কলকাতা, 19 অক্টোবর: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শনিবার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবি মেনে এখনই স্বাস্থ্যসচিবকে অপসারণ করা সম্ভব নয় ৷ সিসিইউ থেকে বেরিয়ে আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসক পুলস্ত্য আচার্য মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পালটা প্রতিক্রিয়া দিলেন ৷ বললেন, "দুষ্টু গরুর থেকে শূন্য গোয়াল ভালো ।"
ধর্মতলায় অনশনের নবম দিনে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন এই জুনিয়র চিকিৎসক । তাঁকে নিয়ে আসা হয়েছিল নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে । 13 তারিখ রাত 11টার সময় এনআরএসের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছিল পুলস্ত্য আচার্যকে । সেখানেই এতদিন সিসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন এই জুনিয়র চিকিৎসক । শনিবার তিনি হাসপাতাল থেকে ছুটি পান । তবে বর্তমানে বাড়িতে গেলেও কিছুদিন পর আন্দোলন মঞ্চে ফিরে আসবেন বলেই জানান পুলস্ত্য ।
তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছাড়ার সময় নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ পীতবরণ চক্রবর্তী বলেন, "ওঁর ব্লাড সুগার, লিপিড প্রোফাইলের সমস্যা ছিল । জ্বর আসছিল । তবে এখন সব ঠিক আছে । এই অনশনের কারণে ওঁর কিছু শারীরিক ক্ষতি হয়েছে । যার কারণে ওঁর এখন বিশ্রাম দরকার । তার জন্য ওঁকে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাওয়া দাওয়াও করতে হবে ।"
অন্যদিকে শনিবার ধর্মতলায় জুনিয়র চিকিৎসকদের আমরণ অনশন মঞ্চে পৌঁছান মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ এবং স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তী । সেখানে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলিয়ে দেন তাঁরা । মুখ্যমন্ত্রী ফোনে জুনিয়র চিকিৎসকদের 10 দফা দাবি শোনেন । এই দাবিগুলির মধ্যে অন্যতম স্বাস্থ্যসচির নারায়ণ স্বরূপ নিগমের অপসারণ ৷
জুনিয়র চিকিৎসকদের এই দাবি শোনার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানান, এই মুহূর্তে স্বাস্থ্যসচিবকে অপসারণ করা তাঁর পক্ষে সম্ভব নয় । এর পরিপ্রেক্ষিতে সদ্য হাসপাতাল থেকে ছুটি পাওয়া জুনিয়র চিকিৎসক পুলস্ত্য আচার্য বলেন, "উনি অভিভাবক, তাই আমরা চাইব স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় দুর্নীতি নির্মূল করা হোক । তারা শুরু হোক স্বাস্থ্যসচিবের অপসারণ দিয়েই ।"