কলকাতা, 27 অক্টোবর: নবান্নের সাংবাদিক বৈঠকে বেআইনি পার্কিং নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার এলাকার বিভিন্ন অংশে নাইট পার্কিং নিয়ে অভিযোগ জানালেন, বেহালার তৃণমূল কাউন্সিলর রূপক গঙ্গোপাধ্যায়। আর এ ব্যাপারে পুরসভার নিয়মকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন কলকাতা পুরনিগমের 121 নম্বর ওর্য়াডের এই কাউন্সিলর।
সম্প্রতি, নবান্নের এক বৈঠক থেকে কলকাতা ও হাওড়ায় যথেচ্ছ গাড়ি রাখা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মমতা। রাস্তায় যথেচ্ছ গাড়ি রাখার ফলে আগুন লাগল দমকলের ইঞ্জিন বা কোনও সমস্যা হলে অ্যাম্বুলেন্স ঢুকতে পারে না বলে তিনি দাবি করেন।
কাউন্সিলর রূপক গঙ্গোপাধ্যায় কী বলেছেন?
তিনি বলেন, "যথেচ্ছ পার্কিংয়ের ফলে গলির ভিতরে থাকা মানুষজন তাঁদের গাড়ি কোনও দরকারে বের করতে বা ঢোকাতে পারছেন না। সাধারণ মানুষকেও সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে। গাড়ি রাখা নিয়ে আমাকেও নাগরিকদের ক্ষোভের মুখেও পড়তে হয়েছে ৷ কলকাতা কর্পোরেশনের নিয়ম, রাতে কেউ বাড়ির সামনে গাড়ি পার্কিং করলে সেটা অবৈধ । কিন্তু 500 টাকা পার্কিং ফি দিলে সেটা আইনি বা বৈধ বলে ধরা হয়। আর তার ফলেই সমস্যা পড়তে হচ্ছে আমজনতাকে। যদি এমন পার্কিং করতে হয় এলাকার মানুষের সঙ্গে আলোচনা করে অনুমতি নিয়ে করা হোক। পরিদর্শন করা হোক সব জায়গা।"
মেয়র ফিরহাদ জানান-
এই প্রসঙ্গে, কলকাতা কর্পোরেশনের মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, "পুর-আইন অনুযায়ী পার্কিংয়ের অনুমতি দেওয়ার জন্য কোনও নাগরিকের থেকে সম্মতি চাওয়ার বিষয় নেই। নিয়ম মেনে কেউ রাখলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব নয়।"
মমতার ক্ষোভ প্রসঙ্গে ফিরহাদ-
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উষ্মা প্রসঙ্গে ফিরহাদ বলেন, "বিভিন্ন পাড়ায় যেভাবে গাড়ি থাকে তাতে অ্যাম্বুলেন্স ঢুকতে বা বেরোতে খুব অসুবিধা হয় যায়- এটা নিয়েই মুখ্যমন্ত্রী উদ্বিগ্ন। অথচ কর্পোরেশন ও রাজ্য সরকারের অনেকগুলো পার্কিং লট হয়েছে। পার্কিং লটে গাড়ি রাখতে মাসে মাত্র 1 হাজার টাকা লাগে। দিনের হিসেবে 100 টাকা লাগে। তাও সেখানে গাড়ি রাখা হচ্ছে না। "
তিনি আরও বলেন, "ধর্মতলায় গাড়ি রাখলে কয়েক ঘণ্টায় দিতে হয় 100 টাকা। সেখানে এক রাতের জন্য 100 টাকা নেয় পুরনিগম। গ্যারাজ ভাড়া নিতে গেলে 5 হাজার টাকা দিতে হবে মাসে। যাঁরা গাড়ি কিনছেন, তাঁরা সেটাও করবেন না। নির্দিষ্ট জায়গায় গাড়ি না-রেখে নিজের বাড়ির সামনে রাখবেন। রাতের দিকে এই ঘটনা বেশি করে ঘটছে। আর তাতেই রাস্তা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। আমরা ফের প্রচার করব নাগরিকদের বোঝাব। আগে অনুরোধ করব। তারপর বিকল্প পথ দেখাব ৷ না-শুনলে নিশ্চই অভিযান করব।"