কলকাতা, 19 জুন: মাংস কিমা করার মেশিন অনলাইনে দেখে প্রথমে পছন্দ হয়েছিল ৷ এরপর নিউ মার্কেট থেকে মাংসের কিমা করার সেই মেশিন কিনে বাংলাদেশের সাংসদ আনোয়ারুল আজিমের দেহ কার্যত কিমা করেছিল সিআইডির হাতে গ্রেফতার হওয়া সিয়াম । সিআইডির জেরায় সে নিজেই এ কথা স্বীকার করে নিয়েছে ৷
এখনও পর্যন্ত সেই মেশিন উদ্ধার হয়েছে কি না, সেই বিষয়ে সিআইডির তরফ থেকে স্পষ্টভাবে কিছুই জানানো হয়নি । এছাড়াও অনলাইনে কোন প্ল্যাটফর্ম থেকে এমন অভিনব যন্ত্র খুঁজে বের করল অভিযুক্ত, সেই বিষয়টিতেও আলোকপাত করার চেষ্টা করছেন সিআইডির গোয়েন্দারা ।
সিআইডির দাবি, জেরায় সিয়াম দাবি করেছে, টমেটো ও মাংস কিমা করার মেশিন সে অনলাইনে দেখে পছন্দ করে ৷ এরপর সেই মেশিন নিউ মার্কেটের একটি দোকান থেকে 2200 টাকায় কিনেছিল সে । সিয়াম গোয়েন্দাদের কাছে একপ্রকার স্বীকার করে নিয়েছে যে, আনোয়ারুল আজিমকে ঠান্ডা মাথায় খুন করার পর তাঁর দেহ মেঝেতে রেখে, মাংসের কিমা করার ওই মেশিন দিয়ে কাটা হয়েছিল দেহটি ।
সিআইডির কাছে সিয়াম স্বীকার করে নিয়েছে যে, প্রথম পর্যায়ে দেহের খণ্ডগুলি একটু বড় থেকে গিয়েছিল । ফলে পুলিশের হাত থেকে বাঁচার জন্য সেই বড় টুকরোগুলি নিউটাউনের সংশ্লিষ্ট ফ্ল্যাটের সেপটিক ট্যাংকে ফেলা হয়েছিল । দেহের বাকি খণ্ডগুলি অত্যন্ত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র করে নিপুণ দক্ষতার সঙ্গে কাটা হয়েছিল । পরে সেগুলি দক্ষিণ 24 পরগনার ভাঙড়ের একটি জলাশয়ে ফেলে দেওয়া হয় । ক্ষুদ্র করে কিমা করা দেহাংশগুলির খোঁজ এখনও পর্যন্ত পাননি সিআইডির গোয়েন্দারা ।
সম্প্রতি চিকিৎসার জন্য কলকাতায় এসেছিলেন বাংলাদেশের আনোয়ারুল আজিম । উত্তর 24 পরগনার বরাহনগর থানা এলাকায় তাঁর এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে রহস্যজনকভাবে তিনি নিখোঁজ হয়ে যান । নিউটাউনের একটি ফ্ল্যাটে তাঁকে খুন করা হয় বলে জানা যায় । এই ঘটনার তদন্ত করছে রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ সিআইডি । পরে এই ঘটনায় বাংলাদেশ পুলিশের জালে এক মহিলা-সহ অপর এক অভিযুক্ত গ্রেফতার হয় । এদিকে, রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের জালে ধরা পড়ে কসাই জিহাদ । তাকে জেরা করে পুলিশ জানতে পারে এই ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত সিয়াম নেপালে আশ্রয় নিয়েছে । পরে নেপাল পুলিশের সাহায্য নিয়ে তাকেও গ্রেফতার করা হয় ।