ETV Bharat / state

বোলপুরে অগ্নিদগ্ধ আব্দুল আলিমের মৃত্যু বর্ধমানের হাসপাতালে - Burnt to death

Burnt to Death: গত বৃহস্পতিবার রাতে বীরভূমের রজতপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল আলিম স্ত্রী-সন্তান সহ ঘরেই ঘুমন্ত অবস্থায় অগ্নিদগ্ধ হন ৷ তাঁর স্ত্রী ও ছেলে দুর্ঘটনা পরপরই মারা গিয়েছে ৷ শনিবার সকালে বর্ধমানের একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হল আলিমের ৷ পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত করছে ৷

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jul 6, 2024, 12:17 PM IST

Burnt to Death
বোলপুরে অগ্নিদগ্ধ আব্দুল আলিমের মৃত্যু বর্ধমানের হাসপাতালে (নিজস্ব চিত্র)

বর্ধমান, 6 জুলাই: মৃত্যু হল বোলপুরে অগ্নিদগ্ধ হয়ে আহত আব্দুল আলিমের । গতকালই তাঁর স্ত্রী ও ছেলের মৃত্যু হয় । শনিবার বর্ধমানের একটা বেসরকারি হাসপাতালে মারা গেলেন আব্দুল আলিম । কিভাবে একই পরিবারের তিনজনের আগুনে পুড়ে মৃত্যু হল, তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল আগেই । তা কাটার আগেই তিনজনই মারা গেলেন ৷

যদিও পরিজনদের দাবি, শত্রুতা করে কেউ বা কারা রাতের অন্ধকারে মশাল জাতীয় কিছুতে আগুন ধরিয়ে আলিমদের বাড়ির জানলা দিয়ে ঘরের ভিতরে ছুঁড়ে দেয় । ফলে ঘুমন্ত অবস্থায় অগ্নিদগ্ধ হয় আব্দুল আলিম, তাঁর স্ত্রী রূপা বিবি (30) ও বছর চারেকের ছেলে আয়ান শেখ । শুক্রবার তাঁদের তিনজনকে বর্ধমান মেডিক্য়াল কলেজ ও হাসপাতালে আনার পরে রূপা ও আয়ানকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয় । আব্দুল আলিমের অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় তাঁকে বর্ধমানের একটা বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় । সেখানে তিনি মারা যান শনিবার ।

বছর আটতিরিশের আলিম বীরভূমের বোলপুর থানার রায়পুর-সুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রজতপুর গ্রামের বাসিন্দা ৷ বৃহস্পতিবার রাতে তিনি স্ত্রী-সন্তান সহ অগ্নিদগ্ধ হয়েছিলেন ৷ আলিমের ভাই শেখ উজির জানান, বৃহস্পতিবার রাতে ঘুমের মধ্যে প্রথমে তিনি মায়ের চিৎকার শোনেন৷ ঘরের বাইরে গিয়ে দেখেন যে তাঁর দাদার ঘরে সব পুড়ে গিয়েছে । প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছিল শর্ট সার্কিট থেকে এই ঘটনা ঘটেছে ৷ কিন্তু ইলেক্ট্রিকের সুইচ বোর্ড থেকে ফ্যান কিংবা এসি সবই ঠিকঠাক ছিল ।

তিনি বলেন, ‘‘উপরের জানলা খোলা ছিল । সেই জানলার পাশে তেলের গন্ধ বের হচ্ছিল । গিয়ে দেখি একটা লাঠির মধ্যে কাপড় জড়িয়ে মশাল জাতীয় কিছু করা হয়েছিল । সেটাও পুড়ে গিয়েছে । তখন সন্দেহ হয় কেউ হয়তো শত্রুতা করে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে ।’’

কিন্তু কার সঙ্গে তাঁর দাদা আব্দুল আলিমের শত্রুতা থাকতে পারে, সেটা নিয়ে সন্দিহান শেখ উজির ৷ কারণ, আলিমের সঙ্গে প্রকাশ্যে কাউকে কখনও ঝামেলায় জড়াতে দেখা যায়নি ৷ তাঁরা পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন ৷ পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে ৷

প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানতে পেরেছে যে আব্দুল আলিম আগে ট্রাক্টর চালাতেন । পরে পে-লোডার কিনে ব্যবসা শুরু করেন । ব্যবসায়িক শত্রুতার জেরে এই ঘটনা কি না, খতিয়ে দেখছে পুলিশ ৷ শেখ উজিররাও মনে করছেন, এই ঘটনার নেপথ্য়ে আলিমের ব্যবসায়িক কোনও গোলমাল থাকতে পারে ৷ এখন দেখার পুলিশি তদন্তে কী তথ্য উঠে আসে !

