দার্জিলিং, 29 অগস্ট: 11 দিন নিখোঁজ থাকার পর আদিবাসী নাবালিকার পাথর চাপা দেহ উদ্ধার হল চা বাগানের খাল থেকে। খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে নাবালিকার কাকাকে। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শিলিগুড়ি সংলগ্ন ফাঁসিদেওয়া ব্লকে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, 17 বছরের ওই আদিবাসী নাবালিকার দেহ উদ্ধার হয় ফাঁসিদেওয়া ব্লকের ঘোষপুকুর অঞ্চলের গিরমিট লাইন চা বাগান থেকে।
জানা যায় গত, 17 অগস্ট থেকে ওই নাবালিকা নিখোঁজ ছিল। এরপর পরিবারের তরফ থেকে ঘোষপুকুর ফাঁড়িতে গত 18 অগস্ট একটি নিখোঁজ সংক্রান্ত অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করে ঘোষপুকুর ফাঁড়ির পুলিশ। আরও পরে বুধবার বিকেলে চা বাগানে শ্রমিকরা চা পাতা তোলার সময় একটি নালায় নাবালিকার মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখতে পান বলে জানা গিয়েছে।
এরপরেই খবর দেওয়ায় ঘোষপুকুর ফাঁড়ির পুলিশকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান দার্জিলিংয়ের পুলিশ সুপার প্রবীণ প্রকাশ-সহ পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। তদন্তের কিনারা করতে জলপাইগুড়ি থেকে ফরেনসিক টিমও ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। তারা বেশ কিছু নমুনাও সংগ্রহ করেছে বলে খবর। এরপর মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়। এদিকে তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে দড়ি দিয়ে শ্বাসরোধ খুন করা হয় ওই নাবালিকাকে। টানা তদন্তের পর মৃতার কাকা রাকেশ খেসকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার পুলিশ সুপার প্রবীণ প্রকাশ বলেন, "নিখোঁজ হওয়ার দিনেই খুন করা হয়েছিল নাবালিকাকে। পারিবারিক বিবাদের জেরে রাগের বশেই তাকে খুন করা হয়। খুনের বিষয়টি ধৃত নিজেই স্বীকার করেছেন। গোটা ঘটনায় খুনের মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। ধৃতকে পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে আদালতের কাছে।"