পতালুকে 11টি কারখানাকে নোটিশ পাঠিয়েছে আসানসোল পুরনিগম ৷ 500 কোটি টাকার জরিমানাও চাওয়া হয়েছে পুরনিগমের ওই নোটিশে ৷ যদি এই জরিমানা না-দেওয়া হয়, তাহলে আইনের পথে হাঁটবে বলেও সাফ জানিয়েছে আসানসোল পুরনিগম ৷ এমনকী মেয়রের স্পষ্ট হুঁশিয়ারি, প্রয়োজনে বেআইনি নির্মাণ ভেঙে ফেলাও হতে পারে ৷
বাম আমলে গড়ে উঠেছিল রানিগঞ্জ-জামুড়িয়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বেসরকারি শিল্প কারখানা। সেই সময় সরকারি নিয়মে জমি নিয়েই কারখানাগুলি গড়ে উঠেছিল। যদিও পরবর্তীকালে এই কারখানাগুলির প্রোডাকশন চালু হলে দূষণের অভিযোগ উঠতে শুরু করে। এছাড়াও নদীর গতিপথ পাল্টে দেওয়া থেকে শুরু করে পরিবেশগত আরও নানাবিধ ক্ষতিরও অভিযোগ উঠেছিল এই কারখানাগুলির বিরুদ্ধে ৷ কিন্তু এতদিন পর আসানসোল পুরনিগমের বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ চমকে দিয়েছে গোটা আসানসোলবাসীকে।
সম্প্রতি আসানসোল পুরনিগম, রানিগঞ্জ ও জামুড়িয়ার 11টি কারখানায় অভিযান চালায়। তাদের নির্মাণ সংক্রান্ত নথি চেয়ে পাঠানো হয়। কারখানা কর্তৃপক্ষ যে নথি জমা দেয় পুরনিগামে তাতে বেশ গরমিল রয়েছে বলে পুরকর্তাদের দাবি ৷ আর তারপরেই কারখানার বেআইনি নির্মাণ করার জন্য নোটিশ পাঠানো হয়েছে ওই 11টি কারখানাকে।
জানা গিয়েছে ওই কারখানাগুলিতে পুরনিগমে প্ল্যান পাস না-করিয়ে, কোনওরকম ছাড়পত্র না-নিয়েই অবৈধভাবে নির্মাণ করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে আসানসোলের মেয়র বিধান উপাধ্যায় বলেন, "ওই কারখানাগুলিকে প্রায় 500 কোটি টাকার জরিমানা চেয়ে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। যদি সেই টাকা জমা না-পড়ে তাহলে পুরনিগম আইনের পথে হাঁটবে ৷ আগামী দিনে ভেঙে ফেলা হবে বেআইনী নির্মাণ।"
যদিও জরিমানা চাওয়ার বিষয়টিকে কটাক্ষ করেছেন আসানসোল দক্ষিণ কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল। তাঁর দাবি, "জরিমানা চাইলেই কি সব মুকুব হয়ে যায় ?" মেয়রের উদ্দ্যেশে অগ্নিমিত্রা বলেন, "জরিমানা নয়, অ্যাকশন নিন। বন্ধ করে দিন কারখানা। প্রয়োজনে বিজেপি নেতৃত্বকে আপনারা পাশে পাবেন। কিন্তু রাজ্যকে বাঁচাতে অবৈধ কাজ কারবারে প্রশ্রয় দেবেন না।"