ETV Bharat / state

পুলিশ আধিকারিকের প্রশংসা করেও তদন্তভার কেন্দ্রীয় সংস্থাকেই দিল কলকাতা হাইকোর্ট

Cal High Court gave probe to central agency: কলকাতা পুলিশের এক আধিকারিকের প্রশংসা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের ৷ হেয়ার স্ট্রিট থানার তদন্তকারী অফিসারকে আদালতে ডেকে তাঁর ব্যবহারের প্রশংসা করলেও থানার হাত থেকে তদন্তভার নিয়ে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকেই দিয়েছেন বিচারপতি ৷

Etv Bharat
Etv Bharat
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Feb 23, 2024, 6:47 PM IST

Updated : Feb 23, 2024, 6:58 PM IST

কলকাতা, 23 ফেব্রুয়ারি: ফের পুলিশের প্রশংসা বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মুখে। হেয়ার স্ট্রিট থানার তদন্তকারী অফিসারকে আদালতে ডেকে তাঁর ব্যবহারের প্রশংসায় একেবারে পঞ্চমুখ বিচারপতি। যদিও কলকাতা পুলিশের হাত থেকে তদন্তভার নিয়ে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকেই দিয়েছেন তিনি ৷ ঘটনার সুত্রপাত ডেল্টা জুট মিলের কর্মচারীদের প্রভিডেন্ট ফান্ড সংক্রান্ত মামলাকে কেন্দ্র করে। এই ঘটনায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এসএফআইও ও ইডি-কে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু হেয়ার স্ট্রিট থানাও এই ঘটনায় তদন্ত করছিল ৷ এরপরই এসএফআইও-এর তদন্তকারী আধিকারিককে নোটিশ পাঠিয়েছেন হেয়ারস্ট্রিট থানার তদন্তকারী অফিসার ৷

শুক্রবার কেন্দ্রের অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল অশোক চক্রবর্তী বিষয়টি জানান বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে। তারপরই ক্ষুব্ধ বিচারপতি হেয়ার স্ট্রিট থানার ওসিকে আদালতে তলব করেন। এসএফআইও-এর এক আধিকারিককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোটিশ পাঠিয়েছে হেয়ারস্ট্রিট থানা। কিন্তু কেন তা অবশ্য স্পষ্ট নয়। আর সে কারণেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় হেয়ার স্ট্রিট থানার ওসিকে ডেকে পাঠান। কিন্তু ওসি সুমিত দাসগুপ্ত গলার সংক্রমণের জন্য আসতে পারেননি বলে জানান থানার একজন অফিসার। তারপরই এই মামলার তদন্তকারী অফিসার রফিকুল হোসেনকে তিনটে নাগাদ হাইকোর্টে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি।

বিকেল তিনটে 15 মিনিট নাগাদ আদালতে উপস্থিত তদন্তকারী অফিসারকে দেখে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, "হেয়ার স্ট্রিট থানার ওসিকে বিকেল চারটের মধ্যে হাইকোর্টে হাজির হতে হবে ৷ না হলে তাঁকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেব ৷" এরপর তদন্তকারী অফিসার রফিকুল হাসানকে শপথ বাক্য পাঠ করিয়ে নেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতি বলেন, "এই মামলার তদন্তকারী অফিসার আপনি ? আপনাকে কে নোটিশ দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন ? আপনি 9 ফেব্রুয়ারি থেকে তদন্ত করছেন, কী পেয়েছেন ?" যার উত্তরে তদন্তকারী আধিকারিক বলেন, "হেয়ারস্ট্রিট থানার ওসির নির্দেশেই নোটিশ দিয়েছিলাম। আমি ডেল্টার অফিস থেকে কিছু নথি পেয়েছি ৷ ট্রাস্টের কিছু কপি এবং ডিডের কপি পেয়েছি সেগুলোকে সিজ করেছি।"

এরপর বিচারপতি জানান, তদন্তকারী পুলিশ অফিসার সত্যি কথা বলায় ওসিকে আর আদালতে হাজির হতে হবে না ৷ তবে অবিলম্বে পুলিশি তদন্তের সমস্ত নথি এসএফআইও-র আধিকারিকদের হাতে তুলে দিতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। পাশাপাশি, থানার পাঠানো দুটি নোটিশও খারিজ করে দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। পুলিশের তদন্তের উপর স্থগিতাদেশও জারি করেছেন। তিনি বলেন, "আমার মনে হচ্ছে হেয়ার স্ট্রিট থানার কোনও খারাপ উদ্দেশ্য নেই। তাই আমি তাদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করব না। শুধু তাদের তদন্তে স্থগিতাদেশের নির্দেশ দিচ্ছি।"

