বহরমপুর,20 মে: মহারাজ বনাম মুখ্যমন্ত্রী বিতর্কে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশেই দাঁড়ালেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী ৷ পাশাপাশি কার্তিক মহারাজের 'সন্ত' উপাধি নিয়েও প্রশ্ন তুললেন। একইসঙ্গে সোমবারের সাংবাদিক সম্মেলন থেকে কার্তিক মহারাজকে রাজনৈতিক ব্যক্তি হিসেবেই চিহ্নিত করেছেন পোড়খাওয়া রাজনীতিক ৷
বহরমপুরে সাংবাদিক বৈঠক থেকে তিনি বলেন, "আইনি নোটিশ পাঠানোর অধিকার সবার আছে। তবে যাঁর কথা বলা হচ্ছে সেই কার্তিক মহারাজ সেভাবেই পরিচিত। তাঁর পরিচিতি নিয়ে বহু মানুষের প্রশ্ন আছে। সাধু বা সন্ন্যাসী হিসেবে যে চরিত্র হওয়া উচিত সেটা তাঁর নেই। তিনি সরাসরি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এটা সব মানুষের কাছেই প্রমাণিত হয়েছে।" প্রসঙ্গত, বেলডাঙার ভারত সেবাশ্রম মঠের অধ্যক্ষ কার্তিক মহারাজের বিরুদ্ধে বুথে নির্বাচনী এজেন্ট বসতে না দেওয়ার অভিযোগ এনেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ অর্থাৎ তৃণমূল নেত্রীর সেই মন্তব্যে সমর্থন জানালেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ৷
অধীরের ইঙ্গিত বিজেপির হয়েই কাজ করছেন ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের বেলডাঙা শাখার অধ্যক্ষ কার্তিক মহারাজ। ভোটপ্রচারের জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কার্তিক মহারাজের বিরুদ্ধে বুথে তৃণমূলের এজেন্ট বসতে না দেওয়ার অভিযোগ তোলেন ৷ কথা প্রসঙ্গে আসে রামকৃষ্ণ মিশন ও অন্য সাধু-সন্ন্যাসীদের কথা ৷ মমতার মন্তব্যের প্রতিবাদে সরব হন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও ৷ এরপরই মমতাকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন কার্তিক মহারাজ। চারদিনের মধ্যে আইনি নোটিশের জবাব দিয়ে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।
একইসঙ্গে ক্ষমা না চাইলে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপেরও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। যদিও আইনি নোটিশের পরও মুখ্যমন্ত্রী নিজের অবস্থান থেকে এক চুলও সরেননি। এমনকী, এদিন আক্রমণের সুর আরও চড়িয়ে তিনি বলেন, "কার্তিক মহারাজ আগে অধীর চৌধুরীর দল করতেন। এখন বিজেপি করেন। ওঁর উস্কানিতেই ভোটের আগে শক্তিপুরে দাঙ্গা হয়েছে।" এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে ভারত সেবাশ্রমকে খাটো করা হয়েছে বলে দিকে দিকে শুরু হয়েছে প্রতিবাদ। এদিন বেলডাঙা, সুতি, সামশেরগঞ্জ, বহরমপুর-সহ একাধিক জায়গায় ভারত সেবাশ্রমের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ মিছিল বেরোয় ৷
আরও পড়ুন