নন্দীগ্রাম, 24 মে: রাত বাড়ছে নন্দীগ্রামে। এবার রেকর্ড পরিমাণ বাহিনী থাকছে 'শুভেন্দুর গড়ে'। অথচ রাতের অন্ধকারে ফিসফাস চলছে। শোনা যাচ্ছে চাপা হুমকি- "আপনারা ভোটের দিন সব করুন। ভালো ভালো রান্না করুন। নিজেদের মধ্যে ফিস্ট করুন। তবে ভোট কেন্দ্রে যাবেন না।" এরা কারা! এদের রাজনৈতিক পরিচয় কী! সেসব অজানা হলেও একটা চাপা উত্তেজনা রয়েছে নন্দীগ্রামে।
নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য বলছে, শুধু নন্দীগ্রামেই থাকছে 20 কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। এছাড়া রাজ্য পুলিশের সশস্ত্র বাহিনীও থাকছেই। প্রশ্ন হল এরপরেও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে কি? নাকি নির্বাচনের দিনও অশান্তির চেনা ছবি দেখা যাবে নন্দীগ্রামে। বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবারও কয়েকটি অশান্তির খবর এসেছে। পাওয়া গিয়েছে অগ্নিসংযোগের খবরও।
লোকসভা নির্বাচনের সব খবর পেতে চোখ রাখুন এখানে
গোটা রাজ্যের চোখ নন্দীগ্রামের দিকে। বুধবার থেকেই নন্দীগ্রামে অশান্তির খবর আসছে। সেদিন খুন হন বিজেপি কর্মী রথিবালা আড়ি। আততায়ীদের হাতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন তার ছেলেও সঞ্জয় আড়িও। এরপর থেকেই উত্তপ্ত নন্দীগ্রাম। আর এই খুনের ঘটনাকে সামনে রেখে আবারও রাজ্য রাজনীতির হটস্পট নন্দীগ্রাম।
আরও পড়ুন: ভোটের 24 ঘণ্টা আগে গ্রেফতার বিজেপির মণ্ডল সভাপতি, উত্তপ্ত তমলুক
এদিন বিকেল থেকেই তৃণমূল নেতারা বিজেপির বিরুদ্ধে ভয় দেখানোর অভিযোগ তুলছেন। তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ সোশাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। একই ছবি তুলে ধরেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম মুখপাত্র ঋজু দত্ত। যেখানে স্পষ্টত শুনতে পাওয়া যাচ্ছে, 25 তারিখ অর্থাৎ আগামিকাল ভোট কেন্দ্রমুখী হলে সন্ধ্যায় গৃহহীন হতে হবে। খুব স্বাভাবিকভাবেই বিষয়টা স্পষ্ট এই অভিযোগ বিজেপির দিকে। অন্যদিকে, বিজেপি কিন্তু এই অভিযোগ প্রসঙ্গে নীরব।
বিজেপি নেতাদের বক্তব্য, হার নিশ্চিত বুঝে এই সব ভিডিয়ো ছড়িয়ে নিজেদের লজ্জা ঢাকার চেষ্টা করছে তৃণমূল। এই অবস্থায় বাস্তব কি তা নিয়ে সন্ধিহান ভোটারদের একটা বড় অংশ। নন্দীগ্রাম, ভেকুটিয়া, তেখালি সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় সাধারণ ভোটারদের মধ্যে একটা অশান্তির শঙ্কা রয়েছে। আর এই শঙ্কার মধ্যে গণতন্ত্রের উৎসব কি বাস্তবেই সম্ভব সেই প্রশ্ন তুলছেন তাঁরাই।
আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামে বাড়তি সতর্কতা, থাকছে বাড়তি সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী-কুইক রেসপন্স টিম