শান্তিপুর, 19 সেপ্টেম্বর: মা এখানে কুলোপতি নামে পরিচিত, এখনও নিষ্ঠার সঙ্গে 600 বছর ধরে পূজিত হচ্ছে রায় বাড়ির দুর্গাপুজো ৷ শান্তিপুরের রায় বাড়িতে দুর্গা একা পূজিত হন। অসুরের হাতে খড়গের বদলে থাকে মাটির তলোয়ার। পুজোর আচারও একটু অন্য ধাঁচের। পুরনো নকশা কাটা দোতলা বাড়ি। এক অংশে কিছুটা আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে। সামনে ফাঁকা চত্বর। পাশেই দেবীর দালান ঘর।
নদিয়ার শান্তিপুর স্টেশন থেকে বাইক, নয়তো গাড়ি করে মিনিট কুড়ির পথ। শান্তিপুরের রায় বাড়ি। জমিদার পরিবার। তাঁদের দুর্গাপুজো প্রায় 600 বছরের বেশি পুরনো। মা দুর্গা এখানে 'কুলোপতি' দেবী নামে পরিচিত। দেবীর রূপ সাধারণই। দশ হাতে অসুর বধ করছেন তিনি। অসুরের চেহারায় রয়েছে বদল। হাতে খড়গ-র পরিবর্তে রয়েছে মাটির তলোয়ার।
শহর বা শহর ছাড়িয়ে বিভিন্ন বনেদি বাড়ির পুজোতে দেবী তাঁর সন্তানদের সঙ্গেই পূজিত হন। কিন্তু, রায় বাড়িতে তাতেও বদল। শান্তিপুরের রায়বাড়ির পুজোয় মা দুর্গা একা একাই পূজিত হন। নেই লক্ষী-সরস্বতী, গণেশ-কার্তিককে। রায় বাড়িতে মা একা। একদম শুরুর দিকে 'কুলো'কে দেবী হিসেবে পুজো করা হত। তার কিছু সময় পর মূর্তি তৈরি শুরু হয়। তা-ও শুধুই দুর্গার। কথিত আছে, এখানে পুজো শুরু হয় মায়ের 'স্বপ্নাদেশ' পাওয়ার পর। জানা যায়, স্বপ্নাদেশে পাওয়া এই পুজো। মা দুর্গাকে কুলোয় এঁকে পুজো করেছিলেন গৃহকর্তী। এরপর থেকেই শান্তিপুরের রায় বাড়ির মা দুর্গার নামকরণ হয় 'কুলো' দেবী।
দশমীর দিন দেবীকে বিদায় জানানোর সময় পায়েস মুখেই বিদায় জানানো হয়। এবারেও সেজে উঠছে রায় বাড়ি। দূর-দূরান্তে বাস করা পরিবারের লোকজন তাঁদের বাড়িতে ফিরতে তাকিয়ে রয়েছেন দুর্গাপুজোর দিকে।