বহরমপুর, 15 অগস্ট: মুখ্যমন্ত্রী একজন মহিলা হয়েও বাংলার নারী আন্দোলনকে ভয় পেয়েছেন। আতঙ্কিত হয়ে পুলিশ ও তৃণমূলের হার্মাদ বাহিনীকে সন্ত্রাসের কাজে ব্যবহার করছেন। আরজি কর কাণ্ডে বুধবার রাতের মহিলা আন্দোলন নিয়ে রাজ্য সরকার ও মুখ্যমন্ত্রীকে এভাবেই বিঁধলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। পাশাপাশি, আরজি কর হাসপাতালে নির্যাতিতা চিকিৎসকের পরিবারকে সমস্তরকম প্রলোভন ও ভয় দেখানো হচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি।
'মহিলারা রাতের দখল নিক' এই স্লোগানকে সামনে রেখে বুধবার রাতে বাংলার চর্তুদিক কার্যত উত্তাল হয়ে ওঠে। বহু জায়গায় পুলিশ মহিলাদের ভয় দেখিয়ে আন্দোলন প্রত্যাহারে চাপ দেয় বলেও অভিযোগ উঠেছে। মহিলা আন্দোলনের জেরে আরজি কর হাসপাতালও উত্তাল হয়ে উঠেছিল। বৃহস্পতিবার সকালে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে রাজ্য সরকারের ভুমিকা নিয়ে তীব্র সমালোচনা করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, "ভয়-ভীতি, সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করতে চাইছে সরকার। এই বাংলায় আর কোনও সরকার আছে বলে আমার মনে হচ্ছে না। আমি গতকাল রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে তাঁকে কিছু করার অনুরোধ জানিয়েছি। রাজ্যপাল আমাকে বলেন, 'আমি সাংবিধানিক পদে থেকে আইনের কথা বলতে পারি মাত্র।'"
অধীর চৌধুরী আরও বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে একজন মহিলা হয়ে নারী আন্দোলনকে ভয় পাচ্ছেন। আতঙ্কিত হয়ে পুলিশ ও তৃণমূলের গুন্ডা বাহিনীকে ব্যবহার করছেন। যা কিছু হচ্ছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে হচ্ছে। নির্যাতিতার পরিবারকে ভয় ও প্রলোভন দেখানো হচ্ছে । স্থানীয় এক তৃণমূল বিধায়ক নির্যাতিতার বাড়ি গিয়ে তাঁদের ম্যানেজ করার চেষ্টা করছেন। এদিকে, পুলিশকে বলা হচ্ছে সিবিআইকে কোন সহযোগিতা না করতে। কারণ, সিবিআই তদন্ত করলে অনেক কিছুই বেরিয়ে যাবে। হার্মাদ বাহিনীকে মাঠে নামিয়ে সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করা হচ্ছে ।"