আসানসোল, 24 ফেব্রুয়ারি: দিনের ব্যস্ত সময় মর্মান্তিক এক পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল সাইকেল আরোহী বৃদ্ধের ৷ লরির চাকায় দীর্ঘক্ষণ পিষ্ট হয়ে রইল তাঁর একটি পা ৷ প্রায় এক ঘণ্টা পর যখন তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, তখন চিকিৎসক বৃদ্ধকে মৃত ঘোষণা করেন ৷ আসানসোলের ধ্রুব ডাঙা এলাকায় শনিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে ৷ মৃত বৃদ্ধের নাম প্রদীপ দে (62) ৷
জানা গিয়েছে, ধ্রুব ডাঙার বাসিন্দা প্রদীপ দে আসানসোলের আপকার গার্ডেন এলাকায় একটি বহুতল আবাসেন নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করতেন ৷ রোজকার মতো, শনিবার সকালেও কাজে গিয়েছিলেন ৷ বেলার দিকে তিনি জল খাবার খেতে বিএনআর মোড়ের দিকে আসছিলেন ৷ সেই সময় ভগৎ সিং মোড়ে একটি লরি তাঁকে পিছন থেকে ধাক্কা মারে ৷ তখনই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন প্রদীপ দে ৷ তবে, গতি একেবারেই কম থাকায় চালক ব্রেক কষতেই লরি থেমে যায় ৷ কিন্তু, ততক্ষণে লরির সামনে বাঁ-দিকের চাকা বৃদ্ধের একটি পায়ের উপর উঠে যায় ৷
লোকজন ঘটনার পর বৃদ্ধের পা চাকার নীচ থেকে বের করার চেষ্টা করতে থাকেন ৷ লরির চালকও হাত লাগান ৷ কিন্তু, ঘণ্টাখানেক ধরে চেষ্টা করেও কোনও লাভ হয়নি ৷ এরপর চালক নিজেই লরির হাইড্রোলিক জ্যাক নিয়ে এসে চাকা তুলে বৃদ্ধকে লরির নীচ থেকে বের করেন ৷ বৃদ্ধ প্রদীপ দে-কে উদ্ধার করার সময় তিনি বেঁচেছিলেন ৷ কিন্তু, তাঁকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন ৷ প্রশ্ন উঠছে, লরির হাইড্রোলিক জ্যাকের ব্যবহার আগে কেন করা হয়নি ? কেন ঘণ্টাখানেক ধরে তাঁর পা টেনে-হিঁচড়ে বের করার চেষ্টা করা হয়?
এমনকী দুর্ঘটনাস্থলে ট্রাফিক পুলিশের আধিকারিকও উপস্থিত ছিলেন ৷ তিনি কেন কোনও ব্যবস্থা নেননি ? তাছাড়া বৃদ্ধকে অটোয় তুলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশ কর্মী কেন স্থানীয় থানায় ও অ্যাম্বুল্যান্সে খরব দিলেন না ? বৃদ্ধের মৃত্যুতে এমন একাধিক প্রশ্ন উঠছে ৷
আরও পড়ুন: