নয়াদিল্লি, 14 অগস্ট: ভিনেশ ফোগতের আর্জি খারিজ করে দিল কোর্ট অফ আরবিট্রেশন ফর স্পোর্টস ৷ ডিসকোয়ালিফিকেশনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সিএএসে আবেদন জানিয়েছিলেন ভিনেশ ফোগত ও তাঁর টিম ৷ কুস্তিগীরের সেই আর্জিই নাকচ করে দিল সিএএস ৷ ফলে প্যারিস অলিম্পিক্স থেকে খালি হাতেই দেশে ফিরলেন ‘দঙ্গল গার্ল’ ৷
দেশের প্রথম মহিলা কুস্তিগীর হিসেবে অলিম্পিক্সের ফাইনালে পৌঁছে ইতিহাস গড়েছিলেন ৷ 140 কোটি দেশবাসী চলতি অলিম্পিক্সে প্রথম সোনার প্রত্যাশা করেছিল তাঁরই কুস্তির প্যাঁচে ৷ তা না-হওয়ায় ভিনেশের রুপোর আশাতেই বুক বেঁধেছিল পদকপ্রত্যাশীরা ৷ যদিও কোর্ট অফ আরবিট্রেশনের রায় জানিয়ে দিল, প্যারিসে ষষ্ঠতেই থামল ভারতের মেডেল সংখ্যা ৷
কী কারণে অযোগ্য হয়েছিলেন ভিনেশ ?
ওজন বেশি থাকার কারণে সোনার পদকের ম্যাচের আগে 'অযোগ্য' ঘোষিত হয়েছিলেন ভিনেশ ৷ মহিলাদের 50 কেজি ফ্রিস্টাইল ক্যাটেগরিতে নেমেছিলেন তিনি ৷ ফোগতের ওজন 50 কেজির সামান্য থাকায় তাঁকে 'বাতিল' ঘোষণা করা হয় ৷ বিভিন্ন রিপোর্টে বলা হয়েছিল, ভিনেশের ওজন কমিয়ে আনার জন্য আরও কিছু সময় চাওয়া হয়েছিল ৷ কিন্তু অফিসিয়ালরা সে অনুরোধে কর্ণপাত করেননি ৷ মাত্র 100 গ্রাম ওজন বেশি থাকায় তাঁকে অযোগ্য বলে ঘোষণা করে দেওয়া হয় ৷
প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণ করা সত্ত্বেও ভিনেশের ওজন কমানো যায়নি ৷ ভিনেশের ডিসকোয়ালিফিকেশন প্রসঙ্গে জানিয়েছিলেন ভারতীয় দলের চিফ মেডিক্য়াল অফিসার দিনশ পারদিওয়ালা ৷
কোর্টে কী আর্জি জানিয়েছিলেন ভিনেশ ?
শেষ চেষ্টা হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ভিনেশ ফোগত ৷ আর্জি জানিয়েছিলেন, তাঁকে অযোগ্য ঘোষণা না-করে যুগ্মভাবে রুপো দেওয়া হোক ৷ সেই আর্জিই এদিন বাতিল করে দিল কোর্ট অফ আরবিট্রেশন ফর স্পোর্টস ৷