জলপাইগুড়ি, 18 মার্চ: গ্রাহক সেজে বেসরকারি ব্যাংক থেকে প্রায় 28 লক্ষা টাকা কেপমারির ঘটনা ঘটল জলপাইগুড়িতে। এই ঘটনায় কয়েক ঘণ্টা পর থানায় খবর দেওয়া হয় ৷ ব্যাংকের ভিতর থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা গায়েব হয়ে যাওয়ার ঘটনায় পুলিশ ব্যাংকের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ৷ তদন্তে আসেন খোদ পুলিশ সুপার। ব্যাংক ও বেসরকারি অর্থ পরিবহণ ও সংগ্রহকারী সংস্থা এস অ্যান্ড আইবি'র কর্মীদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে পুলিশ।
সোমবার জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার খান্ডবাহালে উমেশ গণপত ওই ব্যাংক পরিদর্শনে আসেন। জলপাইগুড়ির ডিবিসি রোডের ওই ব্যাংক কর্তৃপক্ষ কেন সময়মতো পুলিশকে ঘটনার কথা জানাল না, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি ৷ বেসরকারি অর্থ পরিবহণ ও সংগ্রহকারী সংস্থা এস অ্যান্ড আইবি'র সিনিয়র এক্সিকিউটিভ দিলীপ রাজভর বলেন, "আমাদের বিভিন্ন সংস্থা ও দোকান থেকে অর্থ সংগ্রহ করে ব্যাংকে জমা করে থাকি। আজ বিভিন্ন জায়গা থেকে টাকা সংগ্রহ করে ব্যাংকে জমা করতে এসেছিল আমাদের দুই কর্মী।"
তিনি আরও জানান, "তাঁদের সঙ্গে ছিলেন নিরাপত্তারক্ষী। ব্যাংকে তাঁরা টাকা জমা দেওয়ার লাইনে দাঁড়ালে টাকার ব্যাগটি পাশেই রেখেছিল। কিন্তু কখন টাকার ব্যাগ গায়েব হয়ে গেল তা বুঝতেই পারেননি তাঁরা ৷ আমাদের ক্লায়েন্টের গতকালের কালেকশনের টাকা ব্যাংকে জমা করার আগে ঘটনাটি ঘটল। আমাদের কর্মীদের ফলো করা হচ্ছিল কি না, তাও জানি না ৷ পুরোটাই তদন্তের বিষয়।"
জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার খান্ডবহালে উমেশ গণপত বলেন, প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে দুপুর 1টা 45 নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে। কিন্তু আমাদের ব্যাংক থেকে সাড়ে 4টে-5টা নাগাদ পুলিশকে জানানো হয়। পুরো ঘটনার তদন্ত হচ্ছে। আমরা ব্যাংকের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করছি। আমাদের ট্রাফিকের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে তদন্ত করছি। কত টাকা ছিল তা আমাদের কাছে এখনও তার লিখিত অভিযোগ আসেনি তাই বলা যাচ্ছে না ৷ সিসিটিভিতে দেখা গিয়েছে একটা ব্যাগ নিয়ে চলে যাচ্ছে।"
আরও পড়ুন: