কলকাতা, 20 জুলাই: বেশ কয়েকদিন কেটে গেলেও এখনও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্যের রেশ কাটেনি ৷ এবার তাঁর মন্তব্যের বিরোধিতায় সরব হল অখিলভারত হিন্দু মহাসভা।
লোকসভা নির্বাচনের পর সায়েন্স সিটিতে 17 জুলাই বঙ্গ বিজেপি'র রাজ্যে কমিটির যে বৈঠক হয়েছিল সেখানে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সামনেই মঞ্চ থেকে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "আগে বলেছি সবকা সাথ সবকা বিকাশ। আর বলব না ৷ এবার বলব, যো হামারে সাথ হাম উসকে সাথ। সবকা সাথ সবকা বিকাশ বন্ধ কর। সংখ্যালঘু মোর্চার কোনও প্রয়োজন নেই।" আর তারপরেই রাজনৈতিক মহলে এই মন্তব্য নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। স্বাভাবিকভাবেই শুভেন্দু অধিকারীর করা এই মন্তব্য বেশ কিছুটা অস্বস্তিতে ফেলেছে দলকে।
এবার সেই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করল অখিলভারত হিন্দু মহাসভা। মহাসভার রাজ্য সভাপতি চন্দ্রচূড় গোস্বামী জানান, একদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন জোর দিচ্ছেন সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাসের উপর তখন ওনারই দলের পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা উলটো কথা বলছেন ! তাঁর কথায়, "এতে নিশ্চয় বঙ্গ বিজেপির কর্মীদের সবচেয়ে বেশি বিভ্রান্তিতে পড়তে হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ এবং ভারতবর্ষের মাটি সবসময়ই সর্বধর্ম সমন্বয়ের মাটি। বাংলার মাটিতেই সত্যনারায়ণ এবং পীর সাহেবের সংযোগে সত্যপীরের পূজা করা হয়। একইসঙ্গে হয় রবীন্দ্রসঙ্গীত ও নজরুলগীতি। কাজেই এই সংস্কৃতি বাদ দেওয়া যায় না।"
শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগদান করার অনেক আগে থেকেই বিজেপিতে সংখ্যালঘু মোর্চা বা আরএসএসএস-এর মুসলিম রাষ্ট্রীয়মঞ্চ নামে একটি শাখা রয়েছে। চন্দ্রচূড় গোস্বামী বলেন, "অখিলভারত হিন্দু মহাসভা মনে করে প্রত্যেক ধর্ম এবং সম্প্রদায়ের মানুষের পরস্পরকে সম্মান করে চলা উচিত। শুধুমাত্র এক সম্প্রদায়ের মতাদর্শ এবং ধর্মীয় বিশ্বাস সঠিক আর অন্যদেরটা ভুল এই রকম মতাদর্শে বিশ্বাসী নয় মহাসভা।"
উল্লেখ্য, শুক্রবার শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্যকে পূর্ণ সমর্থন করেছিলেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কার্তিক মহারাজ। কার্তিক মহারাজ বলেছিলেন, "শুভেন্দু অধিকারী একেবারে বাস্তব কথা বলেছেন। বর্তমানে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট যেভাবে বদল হচ্ছে তাতে শুভেন্দু অধিকারী একেবারে ঠিক কথা বলেছেন বলেই তিনি জানিয়েছেন।"