কোচবিহার, 27 অগস্ট: আরজি কর হাসপাতালের নৃশংস ঘটনায় উত্তাল সমগ্র বাংলা ৷ এই আবহে দুই নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল কোচবিহারে ৷ একজনকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী ব্যক্তির বিরুদ্ধে, অন্য নাবালিকাকে ধর্ষণ করেছে তার বাবা ৷ খবর প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায় ৷
প্রথম ঘটনায় স্থানীয়দের দাবি, প্রতিবেশী এক ব্যক্তি 9 বছর বয়সী ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করেছেন । এরপরই অভিযুক্তের গ্রেফতার ও তাঁর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে কোতোয়ালি থানার সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা ৷ অবশেষে পুলিশের তরফে বিচারের আশ্বাস পাওয়ায় দীর্ঘক্ষণ পর সেই বিক্ষোভ তুলে নেন এলাকাবাসীরা ৷
পুলিশ সূত্রে খবর, পরে রাতে কোতোয়ালি থানার পুলিশ ওই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে । ঘটনা প্রসঙ্গে কোচবিহারের পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য বলেন, "অভিযুক্ত খয়বর মিঞাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । ধৃতের বিরুদ্ধে পকসো ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে ।" এই ঘটনার প্রতিবাদে রাতেই অভিযুক্তের বাড়ি ভাঙচুর করে উত্তেজিত জনতা । খবর পেয়ে মঙ্গলবার সকালে কোতয়ালি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন ।
এদিকে, দিনহাটা থানার অন্তর্গত ভিলেজ -1 গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় নাবালিকা মেয়েকে লাগাতার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে বাবার বিরুদ্ধে । ঘটনা জানাজানি হতেই প্রতিবেশীরা অভিযুক্ত বাবাকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন । অভিযুক্তকে সোমবার আদালতে তোলা হলে চারদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক । সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ । তিনি লেখেন, "এ ধরনের ঘটনা কখনও মেনে নেওয়া যায়না ।"
আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক পড়ুয়াকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার তদন্তভার বর্তেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-এর উপর ৷ ঘটনার সুবিচারের দাবিতে প্রতিবাদে অনড় রাজ্যের সাধারণ মানুষ ৷ মঙ্গলবার ঘটনার প্রতিবাদে এবং মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে নবান্ন অভিযানের ডাক দেন পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ ৷ সেই বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে রীতিমতো রণক্ষেত্রে পরিণত হয় কলকাতা ৷ এই আবহে কোচবিহার জেলায় একের পর এক ধর্ষণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ।