মালদা, 2 ডিসেম্বর: রাজস্থানে মালদার পরিযায়ী শ্রমিককে খুনের অভিযোগ উঠল ৷ অভিযোগ, বিবাদের জেরে ওই শ্রমিককে তাঁর সহকর্মীরা গাঁইতি দিয়ে পেটে আঘাত করে খুন করে ৷ মৃত শ্রমিকের নাম করিম শেখ (29) ৷ বাড়ি কালিয়াচকের উত্তর কদমতলা গ্রামে ৷ এই ঘটনায় কালিয়াচক থানার ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন মৃতের পরিবার পরিজনরা ৷ যদিও ঘটনাটি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন থানার আইসি ৷ গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে আরও একবার শোরগোল পড়েছে জেলার পরিযায়ী শ্রমিক মহলে ৷
করিম দীর্ঘদিন ধরে ভিনরাজ্যে শ্রমিকের কাজ করতেন ৷ মাস তিনেক আগে তিনি এক ঠিকাদারের অধীনে রাজস্থানে নির্মাণ কাজে গিয়েছিলেন ৷ কোনও ঝামেলার জেরে গত 27 তারিখ সহকর্মীদের সঙ্গে বচসা বাধে তাঁর ৷ অভিযোগ, সেই সময় এক সহকর্মী তাঁর পেটে গাঁইতি দিয়ে আঘাত করে ৷ তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন ৷ তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ৷ জ্ঞান ফিরলে মোবাইল ফোনে পরিবারের সঙ্গে কথাও বলেন তিনি ৷ কিন্তু তারপর থেকে আর তাঁর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি ৷ অবশেষে রবিবার দুপুরে বাড়িতে খবর আসে, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে করিমের ৷
করিমের এক আত্মীয় সাইদুল শেখ বলেন, “ছেলেটা পাহাড়পুরের ঠিকাদার তাসিকুরের সঙ্গে রাজস্থানে কাজ করতে গিয়েছিল ৷ 28 তারিখ ফোন আমরা জানতে পারি, তার আগের দিন ওদের মধ্যে কোনও কারণে মারামারি হয়েছিল ৷ সহকর্মীরা ছেলের পেটে গাঁইতি দিয়ে মেরেছিল ৷ ও আশঙ্কা করেছিল, ও আর বাঁচবে না ৷ আমরা ঠিকাদারের বাড়ি গেলে আমাদের জানানো হয়, করিম রাজস্থানের হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ৷ 1 ডিসেম্বর বেলা দুটোর সময় করিম মারা যায় ৷ এখনও পর্যন্ত ওর দেহ আমাদের দেওয়া হয়নি ৷ এই ঘটনায় থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের করতে দিচ্ছে না, দেহের ময়নাতদন্তও করতে দিচ্ছে না ৷ দেহ ফেরাতে ঠিকাদার আরও টাকা দাবি করছে ৷ আমরা এ নিয়ে অভিযোগ জানাতে কালিয়াচক থানায় গিয়েছিলাম ৷ কিন্তু পুলিশ আমাদের কোনও কথাই শোনেনি ৷ এই ঘটনা পরিষ্কার খুন ৷ করিমকে মারা হয়েছে ৷ আমরা ভিডিয়োতে ওর ক্ষত দেখেছি ৷”
যদিও কালিয়াচক থানার আইসি সুমন রায়চৌধুরী বলেন, “বিষয়টি আমার জানা ছিল না ৷ ওই শ্রমিকের পরিবারকে আমরা সবরকম সহায়তা করতে তৈরি রয়েছি ৷ আমরাও গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছি ৷”