কলকাতা, 12 ডিসেম্বর: ছক নয়, স্ট্র্যাটেজি নয়, মরিয়া লড়াই প্রাপ্তি ইস্টবেঙ্গলের। স্কোরবোর্ড নয়, পয়েন্ট টেবিল নয়, লক্ষ্মীবারের সন্ধ্যায় ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা ফিরলেন দলের আগ্রাসী মেজাজের প্রদর্শন দেখে। ম্যাচের ফল ওড়িশা এফসির পক্ষে 2-1 । ওড়িশার হয়ে গোল জেরি এবং হুগো বুমোসের। ইস্টবেঙ্গলের গোল লালচুননুঙ্গার ।
দশজনে লড়েও হার অস্কার ব্রুঁজোর দলের। শুরুর পাঁচ মিনিটের মধ্যে হুগো বুমোসের বেয়াড়া পা চালানোয় মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যান মাদিহ তালাল। চোটের ধাক্কায় এমনিতেই অস্কার ব্রুঁজোর সাজঘর মিনি হাসপাতাল। প্রথম একাদশে তিন বিদেশির বেশি রাখতে পারেননি । এরপর শুরুতেই মাদিহ তালালের বেয়িয়ে যাওয়া যেন আশার আলোয় অন্ধকার নামিয়ে নিয়ে আসে।
শৌভিক চক্রবর্তী আহমেদ জাহু, হুগো বুমোস, দিয়াগো মৌরিসিওকে থামাচ্ছিলেন । মাঝমাঠের মরিয়া লড়াইয়ে অনবদ্য সঙ্গত আনোয়ার-হিজাজি জুটি । একের পর এক ওড়িশা এফসির আক্রমণ লাল-হলুদ রক্ষণে ধাক্কা খেয়ে ফিরে যাচ্ছে । এবং তা প্রতিআক্রমণে পরিনত হয়ে মুর্তাদা ফলের নেতৃত্বাধীন ওড়িশা রক্ষণকে অস্বস্তিতে ফেলছে । তুল্যমূল্য লড়াই। এই সময় তাল কাটল জিকসন সিংয়ের লাল কার্ডে । দিয়াগো মৌরিসিওকে কনুই চালানোয় দ্বিতীয়বার হলুদ কার্ড দেখলে রেফারি জিকসনকে মার্চিং অর্ডার দেন। আইএসএলে খারাপ রেফারিংয়ের নিদর্শন হয়ে রইল জিকসনের লাল কার্ডের সিদ্ধান্ত ।
দশ জনের লড়াই সবসময় কঠিন। তা যদি ওড়িশা এফসির মতো শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে হয় তাহলে কাজটা কার্যত অসম্ভবের পর্যায়ে চলে যায়। তারই মধ্যে 53 মিনিটে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল । নওরেম মহেশ সিংয়ের কর্নার ওড়িশা গোলরক্ষকের হাত ফস্কে সামনে পড়লে তা জালে পাঠানোর চেষ্টা করেন হিজাজি মাহের । কিন্তু ওড়িশা ডিফেন্ডারের পা থেকে বল ছিটকে বেরোলে তা গোলে পাঠান লালচুননুঙ্গা । একজন কম নিয়ে গোলে এগিয়ে যাওয়ার পরিস্থিতি । উপস্থিত হাজার তেরো সমর্থক সমর্থন করছেন। কিন্তু তাঁদের সমর্থন দীর্ঘস্থায়ী হয়নি ।
55 মিনিটে জেরি ওড়িশা এফসিকে সমতায় ফেরান । ফের চোট, কার্ড সমস্যার ধাক্কা সরিয়ে এগিয়ে যাওয়ার লড়াই ইস্টবেঙ্গলের । কিন্তু 81 মিনিটে দিয়াগো মৌরিসিওর পাস থেকে হুগো বুমোসের গোল লাল-হলুদের আশায় জল ঢেলে দেয়। এই জয়ের ফলে পঞ্জাব এফসিকে পেছনে ফেলে তিন নম্বরে উঠে এল ওড়িশা এফসি । অন্যদিকে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে আইএসএল, মোট ছ’ম্যাচ পরে পরাজিত ইস্টবেঙ্গল । দশ ম্যাচে সাত পয়েন্ট নিয়ে এগারোতেই লাল-হলুদ ।