কলকাতা, 6 অগস্ট: একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে দাঁড়িয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ইঙ্গিত দিয়েছিলেন সাময়িক বিরতি নিয়ে তিনি কি করছিলেন তা খুব শীঘ্রই বাংলার মানুষ জানতে পারবেন । তাঁর কথাতেও উঠে এসেছিল লোকসভা নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা নেতাদের সাফল্য ও ব্যর্থতার কাঁটাছেড়ার বিষয়টি । দলের অন্দরে ইতিমধ্যেই এই কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে । মঙ্গলবার ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে লোকসভা নির্বাচন নিয়ে রিপোর্ট জমা পড়ল । এই তদন্ত রিপোর্টে রীতিমতো অন্তর্ঘাতের সম্ভাবনা উঠে এসেছে যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ।
প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনের পর রাজ্যের 294টি বিধানসভা-সহ প্রত্যেকটি লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ এবং পরাজিত প্রার্থী ও জেলা সভাপতিদের কাছ থেকে আলাদা আলাদা করে রিপোর্ট চেয়েছিল দল । এই রিপোর্টে দলীয় ফলাফলের বিষয়টিকে কাটাছেঁড়া করে বোঝার চেষ্টা হয়েছে বাস্তবে এবারের নির্বাচনে দলের যে ফল হয়েছে তা কতটা সন্তোষজনক । এক্ষেত্রে বিশেষ পর্যালোচনার বিষয় ছিল সর্বস্তরের জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা ।
ক্যামাক স্ট্রিটের অফিস সূত্রে যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তাতে জানা গিয়েছে বেশিরভাগ বিধায়কই তাদের রিপোর্ট জমা করেছেন । রায়গঞ্জ, কাঁথি এই লোকসভা আসনগুলি জেতার আশা করলেও সেখানে হেরে গিয়েছে রাজ্যের শাসকদল । এক্ষেত্রে বিধায়কদের একাংশ তাদের রিপোর্টে অন্তর্ঘাতের কথা বলেছেন । এক্ষেত্রে দলের নেতৃত্বের একাংশ যেমন নিষ্ক্রিয় থেকেছেন এর পাশাপাশি তাদের একাংশ বিজেপির সঙ্গে যোগসাজশ রেখে দলকে দুর্বল করার চেষ্টা করেছে ।
তবে শুধু রায়গঞ্জ বা কাঁথি নয়, এ ধরনের অভিযোগ আরও বেশ কয়েকটি জায়গাতেও উঠেছে । ফলে দলের তরফ থেকে এদের বিরুদ্ধে তিন মাসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার একটা কথা বলা হয়েছিল । এই তথ্য হাতে আসার পর দল তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয় সেটাই এখন দেখার । নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক এক বিধায়কের কথায়, "এই বিষয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অত্যন্ত কড়া ব্যবস্থা নিতে পারেন । দলের মধ্যে থেকে যারা দলকে ক্ষতি করছে তাদের উপড়ে ফেলা হতে পারে ।"