কলকাতা, 13 জুলাই: দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে তোলা হল ঢোলাহাট কাণ্ডে মৃত আবু সিদ্দিকী হালদারের দেহ । হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশের পরেই শনিবার মাটি খুঁড়ে তোলা হয় মৃত যুবকের দেহ ৷ পরিবারের আশা, এবার হয়তো বিচার মিলবে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত 30 জুন ঢোলাহাটের ঘাটবকুলতলা এলাকায় আবুর কাকার বাড়িতে চুরি হয়। সেই ঘটনায় থানায় তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। চুরির অভিযোগে আবুকে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷ বাকি দু’জন নাবালক বলে তাদের বারুইপুর জুভেনাইল বোর্ডে পাঠানো হয়।পরিবারের অভিযোগ, পুলিশি হেফাজতে ওই যুবককে মারধর-অত্যাচারের পর জামিনে মুক্তি পেয়ে বাড়ি ফিরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন আবু। একের পর এক হাসপাতাল ঘোরাঘুরির পর তাঁর মৃত্যু হয়। বুধবার দুপুরে মৃত যুবককে কবরস্থ করা হয়েছিল।
পরিবারের দায়ের করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা আবু সিদ্দিকি হালদারের দেহের দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন ৷ শুধু তাই নয়, শনিবারই ময়নাতদন্ত করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি ৷ পাশাপাশি জানানো হয়েছে, ময়নাতদন্ত করার সময় অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের সামনে থাকতে হবে ৷ এমনকী, পরিবারের এক সদস্যকেও ময়নাতদন্তের সময় উপস্থিত থাকতে হবে ৷ পুরো প্রক্রিয়াটি ভিডিয়োগ্রাফি করারও নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা ৷
পরিবারের লোকজনের দাবি, পুনরায় ময়নাতদন্তের পর সম্পূর্ণ ঘটনা সামনে আসবে। পরিবারের আরও দাবি, হেফাজতে থাকাকালীন পুলিশের মারেই গুরুতর অসুস্থ হয় ওই যুবক ৷ পুলিশের মারেই মৃত্যু হয়েছে ওই যুবকের, এমনই অভিযোগ পরিবারের সদস্যদের। ইতিমধ্যেই পুলিশের বিরুদ্ধে মারধরের ঘটনায় ঢোলাহাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ৷