দার্জিলিং, 4 সেপ্টেম্বর: উত্তরবঙ্গ লবি নিয়ে ফের তীব্র উত্তেজনা উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ৷ থ্রেট কালচারে জড়িত থাকার অভিযোগে হাসপাতালের স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্স-এর ডিন সন্দীপ সেনগুপ্ত এবং অধ্যক্ষ ইন্দ্রজিৎ সাহাকে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ দেখালেন চিকিৎসক, অধ্যাপক-চিকিৎসক, নার্স, রেসিডেন্ট ডক্টর থেকে পড়ুয়ারা ৷
অভীক দে, সন্দীপ ঘোষ, সুশান্ত রায়ের মতো একাধিক চিকিৎসকদের প্রভাবে অনৈতিক ও বেআইনিভাবে পরীক্ষার নম্বর বাড়ানো, মার্কশিট নয়ছয়, পরীক্ষার হলে মোবাইল ব্যবহারে অনুমতি দেওয়া, টাকার বদলে টুকলি, টাকার বিনিময়ে পাশ-ফেল, আন্দোলনরত চিকিৎসক ও জুনিয়র ডাক্তারদের হুমকি দেওয়া, আর্থিক দুর্নীতি-সহ একাধিক অভিযোগে বিক্ষোভ দেখালেন হাসপাতালের পড়ুয়া, হাউজ স্টাফ থেকে শুরু করে অধ্যাপক ও পড়ুয়ারা ৷
বিক্ষোভের চাপে ডিন সন্দীপ সেনগুপ্ত অভীক দে, শার্লিন সরকার ও শোহম মণ্ডল-সহ একাধিক চিকিৎসক ও প্রভাবশালী শাসকদলের নেতার নাম প্রকাশ্যে আনেন ৷ আর তারপরেই বিক্ষোভ আরও তীব্র হয় ৷ এরপরই ডিন সন্দীপ সেনগুপ্তের পদত্যাগের দাবি তোলেন আন্দোলনকারীরা ৷ অভিযোগ, গোটা ক্যাম্পাসে হুমকি, ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে অভীক দে এবং উত্তরবঙ্গ লবি ৷
পড়ুয়াদের অভিযোগ, আরজি করে পড়ুয়া-চিকিৎসকের হত্যার বিরুদ্ধে হওয়া আন্দোলন শুরুর পর থেকেই হোস্টেলে ঢুকে পড়ুয়াদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে ৷ কাউকে ফেল করানোর, কাউকে প্রাণে মারার আবার মহিলা চিকিৎসকদের ধর্ষণের মতো হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ৷ যদিও ডিন সন্দীপ সেনগুপ্ত তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ৷ পাশাপাশি অধ্যক্ষ ইন্দ্রজিৎ সাহা জানিয়েছেন, প্রাণে মারা, ধর্ষণ করার মতো যেসব অভিযোগ পড়ুয়ারা করেছে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হবে ৷
হাসপাতালের চিকিৎসক উৎপল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "এই উত্তরবঙ্গ লবি গোটা হাসপাতালে ত্রাসের সৃষ্টি করেছে ৷ প্রভাবশালীদের কথায় পড়ুয়াদের হুমকি, নম্বর বাড়িয়ে দেওয়া এসব চলছে ৷ এসবের তদন্ত হওয়া উচিত ৷ আর যদি সন্দীপ সেনগুপ্তের অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত ৷"
ডিন সন্দীপ সেনগুপ্ত বলেন, "আমি সন্দীপ ঘোষকে চিনি না ৷ আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে ৷ উলটে আমি পরীক্ষার হলে থাকলে কাউকে ঘাড় ঘোরাতে দিই না ৷ এইজন্য আমাকে অনেকে অপছন্দ করত ৷ সেজন্য হল থেকে বেরিয়ে আসার জন্য আমার কাছে ফোন আসত ৷ আর নম্বর বাড়ানোর বিষয় আমার জানা নেই ৷ তবে পড়ুয়াদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠলে আমরা পদক্ষেপ করেছি ৷"