কালিম্পং, 22 জুলাই: সমস্যা পিছু ছাড়ছে না বাংলা এবং সিকিমের মধ্যে যোগাযোগের লাইফলাইন 10 নম্বর জাতীয় সড়কে। ধসের কারণে প্রায় 25 দিন ধরে বন্ধ রয়েছে 10 নম্বর জাতীয় সড়ক। চলতি সপ্তাহের মধ্যেই ধস সরিয়ে 10 নম্বর জাতীয় সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করার উদ্যোগ নিয়েছিল প্রশাসন। সেই মতো তোড়জোড় দিয়ে চলছিল কাজও। কিন্তু রবিবার রাতে ফের নতুন করে ধসের ঘটনা ঘটল 10 নম্বর জাতীয় সড়কে।
10 নম্বর জাতীয় সড়কে এবার একইসঙ্গে জোড়া বড়সড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। ধসের ঘটনা দু'টির একটি ঘটেছে মাল্লি বাজারের কাছে এবং আরেকটি বিড়িকদাড়ায়। যে কারণে ফের বিপাকে পড়েছে প্রশাসন। সোমবার সকাল থেকে সেই ধস সরানোর কাজ শুরু করেছে প্রশাসন। তবে এই ধস সরাতে বেশ সময় লাগবে বলে জানা গিয়েছে।
কালিম্পং ও দার্জিলিং জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, 10 নম্বর জাতীয় সড়ক বন্ধ থাকায় সেবক থেকে লাভা, গরুবাথান, আলগাড়া দিয়ে যান চলাচল করছে। অন্যদিকে, কার্শিয়াং দিয়ে পেশক দিয়ে কালিম্পংয়ে যাতায়াত চলছে। এতে একদিকে যেমন গন্তব্যে পৌঁছতে অনেক বেশি সময় লাগছে অন্যদিকে, সাধারণ যাত্রী থেকে পর্যটকদের অনেক বেশি ভাড়া খরচ হচ্ছে। তিস্তার জলস্তর আগের থেকে অনেকটা নামায় সেলফিদাড়া, বিড়িকদাড়া, 29 মাইল, মাল্লি, তিস্তাবাজারের-সহ অন্যান্য এলাকা থেকে ধস সরানোর কাজ প্রায় শেষের পথে।
যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সেই কাজ করছে প্রশাসন, জিটিএ ও বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন। ধস সরিয়ে আগামী দু-একদিনের মধ্যেই যান চলাচল স্বাভাবিক করার পরিকল্পনা করেছিল প্রশাসন। সেইমতো পরীক্ষামূলক যান চলাচল শুরুও হয়েছিল। কিন্তু এদিন সকালে ফের ধসের ঘটনা ঘটে।
এবিষয়ে কালিম্পংয়ের জেলাশাসক বালাশুভ্রমণিয়ম টি বলেন, "ধস সারিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা হচ্ছে। নতুন করে দুই এক জায়গায় ধসের ঘটনা ঘটেছে। সেটাও সরানোর কাজ চলছে। চলতি সপ্তাহে জাতীয় সড়ক দিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করার পর করা হয়েছে।"
কালিম্পংয়ের বাসিন্দা প্রকাশ শর্মা বলেন, "ভুটানের মহাকাল মন্দিরে যেতাম। কিন্তু নতুন করে ধসের ঘটনা ঘটেছে। অনেকক্ষণ ধরে আমরা অপেক্ষা করছি। কখন ঠিক হবে জানি না।"