মালদা, 9 অগস্ট: স্ত্রীর চিকিৎসা করাতে এসে কর্তব্যরত চিকিৎসককে মারধরের অভিযোগ বিডিও'র বিরুদ্ধে। আক্রান্ত চিকিৎসক সমস্ত ঘটনা জানিয়ে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে, হবিবপুর ব্লকের বুলবুলচণ্ডী গ্রামীণ হাসপাতালে। এই ঘটনায় বিডিও'র তরফে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
চিকিৎসক দীপাঞ্জন মণ্ডল বলেন, "গতকাল রাতে আমি ডিউটিতে ছিলাম। রাত আড়াইটে নাগাদ হবিবপুরের বিডিও অংশুমান দত্ত তাঁর স্ত্রীকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে এসেছিলেন। নার্সিংস্টাফ সঙ্গে সঙ্গে আমাকে বিষয়টি জানান। আমি সঙ্গে সঙ্গে এসে দেখি উনি স্ত্রীকে গাড়ি থেকে নামাচ্ছেন। সেই মুহূর্তে উনি আমাকে চড়-থাপ্পড় মারতে থাকেন। আমি এমন ব্যবহারের কারণ জানতে চাইলে উনি রেগে আবার চড়-থাপ্পর মেরে ধাক্কা মারলে আমার হাতের নখ উঠে যায়।
তিনি আরও বলেন, "অনেকটা রক্তপাত হয়। আমিও সেই সময় খানিকটা রেগে যাই। কিন্তু আমি ওনার স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য সময় নষ্ট করিনি। ওনার চিকিৎসা করে বিষয়টি আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাই। লিখতে সমস্যা হওয়ায় আমি আরেকজন চিকিৎসককে ডাকি। উনি বিডিও সাহেবের স্ত্রীকে চিকিৎসা করেন। ওনার স্ত্রী খানিক সুস্থ বোধ করলে তাঁরা বাড়ি যেতে চান। বাড়ি যাওয়ার আগে বিডিও সাহেব আমাকে হুমকি দিয়ে যান। রাতেই আমি পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছি। একজন সরকারি আধিকারিক যদি কর্তব্যরত চিকিৎসকের ওপর হাত তোলেন, তবে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা কোথায়?"
নার্স অঙ্কিতা মণ্ডল বলেন, "রাতে হবিবপুর ব্লকের বিডিও সাহেব ওনার স্ত্রীকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে এসেছিলেন। উনি খুব তাড়াহুড়ো করছিলেন। রোগীকে ভেতরে আনার সময়ই ডাক্তারবাবু চলে আসেন। সেই সময় বিডিও সাহেব রেগে গিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসকের কলার ধরে কিল, ঘুসি, চড় মারেন। বিডিও সাহেবের পরিবারের লোকজন ওনাকে থামান। চিকিৎসক এই ব্যবহারের কারণ জানতে চাইলে, বিডিও সাহেব ফের রেগে গিয়ে চড় থাপ্পর মারেন। স্যার রেগে গেলেও চিকিৎসা পরিষেবা শুরু করে দেওয়া হয়। ওনার স্ত্রী খানিক সুস্থ বোধ করে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলতে আসেন। এই সময় বিডিও সাহেব ফের চিকিৎসককে মারধর করেন। এই ঘটনার জেরে আমরা রীতিমতো আতঙ্কে রয়েছি ৷"