কলকাতা, 18 ফেব্রুয়ারি: "বাংলার ক্রিকেটে মনোজ তিওয়ারির নাম সবার উপরে লেখা থাকবে।" এভাবেই বাংলার ক্রিকেটে মনোজের অবদানকে বর্ণনা করলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। রবিবার বিহারকে হারিয়ে রঞ্জি অভিযান শেষ করেছে বাংলা। এদিনই ক্রিকেট জীবনে ইতি টানলেন অধিনায়ক মনোজ। থেমে গেল কুড়ি বছরের ক্রিকেট যাত্রা। দেশ ও রাজ্যের হয়ে অসংখ্য ম্যাচ খেলেছেন। বাংলার হয়ে প্রথম শ্রেণিতে দশ হাজারেরও বেশি রান করেছেন।
রঞ্জি ট্রফি ছাড়া দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের প্রায় সব ট্রফিই আছে তাঁর ক্যাবিনেটে। রবি-সন্ধ্যায় সিএবি'র তরফে মনোজ তিওয়ারির জন্য এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় ৷ আর তাতে বসল চাঁদের হাট। হাজির ছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, ঝুলন গোস্বামী, উৎপল চট্টোপাধ্যায়, আইবি রায়, বরুণ বর্মনের মতো প্রাক্তনরা। এছাড়াও ছিলেন বিধায়ক তাপস রায়, প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার এবং সিএবির প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট প্রসূন মুখোপাধ্যায়-সহ অন্যরা। ছেলের ক্রিকেট অবসরের বিদায় বেলায় মনোজের মা এবং স্ত্রী সুস্মিতাও ছিলেন। আসন ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে মনোজকে অভিবাদন জানান উপস্থিত সকলে।
সিএবির পক্ষ থেকে সোনার ব্যাট তুলে দিয়ে সম্মান দেওয়া হল বিদায়ী অধিনায়ককে। বাংলার ক্রিকেটে মনোজের অবদান নিয়ে বলতে গিয়ে সৌরভ বলেন, "যতদিন বাংলার ক্রিকেট থাকবে, ইডেন থাকবে ততদিন তোমার নাম প্রথম সারিতে থাকবে। তুমি বাংলার ক্রিকেটের শাইনিং স্টার। অবসর নেওয়ার দিন সবার জীবনে আসে। দিনটা আবেগ এবং দুঃখের একই সঙ্গে। তুমি রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী। যে জিনিসটা এরপর তুমি মিস করবে তা হল তোমার সতীর্থদের। আমি আশা করব বাংলার ক্রিকেটে তোমাকে যুক্ত রাখা হবে। কারণ তোমার দিক-নির্দেশ থেকে শুরু করে পরামর্শ ভীষণ মূল্যবান।"
সিএবি প্রেসিডেন্ট স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়ের মুখেও উঠে এলো মনোজের ক্রিকেটের প্রতি ভালোবাসার প্রশংসা। পরে সৌরভকে বাংলার সাজঘরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সৌরভ বলেন, "ক্রিকেট খেলার জন্য টেকনিক লাগে। তার থেকেও লাগে মনোজ ও লক্ষ্মীর মতো হার না-মানা মনোভাব।" মনোজ তিওয়ারি আজ বিদায় বেলায় আবেগপ্রবণ। অশ্রুসিক্ত চোখে জানালেন তাঁর বাবা, মায়ের আত্মত্যাগ এবং ভগবানের আশীর্বাদ ক্রিকেটার হতে সাহায্য করেছে। আর স্ত্রী সুস্মিতার নিরন্তর পাশে থাকা ক্রিকেট চালিয়ে যেতে সাহায্য করেছে। তাই পরিবার এবং সকল সতীর্থের কাছে কৃতজ্ঞ তিনি ৷
আরও পড়ুন: