মালদা, 12 জুলাই: পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়াকে অপহরণের অভিযোগ বউদির বিরুদ্ধে। শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের ভিডিয়ো পাঠিয়ে মুক্তিপণের দাবিও করা হয়েছে । মুক্তিপণ না-দেওয়া হলে খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছে পরিবার ৷
বিষয়টি নিয়ে বারবার পুলিশের দ্বারস্থ হলেও তারা বিভিন্ন অছিলায় ঘুরিয়ে দিতে থাকে বলে অভিযোগ তুলেছেন পরিবারের লোকজন ৷ সেই খবর পৌঁছয় চাইল্ড ওয়েল ফেয়ার কমিটির কাছে ৷ চাইল্ড ওয়েল ফেয়ার কমিটি নড়চড়ে বসতেই থানায় ডেকে পাঠানো হয় ওই পরিবারকে ৷ শুক্রবার সারা দুপুর থানায় বসে থাকার পর বিকেল চারটে নাগাদ ওই পরিবারের অভিযোগ নেওয়া হয় ৷
অপহৃত কিশোর ইংরেজবাজারের যদুপুর এলাকার বাসিন্দা ৷ 10 বছরের ওই কিশোর স্থানীয় একটি স্কুলে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে ৷ পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, 6 ভাইয়ের মধ্যে অপহৃত কিশোর সবচেয়ে ছোটো ৷ জানা গিয়েছে, গত 8 জুলাই চতুর্থ দাদার স্ত্রী কাটিহারে বাবার বাড়ি যাওয়ার কথা বলেন। একা যাওয়ার বদলে 10 বছরের দেওরকে সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন তিনি।
দেওরকে সঙ্গে নিয়ে ট্রেনে করে বাবার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি। ওই কিশোর লক্ষ্য করে মাঝে কোনও একটি স্টেশন থেকে ট্রেনে এক যুবক ওঠেন। বউদির সঙ্গে কথা বলতে শুরু করেন। সেই সমস্ত ছবি তুলে পরিবারের লোকেদের পাঠায় সে ৷ অভিযোগ, পরদিন রাতে দেওরের নির্যাতনের ভিডিয়ো পাঠিয়ে দুই লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন ওই যুবতী ৷ বুধবার সকাল হতেই পরিবারের লোকজন ইংরেজবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করতে যান ৷ কিন্তু তাদের অভিযোগ নেওয়া হয়নি ৷ শেষমেশ শুক্রবার দায়ের হল অভিযোগ!
অপহৃত কিশোরের বড়দা বলেন, "গত 8 তারিখ চতুর্থ ভাইয়ের স্ত্রী ছোটো ভাইকে নিয়ে বাবার বাড়ি যায়। 9 তারিখ রাতে ফোন করে জানায়, সে আর আমাদের বাড়িতে আসতে চায় না। 2 লক্ষ টাকা দিতে হবে, নয়তো সে ছোটো ভাইকে প্রাণে মেরে ফেলবে। এরপরই ও ভাইকে নির্যাতনের ভিডিয়ো পাঠায়। সেই ভিডিয়োতে দেখা যায়, ভাইকে হাত-পা বেঁধে মারধর করা হচ্ছে। আমরা সেসব নিয়ে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করতে আসি। কিন্তু পুলিশ আমাদের কাটিহার থানায় যেতে বলে। বারবার থানায় আসার পরও আমাদের অভিযোগ নেওয়া হয়নি। সকালে চাইল্ড ওয়েল ফেয়ার কমিটির অফিসে গিয়ে সমস্ত ঘটনা বলি। ওরা আমাকে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার কথা বলে থানায় ফোন করেন। এরপরেই থানা থেকে আমাকে ফোন করে ডাকা হয়। থানায় এসে একাধিক অফিসারের সঙ্গে কথা বলার পর পুলিশ অভিযোগ নিতে রাজি হয়। সারা দুপুর বসে থাকার পর বিকেল চারটে নাগাদ আমাদের অভিযোগ নেওয়া হয়েছে।"