বর্ধমান, 6 জুলাই: মৃত্যু হল বোলপুরে অগ্নিদগ্ধ হয়ে আহত আব্দুল আলিমের । গতকালই তাঁর স্ত্রী ও ছেলের মৃত্যু হয় । শনিবার বর্ধমানের একটা বেসরকারি হাসপাতালে মারা গেলেন আব্দুল আলিম । কিভাবে একই পরিবারের তিনজনের আগুনে পুড়ে মৃত্যু হল, তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল আগেই । তা কাটার আগেই তিনজনই মারা গেলেন ৷

যদিও পরিজনদের দাবি, শত্রুতা করে কেউ বা কারা রাতের অন্ধকারে মশাল জাতীয় কিছুতে আগুন ধরিয়ে আলিমদের বাড়ির জানলা দিয়ে ঘরের ভিতরে ছুঁড়ে দেয় । ফলে ঘুমন্ত অবস্থায় অগ্নিদগ্ধ হয় আব্দুল আলিম, তাঁর স্ত্রী রূপা বিবি (30) ও বছর চারেকের ছেলে আয়ান শেখ । শুক্রবার তাঁদের তিনজনকে বর্ধমান মেডিক্য়াল কলেজ ও হাসপাতালে আনার পরে রূপা ও আয়ানকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয় । আব্দুল আলিমের অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় তাঁকে বর্ধমানের একটা বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় । সেখানে তিনি মারা যান শনিবার ।

বছর আটতিরিশের আলিম বীরভূমের বোলপুর থানার রায়পুর-সুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রজতপুর গ্রামের বাসিন্দা ৷ বৃহস্পতিবার রাতে তিনি স্ত্রী-সন্তান সহ অগ্নিদগ্ধ হয়েছিলেন ৷ আলিমের ভাই শেখ উজির জানান, বৃহস্পতিবার রাতে ঘুমের মধ্যে প্রথমে তিনি মায়ের চিৎকার শোনেন৷ ঘরের বাইরে গিয়ে দেখেন যে তাঁর দাদার ঘরে সব পুড়ে গিয়েছে । প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছিল শর্ট সার্কিট থেকে এই ঘটনা ঘটেছে ৷ কিন্তু ইলেক্ট্রিকের সুইচ বোর্ড থেকে ফ্যান কিংবা এসি সবই ঠিকঠাক ছিল ।

তিনি বলেন, ‘‘উপরের জানলা খোলা ছিল । সেই জানলার পাশে তেলের গন্ধ বের হচ্ছিল । গিয়ে দেখি একটা লাঠির মধ্যে কাপড় জড়িয়ে মশাল জাতীয় কিছু করা হয়েছিল । সেটাও পুড়ে গিয়েছে । তখন সন্দেহ হয় কেউ হয়তো শত্রুতা করে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে ।’’

কিন্তু কার সঙ্গে তাঁর দাদা আব্দুল আলিমের শত্রুতা থাকতে পারে, সেটা নিয়ে সন্দিহান শেখ উজির ৷ কারণ, আলিমের সঙ্গে প্রকাশ্যে কাউকে কখনও ঝামেলায় জড়াতে দেখা যায়নি ৷ তাঁরা পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন ৷ পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে ৷

প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানতে পেরেছে যে আব্দুল আলিম আগে ট্রাক্টর চালাতেন । পরে পে-লোডার কিনে ব্যবসা শুরু করেন । ব্যবসায়িক শত্রুতার জেরে এই ঘটনা কি না, খতিয়ে দেখছে পুলিশ ৷ শেখ উজিররাও মনে করছেন, এই ঘটনার নেপথ্য়ে আলিমের ব্যবসায়িক কোনও গোলমাল থাকতে পারে ৷ এখন দেখার পুলিশি তদন্তে কী তথ্য উঠে আসে !

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.