ETV Bharat / state

ভারতীয় ন্যায় সংহিতায় সংশোধন চেয়ে হাইকোর্টে মামলা, তুলনায় ব্রিটিশ আইনও - Bharatiya Nyaya Sanhita

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Aug 27, 2024, 7:51 PM IST

Bharatiya Nyaya Sanhita: ভারতীয় ন্যায় সংহিতায় সংশোধন চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হল মামলা ৷ পুজোর ছুটির পর মামলার শুনানি হবে বলে জানাল আদালত ৷

Calcutta High Court
প্রতীকী ছবি (ইটিভি ভারত)

কলকাতা, 27 অগস্ট: কেন্দ্র সরকার ব্রিটিশ আইনের পরিবর্তে একেবারে ভারতীয় আইন আনার কথা বলেছিল । কিন্তু আসলে নতুন যে ফৌজদারি আইন এসেছে সেই আইন বহু ক্ষেত্রে ব্রিটিশ আইনকেও লজ্জা দেবে । এই অভিযোগ তুলে ন্যায় সংহিতার নতুন তিন আইনকে চ্যালেঞ্জ করে মঙ্গলবার মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে ।

সেখানে ধর্ষণ থেকে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের অধিকার-সহ অন্তত 30টি উদাহরণ তুলে দেওয়া হয়েছে মামলায় । এদিন বিচারপতি শম্পা সরকারের এজলাসে মামলাটির দ্রুত শুনানির আবেদন করেন বর্ষীয়ান আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য । আদালত এই মামলায় কেন্দ্রের অ্যাটর্নি জেনারেলকে নথি পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে । কেন্দ্রের বক্তব্য, এই ইস্যুতে দেশের বিভিন্ন হাইকোর্টে বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের হয়েছে । আমরা সব মামলা একসঙ্গে যুক্ত করে যাতে শুনানি হয় সেই চেষ্টা করছি । কলকাতা হাইকোর্ট পুজোর ছুটির পরে এই মামলার শুনানি করবে ।

জুলাই মাস থেকে গোটা দেশে কার্যকর করা হয়েছে নতুন সংশোধিত তিন কেন্দ্রীয় আইন । 1860 সালে তৈরি 'ইন্ডিয়ান পেনাল কোড' (ভারতীয় দণ্ডবিধি)-এর পরিবর্তে 'ভারতীয় ন্যায় সংহিতা', 1898 সালের 'ক্রিমিনাল প্রসিডিওর অ্যাক্ট' (ফৌজদারি বিধি)-এর পরিবর্তে 'ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা' এবং 1872 সালের 'ইন্ডিয়ান এভিডেন্স অ্যাক্ট' (ভারতীয় সাক্ষ্য আইন)-এর বদলে 'ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়ম' কার্যকর হয়েছে ।

এই আইন নিয়ে আইনজীবীদের কেউ কেউ বলছেন, যে আইনের সংশোধন করা হয়েছে তা ব্রিটিশ সরকারের তৈরি করা আইন । ব্রিটিশ সরকার নিজের সুবিধার জন্য এই আইন প্রণয়ন করেছিল । এখন অপরাধের ধরন পালটে গিয়েছে । পাশাপাশি, বিচারের যে দীর্ঘসূত্রিতা সেটা কমবে । মানুষ দ্রুত বিচার পাবে বলে মনে হয় । ফলে এই আইন সংশোধন সাধুবাদযোগ্য । আবার কোন কোন আইনজীবীর ধারনা এই আইন সংশোধনের ফলে পুলিশের হাতে প্রভূত ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে যার অপব্যবহার হতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে ।

কলকাতা, 27 অগস্ট: কেন্দ্র সরকার ব্রিটিশ আইনের পরিবর্তে একেবারে ভারতীয় আইন আনার কথা বলেছিল । কিন্তু আসলে নতুন যে ফৌজদারি আইন এসেছে সেই আইন বহু ক্ষেত্রে ব্রিটিশ আইনকেও লজ্জা দেবে । এই অভিযোগ তুলে ন্যায় সংহিতার নতুন তিন আইনকে চ্যালেঞ্জ করে মঙ্গলবার মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে ।

সেখানে ধর্ষণ থেকে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের অধিকার-সহ অন্তত 30টি উদাহরণ তুলে দেওয়া হয়েছে মামলায় । এদিন বিচারপতি শম্পা সরকারের এজলাসে মামলাটির দ্রুত শুনানির আবেদন করেন বর্ষীয়ান আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য । আদালত এই মামলায় কেন্দ্রের অ্যাটর্নি জেনারেলকে নথি পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে । কেন্দ্রের বক্তব্য, এই ইস্যুতে দেশের বিভিন্ন হাইকোর্টে বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের হয়েছে । আমরা সব মামলা একসঙ্গে যুক্ত করে যাতে শুনানি হয় সেই চেষ্টা করছি । কলকাতা হাইকোর্ট পুজোর ছুটির পরে এই মামলার শুনানি করবে ।

জুলাই মাস থেকে গোটা দেশে কার্যকর করা হয়েছে নতুন সংশোধিত তিন কেন্দ্রীয় আইন । 1860 সালে তৈরি 'ইন্ডিয়ান পেনাল কোড' (ভারতীয় দণ্ডবিধি)-এর পরিবর্তে 'ভারতীয় ন্যায় সংহিতা', 1898 সালের 'ক্রিমিনাল প্রসিডিওর অ্যাক্ট' (ফৌজদারি বিধি)-এর পরিবর্তে 'ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা' এবং 1872 সালের 'ইন্ডিয়ান এভিডেন্স অ্যাক্ট' (ভারতীয় সাক্ষ্য আইন)-এর বদলে 'ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়ম' কার্যকর হয়েছে ।

এই আইন নিয়ে আইনজীবীদের কেউ কেউ বলছেন, যে আইনের সংশোধন করা হয়েছে তা ব্রিটিশ সরকারের তৈরি করা আইন । ব্রিটিশ সরকার নিজের সুবিধার জন্য এই আইন প্রণয়ন করেছিল । এখন অপরাধের ধরন পালটে গিয়েছে । পাশাপাশি, বিচারের যে দীর্ঘসূত্রিতা সেটা কমবে । মানুষ দ্রুত বিচার পাবে বলে মনে হয় । ফলে এই আইন সংশোধন সাধুবাদযোগ্য । আবার কোন কোন আইনজীবীর ধারনা এই আইন সংশোধনের ফলে পুলিশের হাতে প্রভূত ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে যার অপব্যবহার হতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.