আরও পড়ুন

গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে সন্দেশখালি নিয়ে কী অভিযোগ ছিল, রাজ্যের কাছে দেখতে চাইলেন প্রধান বিচারপতি

তৃণমূল কর্মী খুনে অভিযুক্ত নওশাদের আগাম জামিন মঞ্জুর হাইকোর্টে

কলকাতা, 23 ফেব্রুয়ারি: ফের পুলিশের প্রশংসা বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মুখে। হেয়ার স্ট্রিট থানার তদন্তকারী অফিসারকে আদালতে ডেকে তাঁর ব্যবহারের প্রশংসায় একেবারে পঞ্চমুখ বিচারপতি। যদিও কলকাতা পুলিশের হাত থেকে তদন্তভার নিয়ে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকেই দিয়েছেন তিনি ৷ ঘটনার সুত্রপাত ডেল্টা জুট মিলের কর্মচারীদের প্রভিডেন্ট ফান্ড সংক্রান্ত মামলাকে কেন্দ্র করে। এই ঘটনায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এসএফআইও ও ইডি-কে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু হেয়ার স্ট্রিট থানাও এই ঘটনায় তদন্ত করছিল ৷ এরপরই এসএফআইও-এর তদন্তকারী আধিকারিককে নোটিশ পাঠিয়েছেন হেয়ারস্ট্রিট থানার তদন্তকারী অফিসার ৷

শুক্রবার কেন্দ্রের অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল অশোক চক্রবর্তী বিষয়টি জানান বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে। তারপরই ক্ষুব্ধ বিচারপতি হেয়ার স্ট্রিট থানার ওসিকে আদালতে তলব করেন। এসএফআইও-এর এক আধিকারিককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোটিশ পাঠিয়েছে হেয়ারস্ট্রিট থানা। কিন্তু কেন তা অবশ্য স্পষ্ট নয়। আর সে কারণেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় হেয়ার স্ট্রিট থানার ওসিকে ডেকে পাঠান। কিন্তু ওসি সুমিত দাসগুপ্ত গলার সংক্রমণের জন্য আসতে পারেননি বলে জানান থানার একজন অফিসার। তারপরই এই মামলার তদন্তকারী অফিসার রফিকুল হোসেনকে তিনটে নাগাদ হাইকোর্টে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি।

বিকেল তিনটে 15 মিনিট নাগাদ আদালতে উপস্থিত তদন্তকারী অফিসারকে দেখে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, "হেয়ার স্ট্রিট থানার ওসিকে বিকেল চারটের মধ্যে হাইকোর্টে হাজির হতে হবে ৷ না হলে তাঁকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেব ৷" এরপর তদন্তকারী অফিসার রফিকুল হাসানকে শপথ বাক্য পাঠ করিয়ে নেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতি বলেন, "এই মামলার তদন্তকারী অফিসার আপনি ? আপনাকে কে নোটিশ দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন ? আপনি 9 ফেব্রুয়ারি থেকে তদন্ত করছেন, কী পেয়েছেন ?" যার উত্তরে তদন্তকারী আধিকারিক বলেন, "হেয়ারস্ট্রিট থানার ওসির নির্দেশেই নোটিশ দিয়েছিলাম। আমি ডেল্টার অফিস থেকে কিছু নথি পেয়েছি ৷ ট্রাস্টের কিছু কপি এবং ডিডের কপি পেয়েছি সেগুলোকে সিজ করেছি।"

এরপর বিচারপতি জানান, তদন্তকারী পুলিশ অফিসার সত্যি কথা বলায় ওসিকে আর আদালতে হাজির হতে হবে না ৷ তবে অবিলম্বে পুলিশি তদন্তের সমস্ত নথি এসএফআইও-র আধিকারিকদের হাতে তুলে দিতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। পাশাপাশি, থানার পাঠানো দুটি নোটিশও খারিজ করে দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। পুলিশের তদন্তের উপর স্থগিতাদেশও জারি করেছেন। তিনি বলেন, "আমার মনে হচ্ছে হেয়ার স্ট্রিট থানার কোনও খারাপ উদ্দেশ্য নেই। তাই আমি তাদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করব না। শুধু তাদের তদন্তে স্থগিতাদেশের নির্দেশ দিচ্ছি।"

আরও পড়ুন

গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে সন্দেশখালি নিয়ে কী অভিযোগ ছিল, রাজ্যের কাছে দেখতে চাইলেন প্রধান বিচারপতি

তৃণমূল কর্মী খুনে অভিযুক্ত নওশাদের আগাম জামিন মঞ্জুর হাইকোর্টে

Last Updated : Feb 23, 2024, 6:58 PM IST

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.