ETV Bharat / state

কেমন ছিল বুদ্ধবাবুর শেষ দিন ? - BUDDHADEB BHATTACHARJEE PASSES AWAY - BUDDHADEB BHATTACHARJEE PASSES AWAY

Last Day of Buddhadeb Bhattacharjee: প্রয়াত বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ৷ রাজ্য-রাজনীতিতে একটি যুগের অবসান ৷ বিতর্ক, শ্রদ্ধা আর রাজ্যে শিল্পবিকাশে দেখা স্বপ্ন নিয়েই প্রয়াত হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন প্রশাসনিক প্রধান ৷ কেমন ছিল তাঁর শেষ দিন ? জানালেন তাঁর পরিচারক ও চালক ৷

Last Day of Buddhadeb Bhattacharjee
বিদায় বুদ্ধ ! (ইটিভি ভারত)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Aug 8, 2024, 7:49 PM IST

কলকাতা, 8 অগস্ট: একবছর আগে আশা জাগিয়ে হাসপাতাল থেকে ফিরেছিলেন বাড়িতে ৷ 59 পাম অ্যাভিনিউতে ফিরলেও ক্রমশ শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছিল ৷ বৃহস্পতিবার নিজের বাড়িতে প্রয়াত হয়েছেন বাম আমলের শেষ মুখ্যমন্ত্রী ৷ দীর্ঘদিন প্রত্যক্ষ রাজনীতি থেকে কয়েক আলোকবর্ষ দূরে থাকলেও বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের মৃত্য়ু রাজ্যের রাজনীতিতে মহীরূহ পতন ৷

কেমন ছিল বুদ্ধবাবু’র শেষদিন ?

গত কয়েকবছরে ধীরে ধীরে গ্রাস করেছিল বার্ধক্যজনিত সমস্যা ৷ শেষ পর্যন্ত বৃহস্পতিবার সকাল 8.20 নাগাদ প্রয়াত হন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ৷ শেষ চার বছর ধরে রাজ্যের প্রাক্তন প্রশাসনিক প্রধানের দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন হরেন অধিকারী ৷ মধ্যমগ্রামের এক সংস্থার উপর বর্তেছিল তাঁর দেখাশোনা করার দায়িত্ব ৷ হরেন অধিকারী সেই সংস্থার কর্মী ।

তাঁর কথা অনুযায়ী, গতকাল রাত পর্যন্ত স্বাভাবিক ছিলেন বুদ্ধদেব । কিন্তু সকালে শরীর খারাপ হয় ৷ ঘুম থেকে উঠেই চা-বিস্কুট খেয়েছিলেন ৷ তারপর ওষুধ খেয়ে প্রাতঃরাশ সারেন ৷ শুরু হয় শ্বাসকষ্ট । তখনই বাইপ্যাপ দেওয়া হয় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে । কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হয়নি ৷ হরেন জানান, গতকাল রাতে ভাত, ডিম এবং মিষ্টি দই খেয়েছিলেন ৷ মিষ্টি দই ছিল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর অন্যতম প্রিয় খাবার ৷ অসুস্থ থাকলেও নিয়মিত খবরের কাগজ পড়তেন ।

বুদ্ধদেবের মৃত্যুতে মূহ্যমান মহম্মদ উসমান ৷ 32 বছর ধরে সাদা অ্যাম্বাসাডরের স্টিয়ারিং ছিল তাঁর হাতে ৷ তিনি না-থাকলে নাকি গাড়িতেই উঠতেন না বুদ্ধবাবু ৷ অসুস্থ সেই উসমানও ৷ ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত ৷ এদিন অসুস্থতার মধ্যেই পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতে আসেন উসমান ৷ বুদ্ধবাবুর একদা ‘সারথী’ জানান, কোনওদিন আমায় নাম ধরে ডাকেননি । সবসময় 'বাবু' বলতেন ৷ উসমানের ছেলে মহম্মদ জামসেদ আলি বলেন, "উনি আমাদের সবসময় বলতেন, আমি যে সাদা কাপড় পরি, সেটাই মেনে চলার চেষ্টা করবে ৷ তোমার ছেলে-মেয়েদের এভাবেই চলতে বলবে। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের গাড়ির চালকের ছেলে কোনও বাজে কাজ করেছে, এটা যেন শুনতে না-হয়। আমরা সেই কথাই মেনে চলতাম ।"

বিতর্ক, শ্রদ্ধা, রাজ্যে শিল্পবিকাশে দেখা স্বপ্ন নিয়েই প্রয়াত হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন প্রশাসনিক প্রধান ৷ দীর্ঘ 11 বছর রাজ্যের ভার কাঁধে বওয়া বুদ্ধদেবের প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমেছে রাজ্য-রাজনীতিতে ৷ পূর্বসূরির মতো বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যও মরণোত্তর দেহদান করে গিয়েছেন ৷ আগামিকাল তাঁকে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গান স্যালুট দেওয়া হবে ৷

কলকাতা, 8 অগস্ট: একবছর আগে আশা জাগিয়ে হাসপাতাল থেকে ফিরেছিলেন বাড়িতে ৷ 59 পাম অ্যাভিনিউতে ফিরলেও ক্রমশ শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছিল ৷ বৃহস্পতিবার নিজের বাড়িতে প্রয়াত হয়েছেন বাম আমলের শেষ মুখ্যমন্ত্রী ৷ দীর্ঘদিন প্রত্যক্ষ রাজনীতি থেকে কয়েক আলোকবর্ষ দূরে থাকলেও বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের মৃত্য়ু রাজ্যের রাজনীতিতে মহীরূহ পতন ৷

কেমন ছিল বুদ্ধবাবু’র শেষদিন ?

গত কয়েকবছরে ধীরে ধীরে গ্রাস করেছিল বার্ধক্যজনিত সমস্যা ৷ শেষ পর্যন্ত বৃহস্পতিবার সকাল 8.20 নাগাদ প্রয়াত হন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ৷ শেষ চার বছর ধরে রাজ্যের প্রাক্তন প্রশাসনিক প্রধানের দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন হরেন অধিকারী ৷ মধ্যমগ্রামের এক সংস্থার উপর বর্তেছিল তাঁর দেখাশোনা করার দায়িত্ব ৷ হরেন অধিকারী সেই সংস্থার কর্মী ।

তাঁর কথা অনুযায়ী, গতকাল রাত পর্যন্ত স্বাভাবিক ছিলেন বুদ্ধদেব । কিন্তু সকালে শরীর খারাপ হয় ৷ ঘুম থেকে উঠেই চা-বিস্কুট খেয়েছিলেন ৷ তারপর ওষুধ খেয়ে প্রাতঃরাশ সারেন ৷ শুরু হয় শ্বাসকষ্ট । তখনই বাইপ্যাপ দেওয়া হয় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে । কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হয়নি ৷ হরেন জানান, গতকাল রাতে ভাত, ডিম এবং মিষ্টি দই খেয়েছিলেন ৷ মিষ্টি দই ছিল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর অন্যতম প্রিয় খাবার ৷ অসুস্থ থাকলেও নিয়মিত খবরের কাগজ পড়তেন ।

বুদ্ধদেবের মৃত্যুতে মূহ্যমান মহম্মদ উসমান ৷ 32 বছর ধরে সাদা অ্যাম্বাসাডরের স্টিয়ারিং ছিল তাঁর হাতে ৷ তিনি না-থাকলে নাকি গাড়িতেই উঠতেন না বুদ্ধবাবু ৷ অসুস্থ সেই উসমানও ৷ ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত ৷ এদিন অসুস্থতার মধ্যেই পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতে আসেন উসমান ৷ বুদ্ধবাবুর একদা ‘সারথী’ জানান, কোনওদিন আমায় নাম ধরে ডাকেননি । সবসময় 'বাবু' বলতেন ৷ উসমানের ছেলে মহম্মদ জামসেদ আলি বলেন, "উনি আমাদের সবসময় বলতেন, আমি যে সাদা কাপড় পরি, সেটাই মেনে চলার চেষ্টা করবে ৷ তোমার ছেলে-মেয়েদের এভাবেই চলতে বলবে। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের গাড়ির চালকের ছেলে কোনও বাজে কাজ করেছে, এটা যেন শুনতে না-হয়। আমরা সেই কথাই মেনে চলতাম ।"

বিতর্ক, শ্রদ্ধা, রাজ্যে শিল্পবিকাশে দেখা স্বপ্ন নিয়েই প্রয়াত হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন প্রশাসনিক প্রধান ৷ দীর্ঘ 11 বছর রাজ্যের ভার কাঁধে বওয়া বুদ্ধদেবের প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমেছে রাজ্য-রাজনীতিতে ৷ পূর্বসূরির মতো বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যও মরণোত্তর দেহদান করে গিয়েছেন ৷ আগামিকাল তাঁকে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গান স্যালুট দেওয়া হবে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.