বহরমপুর, 1 জানুয়ারি: জঙ্গি সন্দেহে ধৃত দু'জনের 14 দিনের পুলিশ হেফাজত ৷ বাংলাদেশি জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লা বাংলা টিমের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে নওদা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছিল ৷ মঙ্গলবার মুর্শিদাবাদের বহরমপুর সিজেএম আদালতে তোলা হয় ধৃতদের । রাজ্য পুলিশের এসটিএফের পক্ষ থেকে ধৃতদের 14 দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানানো হয়েছিল । বিচারক দিলওয়ার হোসেন তা মঞ্জুর করেছেন ।
সরকারি আইনজীবী বিশ্বপতি সরকার বলেন, "ধৃতদের নাম সাজিবুল ইসলাম ও মুস্তাকিম মণ্ডল । 30 তারিখ রাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছিল ৷ ধৃতদের এ দিন আদালতে পেশ করা হয় ৷ তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা বাংলাদেশি জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ৷ বিচারক ধৃতদের 14 দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছেন ৷"
ওয়াকিবহাল সূত্রে খবর, এতে ধৃতদের সঙ্গে জঙ্গি-যোগ থাকার সন্দেহ আরও মাত্রা পেল । বাংলাদেশে ইউনুসের সরকার ক্ষমতায় আসতেই সীমান্তের পশ্চিমপারে জঙ্গিদের স্লিপার সেলের একের পর এক সন্ধান মিলেছে । এবার এপারে জেএমবি-র থেকেও আনসারুল্লা বাংলা টিমের দাপট অনেক বেশি বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে ।
দিন কয়েক আগে অসম পুলিশ হঠাৎ হানা দেয় হরিহরপাড়ায় । সেখান থেকে গ্রেফতার করা হয় আব্বাস শেখ ও মিনারুল শেখকে । আব্বাস শেখ স্থানীয় মসজিদের ইমাম ছিলেন । মিনারুল এলাকায় একটি খাদিজিয়া মাদ্রাসা চালাতেন । দু'জনেই এবিটি জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত । তাদের জেরা করে অসম পুলিশ ও রাজ্য পুলিশের এসটিএফ রবিবার রাত তিনটে নাগাদ নওদা থানার দুর্লভপুর থেকে সাজিবুল ইসলামকে ও পরে ভেলো গ্রাম থেকে মুস্তাকিম মণ্ডলকে জঙ্গিযোগ সন্দেহে আটক করে ।
ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের পর দু'জনকে সোমবার গ্রেফতার করা হয় । তাদের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে মঙ্গলবার আদালতে তোলা হয় । দুজনকেই 14 দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়েছে । সাজিবুল ইসলাম ও মুস্তাকিম মণ্ডল কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত ছিল । সাধারণ দুই যুবকের সঙ্গে বাংলাদেশি জঙ্গি যোগ রয়েছে শুনে এলাকার মানুষ হতবাক ।
পুলিশ সূত্রে খবর, মুর্শিদাবাদ জেলায় একাধিক স্লিপার সেল রয়েছে । দীর্ঘদিন ধরে স্লিপার সেল থেকে এবিটির হয়ে কাজ করছিল আব্বাস, মিনারুল, সাজিবুল, মুস্তাকিরা । সাজিবুল কেরল থেকে ধৃত শাদ রবি ওরফে সাব শেখের পিসতুতো ভাই । আনসারুল্লা বাংলা টিমের প্রধান জসিমুদ্দিন রহমাণির অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ । সাব শেখ বহুবার নওদায় তার আত্মীয়ের বাড়িতে এসেছে বলে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন । জেলায় বাংলাদেশি জঙ্গিদের একাধিক ডেরা থাকলেও কেন জেলা পুলিশ কিছুই জানতে পারল না, এ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ।