কলকাতা, 5 ফেব্রুয়ারি: শহিদ মিনার ময়দান সোমবার রাতে আরও একবার উতপ্ত হল। গতকাল সাতসকালে সেনা খুলে দিয়েছিল ডিএ আন্দোলনকারীদের প্যান্ডেল। খোলা আকাশের নীচেই শুরু চলছিল অনশন-অবস্থান। সোমবার রাতে সেনার আদেশ আছে দাবি করে কলকাতা পুলিশ অনশন, আন্দোলনকারীদের সেখান থেকে উঠে যেতে বলল। রাতে করা যাবে না অবস্থান বিক্ষোভ এমনটাই পুলিশ জানিয়েছেন বলে আন্দোলনকারী সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের নেতৃত্বের দাবি।
মাথার উপর ত্রিপল সরেছে। তিনজন অনশনকারীর একজন অসুস্থ হয়ে গতকাল এনআরএস হাসপাতালে ভরতি হয়েছেন। তবে বকেয়া ডিএ আদায়ের দাবিতে আন্দোলনকারীদের এক ইঞ্চি টলানো যায়নি। খোলা আকাশের নীচেই গতকাল থেকে অবস্থান অনশন চালাচ্ছিলেন। সেই মঞ্চ থেকেই নেতৃত্ব হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন সরকার বেশি বাড়াবাড়ি করলে নবান্নের সামনে বসে অনশন-অবস্থান করা হবে। সেই হুঁশিয়ারির 24 ঘণ্টা কাটেনি ৷ আর তার মধ্যেই রাতে ময়দান থানার তরফে বিরাট পুলিশবাহিনী হাজির হন ডিএ মঞ্চের সামনে।
জনা পনেরো আন্দোলনকারী ছিলেন তখন। তাঁদের বলা হয়, উঠে যেতে হবে। রাতে করা যাবে না আন্দোলন। আন্দোলনকারীদের পালটা প্রশ্ন আদালতের নির্দেশে আমরা বসেছি এখানে। উঠিয়ে দেওয়ার নির্দেশ কার আছে? এই জায়গা সেনার। আন্দোলনকারীদের দাবি, উত্তরে পুলিশ বলে, "সেনারই নির্দেশ আছে।" তবে ওই নির্দেশ সংক্রান্ত নথি দেখতে চাইলে পুলিশ সেই নির্দেশ দেখাতে পারেনি। এই বিষয়ে সংগ্রামী যৌথমঞ্চের নেতারা বলেন, "সরকার চরম অমানবিক। আর তাই সরকারি কর্মী ও অবসরপ্রাপ্তদের হক থেকে বঞ্চিত করছে। তার বিরুদ্ধেই অবস্থান আন্দোলন। বাধ্য হয়ে অনশনের পথ নিতে হয়েছে।"
নেতৃত্বের আরও সংযোজন, "মানবিক হলে চিকিৎসক বা সরকারি প্রতিনিধি দল পাঠাতেন আলোচনা করতে। উলটে প্রথমে সেনাকে প্ররোচিত করল। এখন নিজেরাই বাহিনী পাঠিয়েছেন। এভাবে আমাদের আন্দোলন স্তব্ধ করতে পারবেন না।" এই ঘটনার কথা জানাজানি হতেই কলকাতা ও রাজ্যের বিভিন্ন অংশ থেকে সরকারি কর্মীরা হাজির হচ্ছেন ঘটনাস্থলে। একদিকে সরকার ক্রমশ কঠোর মনোভাব প্রকাশ করছে এই আন্দোলনের প্রতি। পালটা আন্দোলনকারীরাও সরকারের বিরুদ্ধে অনড় মনোভাবের পরিচয় দিচ্ছেন। ফলে দুই পক্ষের এই লড়াইতে তপ্ত শহিদ মিনার ময়দান ৷
আরও পড়ুন: