জলপাইগুড়ি, 1 সেপ্টেম্বর: আরজি কর-কাণ্ডের পর বেশ কিছুটা ব্যাকফুটে পুলিশ ৷ বারবার তাদের বিরুদ্ধে উঠছে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ ৷ উঠে এসেছে রাতের ঢিলেঢালা নিরাপত্তার ছবি ৷ সেই ভাবমূর্তিকে সরিয়ে এবার অন্য ভূমিকায় জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার উমেশ খান্ডবাহালে । বিভিন্ন এলাকায় কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা নিঝুম রাতে সতর্ক আছেন কি না, তা নিজে চোখে খতিয়ে দেখতে সারপ্রাইজ ভিজিট করলেন তিনি ৷ মাথায় বৃষ্টি নিয়েই সাইকেল চালিয়ে টহল দিলেন শহরের আনাচে কানাচে ৷
শনিবার রাতে জেলা পুলিশ লাইন থেকে সাইকেলে চেপে পোস্ট অফিস মোড় হয়ে জলপাইগুড়ি সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে যান পুলিশ সুপার ৷ ফার্মাসি কলেজের সামনে দিয়ে প্রথমে নার্সিং হস্টেল ও সেখানে ডাক্তারদের কোয়ার্টার চত্বর খতিয়ে দেখেন তিনি । পরে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে পরিদর্শন করেন তিনি । সদর হাসপাতাল ও মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাবের রাতের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কেমন, পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা আছে কি না সবকিছু খতিয়ে দেখেন তিনি ৷ পুলিশ সুপার পেট্রোলিংয়ে বেরিয়েছেন শুনেই তটস্থ পুলিশকর্মী থেকে হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষীরা ।
এরপর খান্ডবাহালে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দফতর, দিনবাজার এলাকাও সাইকেল নিয়ে ঘুরে দেখেন । রাতে পুলিশকর্মীরা টহলে আসেন কি না তা দেখতে চেয়েছিলেন খান্ডবাহালে । পুলিশ কর্মীরা টহলে এলে, সেটা যাতে হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষীদের খাতায় নথিভুক্ত করা থাকে, তার নির্দেশ দেন তিনি । হঠাৎ করে সাইকেলে চেপে হাসপাতালে পুলিশ সুপারকে দেখে হতচকিত হয়ে পড়েন নিরাপত্তারক্ষী থেকে রোগীর আত্মীয়রা ।
শুধু তাই নয়, সাইকেল পেট্রোলিং করে বিরাট পুলিশ বাহিনী নিয়ে অন্ধকারাচ্ছন্ন এলাকা টহল দেন পুলিশ সুপার । রাস্তার উপর রাতে যাঁরা পার্কিং করে রেখেছিলেন, তাঁদের সচেতন করার পাশাপাশি নিরাপত্তা নিয়েও সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেন খান্ডবাহালে । এদিন কোতয়ালি থানার আইসি সঞ্জয় দত্ত-সহ সাদা পোশাকের পুলিশের কর্মীরা পুলিশ সুপারের সঙ্গে সাইকেলে টহল দেন ।
আচমকা গভীর রাতে পথে নামা নিয়ে জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার উমেশ খান্ডবাহালে জানান, "আমাদের নাইট পেট্রোলিং হয় । সাইকেলে গেলে ভালো করে সব কিছু দেখা যায় । আলো কেমন আছে সেটাও দেখা যায় । আমাদের পুলিশ টিম অ্যালার্ট আছে কি না চেক করার জন্য বের হলাম । কোথায় অন্ধকার আছে সেটা দেখলাম । আমাদের রোজ পুলিশ পেট্রোলিং থাকে, সব কর্মীরা জায়গা মতো যায় কি না, তা নিজে দেখতে এলাম ।"