বহরমপুর ও কলকাতা, 30 জানুয়ারি: মহাকুম্ভের মৃত্যুর দায় উত্তরপ্রদেশ সরকারের ৷ এমনটাই দাবি করলেন কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন সাংসদ অধীর চৌধুরী ৷ একইভাবে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষও মহাকুম্ভে স্নানের সময় পদদলিত হয়ে পুণ্যার্থীদের মৃত্যুর জন্য উত্তরপ্রদেশ সরকারের নিন্দা করেছেন ৷
মহাকুম্ভে পুন্যার্থীদের মৃত্যুর দায় উত্তরপ্রদেশ সরকারকে নিতে হবে। দু-একজন পুলিশ অফিসারকে বরখাস্ত করে এই দায় সরকার এড়াতে পারে না। বৃহস্পতিবার বহরমপুরে সাংবাদিক বৈঠক করে এমনটাই অভিযোগ করেন অধীর ৷ উত্তরপ্রদেশ সরকার ও কেন্দ্রের সরকারকে মহাকুম্ভের ঘটনায় কাঠগড়ায় তুলে অধীর চৌধুরী বলেন, "মৃত্যু নিয়ে লুকোচুরি না করে সরকারের সঠিক তথ্য সামনে আনা উচিত।"
এদিন অধীর আরও বলেন, "উত্তরপ্রদেশ সরকার প্রথমে 30 জনের মৃত্যুও বলেনি। যত সময় গড়িয়েছে তত স্বীকার করতে বাধ্য হচ্ছে। এই লুকোচুরি না করে কেন নিজেদের ব্যার্থতা স্বীকার করছে না এটাই আমার কাছে বড় প্রশ্ন। এখন তাদের নিজেদের ব্যার্থতা সরকারের স্বীকার করে নেওয়া উচিত বলেই আমি মনে করি। অনেক তথ্য এখনও জানার বাকি আছে। মৌনি অমাবস্যায় কোটি কোটি মানুষের ভিড় হবে সকলের জানা ছিল। ঘটা করে বলছে 40-50 কোটি পুণ্যার্থীর স্নানের ব্যবস্থা করা হবে। মানুষ পুণ্যস্নানের জন্য ত্রিবেণী সঙ্গমে পাড়ি দিয়েছিলেন। কিন্তু প্রশাসনের গাফিলতিতে এত প্রাণ গেল।"
অধীরের দাবি, উত্তরপ্রদেশ সরকারের প্রথম থেকেই লক্ষ্য ছিল অর্থ উপার্জনের ৷ তিনি বলেন, "আগেই বলেছিল 2 লক্ষ কোটি টাকার মার্কেট তৈরি হয়েছে। ভক্তির পরিবর্তে অর্থ কামাইয়ের উদ্দেশ্য ছিল। তীর্থ যাত্রীদের প্রতি অবহেলা উদাসিনতা হয়েছে। এই দায় উত্তরপ্রদেশ সরকারকে নিতে হবে।"
অন্যদিকে, তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, "কুম্ভ মেলায় পদদলিত হয়ে বেশ কয়েকজন মারা যাওয়ার পর উত্তরপ্রদেশ সরকার পিছিয়ে আসে।
উত্তরপ্রদেশ সরকার তার দায়িত্ব পালনে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে ৷ সরকার ও প্রশাসনের গাফিলতির কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে। উত্তরপ্রদেশ সরকার পুরো বিষয়টি চাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে।"