কলকাতা, 5 এপ্রিল: ওয়াটগঞ্জে মহিলার দেহ উদ্ধারের ঘটনায় একের পর এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠে আসছে ৷ ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া মহিলার দেওর নীলাঞ্জনকে জেরা করতেই এই তথ্য পেয়েছে লালবাজার ৷ ধৃত জানিয়েছে, দুর্গা সরখেলকে হত্যা করার পর বালির বস্তা জোগাড় করে নীলাঞ্জন ৷ এরপর দেহাংশ সেই বস্তায় মুড়ে সাইকেল চালিয়ে 600 মিটার দূরে এসে ফাঁকা এলাকায় রেখে যায় সে । যদিও তদন্তকারীদের দাবি, জেরায় প্রায় প্রতি মুহূর্তেই নিজের মত পরিবর্তন করছে নীলাঞ্জন । ফলে তদন্তে নেমে তার কথার পাশাপাশি পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণ জোগাড়ের দিকেও বিশেষ নজর দিচ্ছেন কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড বিভাগের গোয়েন্দারা ।
দেহাংশ লোপাট করার অভিযোগে ইতিমধ্যেই তার দেওর নীলাঞ্জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । তাকে জেরা করে লালবাজারের তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, যে দিন ঘটনাটি ঘটেছে সে দিন ভোর 5টার মধ্যেই দুর্গা সরখেলকে খুন করা হয় ।
পুলিশ সূত্রের খবর, এই খুনের তদন্তে ইতিমধ্যেই কিছু সিসিটিভি ফুটেজ উদ্ধার হয়েছে । জানা গিয়েছে, দুর্গা সরখেলের বাড়ির ঠিকানা 23বি, হেমচন্দ্র স্ট্রিট । লালবাজার সূত্রের খবর, আজ শুক্রবার ঘটনাস্থলে গিয়ে সেই বাড়ির উলটোদিকের বাড়ির সামনের সিসি ক্যামেরা থেকে ফুটেজ সংগ্রহ করেন তদন্তকারীরা । পাশাপাশি তদন্তে জানা যায়, দুর্গা সরখেলকে ঠান্ডা মাথায় খুন করার পর, দেহাংশগুলি একটি বালির বস্তায় ভরে প্রথমে নীলাঞ্জন ভোরবেলায় সাইকেলের কেরিয়ারে বেঁধে ডক্টরস লেনে আনে । সেখানে কালো প্লাসটিকে সেই দেহাংশগুলি ভরে ফেলে দেয় সে । পরে দুর্গা সরখেলের দেহের অন্য নিখোঁজ অংশগুলি খুব সম্ভবত সে কলকাতার বন্দর এলাকার সুইং ব্রিজ এবং দই ঘাটে গিয়ে নদীর জলে ভাসিয়ে দেয় । কিন্তু নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার ঘটনায় লালবাজারের গোয়েন্দারা নীলাঞ্জনকে জেরা করলে সেই বিষয়ে নিরুত্তর থাকছে সে ৷ ফলে এবার সংশ্লিষ্ট ঘাটগুলির আশপাশের দোকান এবং রাস্তার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করছেন তদন্তকারীরা । সেখান থেকে কিছু উদ্ধার করা যায় কি না সেটাই দেখার ৷
আরও পড়ুন :