কলকাতা, 31 অগস্ট: ভারতীয় ফুটবল তাঁর আবেগের সাক্ষী আগেও থেকেছে । বলিউড তারকা হলেও তিনি সমস্ত ট্যানট্রাম সরিয়ে মাঠে থাকার চেষ্টা করেন । আইএসএলে নিজের দল নর্থইস্ট ইউনাইটেডের হয়ে গলা ফাটাতে দেখা যায় । এবার সেই নর্থইস্ট ইউনাইটেড প্রথমবার কোনও সর্বভারতীয় ট্রফির ফাইনালে উঠেছিল । তাতেই বাজিমাত করল পাহাড়ের ছেলেরা ৷
দলের নজির গড়ার দিনে তিনি বলিউডের সমস্ত ব্যস্ততা সরিয়ে শনিবারের সন্ধ্যায় কলকাতার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ৷ জন আব্রাহাম বলিউড তারকার পাশাপাশি ফুটবল ভক্ত, নর্থইস্ট ইউনাইটেডের মালিক । দলের ট্রফি জয় নিশ্চিত হতেই ভিআইপি আসন ছেড়ে সোজা মাঠে ফুটবলারদের মধ্যে । সবাইকে অভিনন্দন জানিয়ে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন ছাড়লেন । দল মালিকের এহেন বন্ধুত্বপূর্ণ ব্যবহারের প্রশংসায় নর্থইস্ট ইউনাইটেড কোচ জুয়ান পেদ্রো ।
টাইব্রেকারে স্পটকিক বাঁচিয়ে নায়ক গোলরক্ষক গুরমীতকে পাশে বসিয়ে বললেন, ‘দিনটা জীবনের সেরা ।‘ কোচের পাশে বসে গুরমীত বলছেন, কোনও সময় মানসিক চাপে ছিলেন না । বিশাল কাইথকে চ্যালেঞ্জ ছোঁড়ার মানসিকতাও ছিল না । শুধু বলে চোখ রেখে নিজের সেরাটা দিতে চেয়েছিলেন । জার্মান গোলরক্ষক ম্যানুয়েল ন্যুয়ারের ভক্ত গুরমীত বলছেন, এই সাফল্য তিনি পরিবার এবং সতীর্থদের উৎসর্গ করতে চান ।
যাদের জয় দেখতে যুবভারতী প্রায় ভরে গিয়েছিল সেই মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট দু’গোলে এগিয়ে থেকেও পরাজয়ের অন্ধকারে । দ্বিতীয়ার্ধে পুরো দল খোলসে ঢুকে পড়ে নর্থইস্ট ইউনাইটেডকে নিয়ন্ত্রকের আসনে বসতে সাহায্য করে । কোচ হোসে মোলিনা বলছেন, বিরতির পরে দল যে ফুটবল খেলেছে তাতে তিনি হতাশ । পুরো দলের প্রতিটি বিভাগের উন্নতি প্রয়োজন । যা সামনের দিনে করতে হবে । 3-5-2 ছকে আক্রমণ সাজিয়েছিলেন মোলিনা । কিন্তু এই ম্যাচে তা ব্যর্থ ।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানিয়েছেন, আশা জাগিয়ে শুরু করলেও বিরতির পরে তা ধরে রাখতে পারেনি দল । মাঝমাঠ থেকে সাহাল আব্দুল সামাদকে তুলে নিয়েছিলেন আরও আক্রমণাত্মক খেলবেন বলে । আলবার্তোকে চোটের শঙ্কায় তুলে নিয়েছিলেন । কারণ আগেই তিনি চোটগ্রস্ত ছিলেন । তবে অলডেয়ারের খেলা খুশি করেনি বলে মেনেছেন মোলিনা । সব মিলিয়ে মোহনবাগান সমর্থকদের কাছে শনিবার যেন কালো দিন । কলকাতা লিগ থেকে ছিটকে যাওয়ার সঙ্গে সিনিয়র দলও ডুরান্ড কাপ ফের জিততে ব্যর্থ ।