প্যারিস, 2 অগস্ট: বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না প্যারিস অলিম্পিক্সের ৷ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল আয়োজকদের ৷ এবার বিতর্ক শুরু হল একটি বক্সিং ম্যাচ নিয়ে ৷ মহিলাদের 66 কেজি’র ‘রাউন্ড অফ 16’-ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিলেন অ্যাঞ্জেলা কারিনি ও ইমানে খেলিফ ৷ জোরালো ঘুষি খেয়ে 46 সেকেন্ডেই কোর্ট ছেড়ে বেরিয়ে যান কারিনি ৷
ইতালির মহিলা বক্সার অ্যাঞ্জেলা কারিনির অভিযোগ, এত জোরে ঘুষি তিনি নিজের কেরিয়ারে কখনও খাননি ৷ একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, কোনও মহিলার ঘুষিতে এত জোর থাকতে পারে না ৷ মহিলাদের বক্সিংয়ে একটি ম্যাচে তিনটি রাউন্ড খেলা হয় ৷ প্রতিটি রাউন্ড 3 মিনিটের ৷ 46 সেকেন্ডেই কাঁদতে কাঁদতে রিং ছাড়েন কারিনি ৷ তারপরেই শুরু হয়েছে বিতর্ক ৷
So che non mollerai, Angela, e so che un giorno guadagnerai con sforzo e sudore quello che meriti. In una competizione finalmente equa. pic.twitter.com/bJ2GfAUTzq
— Giorgia Meloni (@GiorgiaMeloni) August 1, 2024
2022 বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে রূপো জিতেছিলেন খেলিফ ৷ ফাইনালের আগে তাঁকে অযোগ্য ঘোষণা করে আন্তর্জাতিক বক্সিং অ্যাসোসিয়েশনের গভর্নিং বডি ৷ কারণ, খেলিফের শরীরে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা যথেষ্ট বেশি ছিল ৷ অর্থাৎ, নিজেকে মহিলা বলে প্রমাণ করতে পারেননি আলজেরিয়ার বক্সার ৷ 2023 বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ থেকেও বাদ পড়েন খেলিফ ৷ ফলে প্যারিস অলিম্পিক্সে তাঁর যোগদানে বিতর্ক শুরু হয়েছে ৷
এদিন 66 কেজি’র শেষ ষোলোয় নেমেছিলেন দুই বক্সার ৷ এক মিনিটও দাঁড়াতে পারেননি কারিনি ৷ ইতালির বক্সার বলেন, ‘‘যদি একজন ক্রীড়াবিদ এই কাজ করেন, তা ঠিক নয় ৷ আমি শুধু বক্সার হিসেবে আমার কাজ করেছি। রিংয়ে নেমে যুদ্ধ করতে অভ্যস্ত । আজও আমি মাথা উঁচু করে এই লড়াই থেকে সরে দাঁড়িয়েছি ৷ আমার বাবা আমাকে একজন যোদ্ধা হতে শিখিয়েছেন । আমি সবসময় সম্মানের সঙ্গে রিংয়ে পা রেখেছি ৷ সবসময় আনুগত্যের সঙ্গে দেশের (সেবা) করেছি । কিন্তু এবার পারলাম না ।’’
Could any picture sum up our new men’s rights movement better? The smirk of a male who’s knows he’s protected by a misogynist sporting establishment enjoying the distress of a woman he’s just punched in the head, and whose life’s ambition he’s just shattered. #Paris2024 pic.twitter.com/Q5SbKiksXQ
— J.K. Rowling (@jk_rowling) August 1, 2024
এই ঘটনায় প্রতিবাদে গর্জে উঠেছেন হ্যারি পটারের স্রষ্ঠা জেকে রাউলিং ৷ এক্স পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘‘কোনও ছবি কি আমাদের নতুন পুরুষদের অধিকার আন্দোলনকে আরও ভালোভাবে তুলে ধরতে পারে ? একজন মহিলাকে মেরে একজন পুরুষ হাসছেন ৷ বিনোদনের জন্য এই ছবি ভালো নয় ৷’’