চাঁপদানি, 19 ফেব্রুয়ারি: দশম শ্রেণির দুই ছাত্রের মধ্যে মারপিটে মৃত্যু হল এক ছাত্রের ৷ বুধবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির চাঁপদানি একটি হিন্দি মাধ্যম স্কুলে ৷ ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছেছে ৷ ক্লাসের মাঝে দুপুর 12টা 40 মিনিট নাগাদ দুই ছাত্রের মধ্যে মারপিট শুরু হয় ৷ তাতেই মৃত্যু হয় একজনের ৷
ঘটনার খবর পেয়ে স্কুলের শিক্ষকরা আহত ছাত্রকে ভদ্রেশ্বর ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যায় ৷ সেখানেই ওই ছাত্রকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা ৷ মৃত ওই ছাত্রের বাড়ি চাঁপদানি পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডে ৷ সে চাঁপদানি আর্য বিদ্যাপীঠ স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র ৷
স্কুলের প্রধান শিক্ষক বিকে ঝা জানান, তিনি ঘটনার সময় স্কুলে ছিলেন না ৷ তিনি বলেন, "দ্বিতীয় ক্লাস শুরু হওয়ার পর ছাত্ররা ক্লাসের বাইরে বেরয় ৷ ওদের নাম জানি না ৷ নিজেদের মধ্যে মারপিট করে ওরা ৷ হয়তো ভুল জায়গায় চড়-থাপ্পড় মেরে দিয়েছে ৷ এরপর ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করে ৷ দু'জনেই দশম শ্রেণি ছাত্র অর্থাৎ সহপাঠী ৷ একজন শিক্ষক ক্লাস থেকে বেরিয়েছেন ৷ আরেকজনের ক্লাসে ঢুকতে এক-দু'মিনিট দেরি হয়েছে ৷ তার মধ্যে এই অবস্থা ৷"
পুলিশ সূত্রে খবর, দুই ছাত্রের মধ্যে গন্ডগোলের জেরে একজনের মৃত্যু হয়েছে ৷ এই ঘটনায় একজনকে আটক করেছে ভদ্রেশ্বর থানার পুলিশ ৷ ঘটনার পরই উত্তেজনা ছড়ায় স্কুল চত্বরে ৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠি উঁচিয়ে ছত্রভঙ্গ করে এলাকাবাসীকে ৷
এই ঘটনায় মৃত ছাত্রের বাবা স্কুলকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন ৷ তিনি অন্য ছাত্রের কড়া শাস্তির দাবি তুলেছেন ৷ তিনি বলেন, "চাঁপদানি আর্য বিদ্যাপীঠের অবস্থা খুবই খারাপ ৷ শিক্ষকদের সামনে কী করে ছাত্ররা মারপিট করে ? যে ছেলেটি আমার ছেলেকে মেরেছে, আমরা তার মৃত্যুদণ্ড চাই ৷"
এলাকার প্রাক্তন কাউন্সিলর বিক্রম গুপ্তা আহত ছাত্রকে টোটো করে ভদ্রেশ্বরের ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যান ৷ তিনি বলেন, "তখন 12টা 40 মিনিট ৷ দেখলাম শিক্ষকরা আমাকে অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করে দিতে বলেন ৷ এক পড়ুয়ার শারীরিক অবস্থা সঙ্কটজনক বলে জানান তাঁরা ৷ অ্যাম্বুল্যান্স কলকাতা গিয়েছিল ৷ তাই তাড়াতাড়ি টোটো করে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই ৷ শিক্ষকরাও আমার সঙ্গে ছিলেন ৷ ইএসআই হাসপাতালের চিকিৎসকরা ইসিজি পরীক্ষা করেন ৷ কিন্তু তাকে বাঁচানো যায়নি ৷"