গোঘাট, 8 জুন: ভোট পরবর্তী অশান্তির ঘটনায় উত্তেজনা হুগলির গোঘাটে। তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। বিজেপি কর্মীদের বেধড়ক মারধরের পাশাপাশি ইট দিয়ে হামলা চালানোর অভিযোগ। পালটা তৃণমূলের অভিযোগ, তাদেরও বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। এই ঘটনায় উভয়পক্ষকে সামলাতে গিয়ে আক্রান্ত খোদ পুলিশকর্মীও। ঘটনায় আহত এক পুলিশ কর্মী-সহ 4 জনকে গোঘাটে কামারপুকুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভরতি করা হয় ৷ ঘটনায় 10 জনকে আটক করা হয়েছে ৷
জানা গিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যা 8টা নাগাদ গোঘাটের কুমারগঞ্জ বাজারে গিয়েছিলেন স্থানীয় মণ্ডল সভাপতি বিজয় রায় ও তাঁর ভাই। সঙ্গে ছিলেন মণ্ডল সভাপতির স্ত্রী ঝুমা রায় ও মেয়ে ৷ সেই সময়েই স্ত্রী ঝুমা রায় ও তাঁর মেয়ে ব্যাঙ্কে টাকা তুলতে যান। হঠাৎ স্বামী বিজয় রায় ও তার ভাইয়ের চিৎকারের আওয়াজ শুনতে ঝুমাদেবী ৷ দ্রুত ফিরে এসে দেখেন বিজয় ও তাঁর ভাইয়ের উপর কয়েকজন দুষ্কৃতী চড়াও হয়েছে ৷
অভিযোগ, স্বামী ও দেওরকে দুষ্কৃতীদের হাত থেকে বাঁচাতে গেলে ঝুমা রায়কে মারধর করে দুষ্কৃতীরা ৷ আহত বিজেপির মণ্ডল সভাপতি বিজয় রায় বলেন, "তাঁর পেটে ও মাথায় আঘাত করে 7-8 দুষ্কৃতী সদস্যের একটি দল । সকলেই তৃণমূল কর্মী ৷"
ঘটনা প্রসঙ্গে আহতের স্ত্রী ঝুমা রায়ের অভিযোগ, কয়েকদিন আগে তাঁর স্বামীকে তৃণমূলের কিছু কর্মী হুমকি দেয় ৷ তাদের দাবি ছিল বিজেপির পতাকা ও ফ্লেক্স খুলে নিতে হবে। তাদের সেই কথা না-শোনায় ক্রমাগত হুমকি আসতে থাকে বলেও অভিযোগ বিজেপি মণ্ডল সভাপতির স্ত্রী'র ৷ এরপরই শুক্রবার তাঁর স্বামী ও দেওরকে মারধর করা হয়। বিজেপি করার জন্যই তাঁর স্বামী ও দেওরকে লাঞ্ছিত হতে হয়েছে বলে মনে করেন ঝুমা রায় ৷ তবে এই বিষয়ে তৃণমূলের আরামবাগ সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান স্বপন নন্দী বলেন, "আমার বিষয়টি জানা নেই। পুরো বিষয় দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।"